ভূমিকম্প ও বাংলাদেশ – রচনা
সূচনা
জুলাই ২০০৩-এর ২৭ তারিখ হতে আগস্টের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও এর আশেপাশের অঞ্চলে অন্তত ৫০টিরও অধিক ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে রিখটার স্কেলে সর্বোচ্চ ৫.০৯ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে এ ভূমিকম্প ব্যাপক আকারের ছিল না। তবে বারবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় নতুন ও পুরাতন ভবনে ফাটল, রাঙামাটিতে পাহাড়ে ফাটল ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণে জনমনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এর ওপর হিমালয়ান চ্যুতির অভ্যন্তরে সৃষ্ট প্রচণ্ড চাপের কারণে দেশি-বিদেশি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন।
ভূমিকম্প কী
ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরের চাপ হঠাৎ কমে বা বেড়ে যাওয়ায় যে কম্পনের সৃষ্টি হয় সেটাই ভূমিকম্প। যেহেতু ভূমিকম্পের জন্ম, বিকাশ, শক্তিসঞ্চার সর্বোপরি উৎপত্তি হয় পৃথিবীর অভ্যন্তরে, কাজেই এটি প্রকৃতি নির্ভর, এর ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই।
ভূমিকম্পের কারণ
সাধারণভাবে ভূমিকম্পের কারণ ৩টি। যথা :
ক। টেকটোনিক ভূমিকম্প বা প্লেট সঞ্চালন আন্দোলন।
খ। আগ্নেয়গিরি ভূমিকম্প বা অগ্ন্যুৎপাত ও
গ। মানব কর্মকাণ্ডঘটিত ভূমিকম্প।
টেকটোনিক ভূমিকম্প
ভূত্বক বৃহৎ আকারের খণ্ড খণ্ড প্লেট বা ভূখণ্ড দ্বারা তৈরি। এই প্লেটগুলাের কোনােটিই স্থির নয়। তুলনামূলকভাবে কোনাে কোনাে প্লেট একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, আবার কোনাে কোনাে প্লেট একে অপরের দিকে সরে আসছে। প্লেটগুলাে বৃহদাকার নৌকা বা শিপের মতাে গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টেলের ওপর ভাসছে। ভূত্বকের এপ্লেটগুলোর বিচরণ সক্রিয় ভূখণ্ডীয় আন্দোলনই প্লেট টেকটোনিক। দুটি প্লেটের সীমানা এলাকায় ভূমিকম্পের সংখ্যা খুব বেশি। টেকটোনিক সীমানাগুলাের বেশিরভাগই মহাসমুদ্রগুলাের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। যে কয়েকটি প্লেট সীমানা বা টেকটোনিক সীমানা মহাদেশীয় ভূত্বক দিয়ে অবস্থান করেছে তার মধ্যে ইন্দো-চায়না প্লেট সীমানা ও উত্তর আমেরিকা প্যাসিফিক প্লেট সীমানা অন্যতম।
আগ্নেয়গিরি ভূমিকম্প
আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তার কারণেও অনেক সময় ভূমিকম্প হয়। তবে এ ধরনের ভূমিকম্পের সংখ্যা কম এবং শুধু আগ্নেয়গিরি এলাকাতেই ঘটে থাকে। যেমন- দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলাের ভূমিকম্প আগ্নেয়গিরির সঙ্গে সংযুক্ত।
মানব কর্মকাণ্ডঘটিত ভূমিকম্প
মানুষের আধুনিক কার্যাবলি, যেমন- বােমা বিস্ফোরণ, বিমান ধ্বংস, বড় ধরনের বাধ তৈরি প্রভৃতির কারণেও অনেক সময় ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র
ভূপৃষ্ঠের নিচে বা ভূপৃষ্ঠে উৎপাদিত অতিরিক্ত শক্তি বা চাপ বিচ্ছুরণের কারণে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। এ শক্তি ভূ-তরঙ্গ হয়ে উৎপত্তিস্থলের চতুর্দিকে ত্রিমাত্রিকভাবে সঞ্চারিত হয়। ইংরেজিতে এ তরঙ্গকে বলে সিসমিক ওয়েভ বা ভূকম্পনীয় তরঙ্গ। পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় সেই স্থানকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা উৎস কেন্দ্র বলা হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু থেকে লম্বালম্বি ভূপৃষ্ঠে সর্বনিকটবর্তী স্থানকে ভূপৃষ্ঠে কম্পন উপকেন্দ্র বা এপিসেন্টার বলা হয়।
বাংলাদেশের অবস্থান ও ভূমিকম্প প্রবণতা
