![]() |
রমজান ২০২২ঃ রমজানের সময় বিরতিহীন রোজা রাখার সুবিধা |
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে রমজান মাসে বিরতিহীন রোজা চর্বি পোড়াতে এবং ক্ষতিকারক টক্সিন শরীরকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এখানে অন্যান্য স্বাস্থ্য সুবিধা আছে.
রমজান ২০২২ঃ রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি আত্ম-শুদ্ধি, আত্ম-উন্নতি, দয়া এবং ইবাদাতের জন্য একটি বিশেষ মাস।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এক মাস কিছু না খাওয়া বা পান না করা এবং সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করার মাধ্যমে একটি রোজা শেষ হয়। রমজানের সময় বিরতিহীন রোজা রাখার বেশ সুবিধা রয়েছে তাই আমাদের উচিত স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রোজা রাখা এবং ইফতার করা।
পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ান রুচিকা মিধাস বলেছেন, “এই মাসে বিরতিহীন উপবাস শুধুমাত্র আপনার শরীরে মজুদকৃত চর্বি শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে না, সেইসাথে শরীররে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিনগুলিকেও পরিষ্কার করে।”
তিনি আরও বলেন, “এক মাসব্যাপী রোজা আপনার শরীরকে স্বাভাবিকভাবেই ডিটক্সিফাই করে। পরিপাকতন্ত্রের কাজকে স্বাভাবিক রাখে। যা আপনাকে রমজানের পরেও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।”
গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখার ফলে লোহিত রক্তকণিকা (RBCs), শ্বেত রক্তকণিকা (WBC), প্লেটলেট (PLT) গণনা, উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল (HDL-c) বৃদ্ধি করে এবং রক্তের কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, লোহিত রক্তকণিকা হ্রাস করে।
যখন আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিয়মিত রোজা রাখবেন তখন শরীর বিপাকীয় পক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে চর্বি হ্রাস পক্রিয়াকে আরও উন্নত করে। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
রমজানে রোজা রাখার ফলে একমাস আমাদের ডায়েট এ পরিবর্তন আসে। স্বাস্থ্যবিধরা বলে থাকেন যে, শরীর ভালো রাখার জন্য ডায়েট-এ পরিবর্তন আনা জরুরি।
স্বাস্থ্য ওয়ার্ল্ডের মাইথালি প্রোগ্রামের নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ডাঃ মেঘনা পাসি বলেন, রমজানে বেশ লম্বা একটি সময় খাবার ও পানি ছাড়া থাকার ফলে লিভারের গ্লাইকোজেন ক্ষয় হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে বিরতিহীন উপবাস ওজন হ্রাস এবং চর্বি হ্রাস করে, এবং ক্যালোরি বার্ন করে।
ডাঃ পাসি আরও বলেন, সারাদিন খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকার ফলে কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা,সেইসাথে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিহয়। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
রোজা অন্ত্রকে পরিষ্কার করতে এবং তার আস্তরণকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর অটোফ্যাজি নামক একটি স্ব-পরিষ্কার প্রক্রিয়া উদ্দীপিত হয় যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপজ্জনক কণাগুলিকে শরীর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া রোজার ফলে বিপাকীয় হারবাড়ে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করে এবং বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ কমায়।