বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১
↬ (বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা থেকে পুননিবেশিত)
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনে এক অনবদ্য বিষয়। আমরা আজ বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন জাতি হিসাবে আত্মপ্রতিষ্ঠিত। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং বাঙালি জাতির স্বাধীন সত্তার প্রকাশ কোনাে আকস্মিক ঘটনা নয়। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এবং ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময়ে আমরা লাভ করেছি মুক্তির স্বাদ। মহান মুক্তিযুদ্ধেই বাঙালি জাতি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। অর্জন করেছে তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকারের অনুষঙ্গ, পরিচয়ের উৎস। ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের বিদায়ে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। কিন্তু প্রকৃত মুক্তি হয়নি বাঙালি জাতির। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার ওপর আঘাত, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরােধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিকাশ লাভ করে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন। সর্বোপরি ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে গড়িমসি শুরু করে। তখনই শুরু হয় স্বাধীনতা আন্দোলন।
২৫ মার্চ ১৯৭১ গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযােগসহ নানা ধরনের বর্বরতা চালায় সারা দেশজুড়ে। এদেশের মানুষজনও বসে থাকেনি। বাংলার জনতা পাকিস্তানিদের আন্দোলন রুখে দেয়। মুক্তিযুদ্ধ চলে প্রায় নয় মাস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার সৈন্যসহ হানাদার বাহিনীর পক্ষে আত্মসমর্পণ করেন জেনারেল আমির আবদুল্ল খান (এএকে) নিয়াজী। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে স্বপ্নের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে বীরত্ব ও আত্মদানের এক অনবদ্য নজির স্থাপন করে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের চেতনা। এ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার কর্তব্য আমাদেরই।
ফালতু এত বড়টা কিভাবে লিখব শালা