পৃথিবীর মহাদেশগুলাের অবস্থান ভূ-আন্দোলনের কারণে পরিবর্তিত হচ্ছে। আজ থেকে ২০ কোটি বছর পূর্বে আমাদের বাংলাদেশের অবস্থান ছিল এখনকার দক্ষিণ মেরুর এন্টার্কটিকের পার্শ্বে। এ ভূখণ্ডটি ইন্ডিয়ান প্লেটের একটি অংশ। বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান প্লেট, তিব্বত প্লেট এবং মায়ানমার প্লেটের সংযােগস্থলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ এলাকার পাদদেশে অবস্থিত। ত্রিমুখী প্লেট মুভমেন্টের কারণে বাংলাদেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বে এবং পূর্বে কয়েকটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। ফলে ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। তিনটি ভূখণ্ডের সংযােগস্থল হওয়াতে বাংলাদেশের ভূপৃষ্ঠের এবং অভ্যন্তরে অসংখ্য ভূ-চ্যুতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ডাওকি চ্যুতি (ফল্ট) এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি ও ভূভজ (ফোন্ড) সমূহ অন্যতম। এ সকল ভূ-চ্যুতি ও ভূ-ভাজ এবং ভূখণ্ডগুলাের সংযােগস্থলগুলােকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প সৃষ্টির উৎস এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে না হলেও কাছাকাছি দিয়ে টেকটোনিক প্লেট বাউন্ডারি অতিক্রম করেছে। বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প হচ্ছে এবং নিকট ভবিষ্যতে যে বড়সড়াে ভূমিকোম্পর আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা তার কারণ হিসেবে বলছেন যে, হিমালয়ান চ্যুতির অভ্যন্তরে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হওয়ায় এর আশেপাশের অঞ্চলে বড় রকমের ভূমিকম্প হতে পারে। হিমালয়ের কাছের ইন্ডিয়ান প্লেটটি ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে প্রবেশ করায় সেখানে একটি টেকটোনিক লকের সৃষ্টি হয়েছে। প্লেট দুটির চাপে লকটি খুলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্প ঝুঁকি অনুযায়ী বাংলাদেশের ভূ-অঞ্চল
ভৌগােলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ সিসমিক জোনিং ম্যাপে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ৩নং জোন, দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলকে মৃদু ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ১নং জোন এবং বাকি অঞ্চলকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ২নং জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে ২নং জোনের চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের অঞ্চলে একটা পরিবর্তন হচ্ছে যা ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ইতিহাস
বাংলাদেশ এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিগত শতাধিক বছরে বেশ কয়েকটি প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প হয়। এর চারটি ছিল রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার। সেগুলাে সংঘটিত হয় ১৮৯৭, ১৯০৫, ১৯৩৪ ও ১৯৫০ সালে এবং ১০টি ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় যেগুলাের উৎপত্তিস্থল ছিল এই হিমালয়ান চ্যুতি। এগুলাে ছাড়া তেমন বড় ধরনের ভূমিকম্প আমাদের দেশে হয়নি। ফলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। গত এক দশকে দেশে ২০১টি ভূমিকম্পের ঘটনা রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে ১৯৯৭তে চট্টগ্রামে যেটি হয় সেটি ছিল বৃহৎ, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৬। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয় যা গত অর্ধশত বছরে ভূ-কম্পনে মৃত্যুর রেকর্ড। ১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই সংঘটিত ৫.২ মাত্রার মহেশখালী ভূমিকম্পে কয়েক কি.মি. পাহাড়ে ফাটল ধরে ও ভূমিধসে ৬ জন নিহত হয়। ১৯ ডিসেম্বর ২০০১ এ ৪.৮ মাত্রার ঢাকা ভূমিকম্পে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পুরাতন ভবনের রেলিং ভেঙে ও আতঙ্কে ছুটাছুটি করে শতাধিক কয়েদি আহত হয় ২০০২ সালের ৪ ডিসেম্বর ৫.৫১ মাত্রার এক ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব ছিল ৩৬ সেকেন্ড। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ঢাকার ৭৫% লােক ও ৮০% বিল্ডিং ভূমিকম্পে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঢাকাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. মধ্য উচ্চভূমি এলাকা : এটি উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বি সদরঘাট থেকে গুলশান, উত্তরা হয়ে টঙ্গী গাজীপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রস্থ এটি ৫-৬ কি.মি.। লালমাটি দ্বারা গঠিত এ অঞ্চলের ভূমিকম্পের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে।
