Uncategorized

“বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” এসএসসি ২০২১ পঞ্চম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

Daraz cupon Code
Rate this post
"বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা" এসএসসি ২০২১ পঞ্চম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের “বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা” পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট। 

অ্যাসাইনমেন্ট নম্বরঃ ৪
অধ্যায়ঃ  তৃতীয়
অধ্যায়ের শিরোনামঃ প্রাচীন বাংলার জনপদ

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ প্রাচীন বাংলার মানচিত্র অঙ্কন করে জনপদগুলো চিহ্নিত কর এবং তোমার বর্তমান জেলা কোন জনপদের অধীনে ছিল তার বর্ণনা


নির্ধারিত কাজঃ

"বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা" এসএসসি ২০২১ পঞ্চম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর


প্রাচীন বাংলার মানচিত্র ও জনপদগুলো চিহ্নিতকরঃ 

প্রাচীন কাল থেকে আরম্ভ করে আনুমানিক ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকে প্রাচীন বাংলা পুণ্ড্র, গৌড়, রাঢ়, সূহ্ম, তাম্রলিপি, সমতট, বঙ্গ ইত্যাদি জনপদে বিভক্ত। নিন্মে প্রাচীন বাংলার মানচিত্র অংকন করে জনপদগুলো চিহ্নিত করা হলঃ

"বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা" এসএসসি ২০২১ পঞ্চম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

প্রাচীন বাংলা জনপদগুলোর গুরুত্বঃ

প্রাচীন বাংলার জনপদগুলাে স্বতন্ত্র ও পৃথক, মাঝে মাঝে বিরােধ মিলনে একের সাথে অন্যের যােগাযােগের বিষয়টি লক্ষ করা যায়। তবে প্রত্যেকেই যে স্বতন্ত্র সে বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। প্রত্যেকটি জনপদ দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। নিচে প্রাচীন বাংলা জনপদগুলোর গুরুত্ব বর্ণনা করা হলঃ

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রাচীন বাংলার জনপদগুলো রেখে গেছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সবগুলো জনপদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল উন্নত। যার ফলে জনপদগুলোর মধ্যে একদিকে যেমন  বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অন্যদিকে সংস্কৃতির আদান-প্রদান হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নতুন রাষ্ট্র হিসেবে মানচিত্রে স্থান পায়। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পূর্বে প্রাচীন বাংলা জনপদগুলো বর্তমান মানচিত্রকে সুভিত করেছে ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতির সম্মৃদ্ধির মাধ্যমে। 

প্রাচীন বাংলা জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অঞ্চল ছিল বঙ্গ।  “বাঙালি” শব্দের উৎপত্তি হয়েছিল “বঙ্গ” থেকে। প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে পুণ্ড্র ছিল সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ। পাথরে খোদাই করার হাতেখড়ির সূচনা হয় পুণ্ড্র জনপদ থেকেই। কোন দেশের মানুষের জীবনাচরণ ও ইতিহাসের উপর সে দেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্টের প্রভাব অপরিসীম। যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের জীবনযাপন, সংস্কৃতি, আচার-আচরণ ভিন্ন হয়। 

সমতট জনপদ ছিল বর্তমান কুমিল্লার প্রাচীন নাম।  কুমিল্লার ময়নামতিতে অনেক প্রাচীন নিদর্শনের সন্ধান মিলেছে। শালবন বিহার এদের মধ্যে অন্যতম। প্রাচীন জনপদের বিভিন্ন জনপদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি আজও বর্তমান বাংলাদেশে লালিত হচ্ছে।

প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের ধারণাঃ
প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। ঐতিহাসিকগণ মনে করেন খ্রিস্টপূর্ব দেড় হাজার বছর আগে বাংলার প্রাচীন সভ্যতা গড়ে ওঠেছিল অজয় নদীর তীরে। প্রাচীনকালে বাংলা বলতে সমগ্র দেশকে বােঝানাে হতাে। এর বিভিন্ন অংশ একাধিক নামে পরিচিত ছিল এবং এই অংশগুলাের ভৌগােলিক অবস্থিতি বহুলাংশে নির্ধারিত হয়েছিল। ভূ-প্রকৃতি তথা নদীর স্রোতধারার মাধ্যমে প্রাচীনকালে বাংলা বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল এবং এই জনপদবাসীরাই স্ব-স্ব জনপদের নামেই পরিচিতি লাভ করে। পাল আমল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। তবে গুপ্তদের কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার অধীনে বাংলাও ছিল একটি প্রদেশ। গুপ্ত শাসনের পর এই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম হয়। এ অবস্থা চলে প্রায় একশ বছর। গােপাল নামে এক নেতা এ অরাজক অবস্থার অবসান ঘটান এবং পাল বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর প্রায় চারশ বছর পর বাংলায় পাল শাসনের অবসান হয় এবং বার শতকের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠিত হয় সেন শাসন।
প্রাচীন যুগে বাংলা বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল এবং এই জনপদবাসীরাই স্ব-স্ব জনপদের নামেই পরিচিতি লাভ করে। তবে ভৌগােলিক পরিবেশ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবর্তনের (নদীর ভাঙা-গড়া) সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা বিস্তার বা হ্রাসের মাধ্যমে জনপদগুলাের আয়তনও পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এসব পৃথক পৃথক অংশগুলাে এককথায় ‘জনপদ’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। 
 আমার বর্তমান জেলা যে জনপদে অন্তর্ভুক্ত ছিল তার ব্যাখ্যাঃ
আমার বর্তমান জেলা চট্টগ্রাম। যা হরিকেল জনপদে অবস্থিত ছিল। সপ্তদশ শতকে লেখকেরা হরিকেল নামে একটি জনপদের বর্ণনা করেছিলেন। বাংলার  পূর্ব প্রান্তে এই জনপদটির অবস্থান ছিল। র্তমান বাংলাদেশের ফেনী অঞ্চল,বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল ও চট্টগ্রাম বিভাগ এর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি নিয়ে হরিকেল জনপদ গঠিত।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

মন্তব্য করুন

Back to top button