
আয়াতুল কুরসী Ayatul Kursi Bangla Onubad: পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় সূরা আল বাকরার ২৫৫ তম আয়াতটি Ayatul kursi (আয়াতুল কুরসি) নামে নাম ডাকা হয়। আয়াতটি অধিক ফজিলতপূর্ণ। পবিত্র কুরআনের শ্রেষ্ঠতম আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। এ আয়াতি পাঠের মাধ্যমে অনেক ফজিলত হাসিল করা সম্ভব। আয়াতুল কুরসি তে আল্লাহতায়ালার আটটি সিফাত অথাৎ গুন বর্ণনা করা হয়েছে।
আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা:) রাসূল (সা:)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা:)! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসূল (সা:) বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসী।
উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা:) উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্ব মহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল্ হাইয়্যূল কাইয়্যূম) তারপর রাসূলুল্লাহ্ নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে (হালকা) আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক। (সুনানে আবু দাউদ ১৪৬০)
আয়াতুল কুরসী Ayatul Kursi in Arabic

আয়াতুল কুরসী বাংলা উচ্চারণ
আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া আল হাইয়ুল কাইয়ূমু লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাঊম লাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।
আয়াতুল কুরসী বাংলা উচ্চারণ ছবি
আয়াতুল কুরসী বাংলা অনুবাদ
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
আয়াতুল কুরসীর ফজিলত
১. প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার মৃত্যুর সময় সহজভাবে জান কবজ করা হবে।
২. অন্য হাদিসে আছে, যারা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তাদের জন্যে জান্নাতে যেতে মৃত্যু ব্যতীত আর কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ মৃত্যুর সাথে সাথেই সেই ব্যক্তি আল্লাহর জান্নাতের শান্তি উপভোগ করতে থাকবে।
৩. হাদিসে বলা আছে, যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আল্লাহ তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন এবং সে ফেরেশতা সারা রাত তাকে পাহারা দিবে এবং দুষ্ট জীন ও শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবে।
৪. রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পাঠ করে তার ধন-সম্পতি ফুঁকে দেয় তাহলে তার ওই সম্পদ কোনো চোরে নিতে পারবে না।
এ বিষয় একটি ঘটনা হযরত আবু হুরায়রা (র) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেনঃ একবার রসূলুল্লাহ (সঃ) আমাকে কিছু সম্পদ পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দিলেন। আমি পাহারা দিচ্ছিলাম এমন সময় ঘুম আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আমি তখন আয়াতুল কুরসি পড়ে ওই সম্পদে ফুঁক দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। তখন চোর এলো সম্পদগুলো চুরি করার জন্যে। কিন্তু চোর ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলো।
৫. যারা আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে আল্লাহ তাদের জান্নাতের আটটি দরজার সবগুলো দিয়ে প্রবেশ করার সুযোগ দিবেন।
আল্লাহ্ আমাদেরকে ayatul kursi মুখস্ত এবং নিয়মিত পাঠ করার তাওফিক দান কারুন এবং এর গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের জীবন গড়ার তাওফিক দান কারুন (আমিন)। লিখাটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিয়ে আপনিও সওয়াবের ভাগিদার হবেন।
Hi