২. পূর্ব-পশ্চিমে অবস্থিত মিশ্র উচ্চ এবং নিম্ন ভূমি : এটি পূর্বাংশে শ্যামপুর, সবুজবাগ, বাড্ডা হয়ে উত্তরে আজিমপুর,পশ্চিমাংশে উঠছের বাজার, মিরপুরের কিছু অংশ হয়ে উত্তরে এয়ারপাের্ট-বাউনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত। এ অঞ্চলের ভূ-চাপ ধারণক্ষমতা কম।
৩. ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পূর্বের নিন্ম প্লাবন ভূমি : নিম্নাঞ্চল প্রধান এ অঞ্চলের ভূমিকম্পের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা খুবই কম। ভূমিকম্পের জন্য এ অঞ্চল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ অংশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদী, পশ্চিমে তুরাগ ও পূর্বে বালু নদী পর্যন্ত বিস্তৃত।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যেসব ভূমিকম্প হচ্ছে রিখটার স্কেলে সেগুলাে তেমন বিপজ্জনক নয়। সাধারণভাবে ৭ মাত্রাকে ধ্বংসাত্মক ও ৮ মাত্রাকে প্রলয়ংকরী বলা হয়। ১৮৯৭ সালের ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে উপমহাদেশের ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদীর গতিপথ বদলে যায় এবং বর্তমান যমুনা নদীর উৎপত্তি হয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, সাম্প্রতিক সময়ে গুজরাট ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কথা আমরা সবাই জানি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে। যেমন- ২০০২ সালের আলজেরিয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.২। অথচ এতে প্রায় ৫ হাজার মানুষ নিহত হয়, ঘটে ব্যাপক ধ্বংসলীলা।
ভূমিকম্প মােকাবিলায় করণীয়
ভূমিকম্প মােকাবিলায় কেবল সাধারণ জনগণ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ব্যাটারি চালিত টর্চ, ফাস্ট এইড বক্স, হাসপাতাল-ফায়ার বিগ্রেডের ফোন নম্বর রাখা সচেতন নাগরিকতার অংশ। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মেইন সুইচ যাতে দ্রুত বন্ধ করা যায় সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। ভূমিকম্প হলে শক্ত খাট বা টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে হবে, দেওয়াল বা পিলারের গােড়ায় বা সিঁড়ির নিচে আশ্রয় নিতে হবে, কাচের জানালার বিপরীত দিকে মুখ রেখে দাঁড়াতে হবে। কোনােভাবেই এ সময় ম্যাচ দিয়ে আগুন জ্বালানাে চলবে না।
যারা নতুন বাড়ি করবেন তারা প্রকৌশলীর সাহায্যে স্ট্রাকচার ও ডিজাইন করার সময় ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণ করবেন, এতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমে। ভবন নির্মাণে সিমেন্টের মান, রিইনফোর্সড রড, কংক্রিট, ইস্পাতের রড ইত্যাদির মান নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর তদারকি দরকার। দুর্বল ফাউন্ডেশন হলে প্রকৌশলীর সাহায্যে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, বিল্ডিং-এর ডিজাইন নির্মাণ মালিক ও মিস্ত্রি মিলে করলে সেক্ষেত্রে ভূমিকম্পের ঝুঁকি এড়ানাে সম্ভব নয়। কাজেই একজন ভালাে প্রকৌশলীর সহায়তা নিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
উপসংহার
ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার মতাে প্রযুক্তি এখনাে মানুষের আয়ত্তের বাইরে। সিসমিক সেন্টার থেকে শুধু ভূমিকম্পের মাত্রা ও দিক নির্ণয় করা যায়, এর বিপর্যয় বা ক্ষয়ক্ষতি রােধ করা যায় না। বাংলাদেশের একমাত্র সিসমিক সেন্টার চট্টগ্রামে অবস্থিত। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগােল বিভাগে একটি সিসমিক সেন্টার স্থাপিত হয়েছে। সিলেট ও রংপুরে সিসমিক সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। এসব সেন্টার স্থাপনের ফলে কেবল ভূকম্পন তীব্রতা পরিমাপ করা যাবে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মােকাবিলার জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, ইমারত নির্মাণে কোর্ড অনুসরণ সর্বোপরি জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
১ টি মন্তব্য