আজকে আযান ও ইকামতের জওয়াব দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। এবং সেই সাথে কখন আযান ও ইকামতের জওয়াব দেওয়ার উচিত নয় এ বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্।
আযান ও ইকামতের জওয়াব দেয়া মােস্তাহাব । নারী পুরুষ সকলের জন্যই আযানের জওয়াব দেয়া মােস্তাহাব। যে ব্যক্তি মসজিদের মধ্যে রয়েছে। তার জন্যও মুখে জওয়াব দেয়া মােস্তাহাব। পাক নাপাক সকলেরই জন্য আযানের জওয়াব দেয়া মােস্তাহাব। অবশ্য ঋতুবতী মহিলা ও নেফাসওয়ালী মহিলার জন্য আযানের জওয়াব দেয়ার হুকুম নেই।
যে ব্যক্তি মসজিদের বাইরে রয়েছে তার জন্য মৌখিক জওয়াব ছাড়াও মসজিদে জামাআতের জন্য গমন-এর মাধ্যমে জওয়াব দেয়া জরুরি। তবে অপরাগতার ক্ষেত্রে শুধু মুখে জওয়াব দেয়াই যথেষ্ট হবে।
কয়েক স্থানের আযান শােনা গেলে সর্বপ্রথম যে আযান শােনা যায় (নিজের মহল্লার হােক বা ভিন্ন মহল্লার) তার জওয়াব দিলেই যথেষ্ট। তবে সবটার জওয়াব দিতে পারলে ভাল।
জুমুআর ছানী (দ্বিতীয়) আযানের জওয়াব দিতে হয় না, তবে মনে মনে (মুখে উচ্চারণ ব্যতীত) দেয়া যায়
যদি কেউ আযানের জওয়াব না দিয়ে থাকে এবং আযান শেষ হওয়ার পর বেশিক্ষণ অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তাহলে তখন জওয়াব দিবে।
উযূ অবস্থায় আযান হতে থাকলে উযূও করতে থাকবে আযানের জওয়াবও দিতে থাকবে।
যেসব অবস্থায় আযানের জওয়াব দেয়া উচিৎ নয়
২. খুতবার সময় (জুমুআর খুতবা হােক বা বিয়ের খুতবা) ।
৩. হায়েয অবস্থায়।
৪. নেফাসের অবস্থায়।
৫. দ্বীনী ইলম বা শরীআতের মাসআলা-মাসায়েল শিখবার বা শিক্ষা দেয়ার সময়। কিন্তু কুরআন তিলাওয়াতের সময় আযান হলে তিলাওয়াত বন্ধ করে তার জওয়াব দেয়া উত্তম বলা হয়েছে।
৬. স্ত্রী সহবাস করা অবস্থায়।
৭. পেশাব-পায়খানার সময়।
৮. খানা খাওয়ার সময়।