আমরা অনেকেই বিভিন্ন রকমের রিং টোন মোবাইলে সেট করে থাকি। কেউ গান, কেউ কুরআনের আয়াত। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখছি? এটা কতোটা শরিয়াত সম্মত। অনেকে ভেবে থাকেন মোবাইল তো ভালো কাজেই ব্যবহার করছি। এর দ্বারা কোন পাপ কাজ করছি না। কিন্তু সামান্য রিং টোনের কারণে আমরাও নিজের অজান্তে গুনাহ্ করছি। তাহলে জেনে নেই মোবাইল রিং টোনের ব্যাপারে কী মাসায়েল রয়েছে।
![]() |
মোবাইল ফোনের রিংটোনে কোন গান-বাদ্য সেট করবেন না। |
মোবাইলে রিংটোন সম্পর্কে মাসায়েল
১। জেনেবুঝে ছিনতাইকৃত বা চোরাই মোবাইল সেট ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় পাপ কাজে সহযোগীতার জন্য দায়ী হতে হবে।
২। মোবাইল ফোনের স্কিনে কোন মানুষ বা প্রাণীর ছবি সেভ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। মোবাইল ফোনের রিংটোনে কোন গান-বাদ্য সেট করবেন না। তাতে ইচ্ছাকৃতভাবে গান-বাদ্য শোনা হয়ে যাবে। এর জন্য অবশ্যই পাপ হবে।
৪। মোবাইল ফোনের রিংটোনে কালিমা, আল্লহ্র নাম বা কুরআনের তিলাওয়াত সেট করবেন না। তাহলে বাথরুম বা নাপাক স্থানে এগুলো উচ্চারিত হতে পারে যা নিষিদ্ধ।
৫। ওয়েলকাম টিউনে গান-বাদ্য লোড করা উচিত নয়। এরূপ করলে অন্যকে গান-বাদ্য শোনানোর পাপ হবে।
৬। ওয়েলকাম টিউনে কালিমা, আল্লহ্র নাম বা কুরআনের তিলাওয়াত সেট করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা, কল রিসিভ করার সময় এমন স্থানে কালিমা বা আয়াত থেমে যেতে পারে যাতে অর্থের বিকৃতি ঘটবে। এর জন্য সেটকারী ব্যক্তি দায়ী থাকবে।
৭। মসজিদে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোন বন্ধ বা সাইলেন্ট রাখতে হবে। যাতে নামাযে ব্যাঘাত না ঘটে। ভাইব্রেশন করে রাখবে না, তাতে অন্য নামাযীর বা নিজের নামাযের একাগ্রতা নষ্ট হবে।
৮। মোবাইল ফোনের অন/অফ টোন সর্বদা সাইলেন্ট রাখা চাই। যাতে মসজিদে গিয়ে বা অন্য কোথাও বন্ধ করতে হলেও বাদ্য বেজে না ওঠে।
৯। ভুলবশত নামাযের সময় মোবাইল ফোন খোলা থাকলে এবং নামাযের মধ্যে রিং বেজে উঠলে এক হাত পকেটে প্রবেশ করিয়ে এক হাত দিয়েই রিং বন্ধ করে দিতে হবে। মোবাইল ফোন কে করেছে তা দেখবে না বা দুই হাত ব্যবহার করা যাবে না। দুই হাত ব্যবহার করলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
আশা করছি মোবাইল রিংটোন ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন এবং অন্যদেরকে এ বিষয়ে জানাবেন।
আমি এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম