বাংলা ২ য় পত্রের অনুচ্ছেদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই দেই দিক বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু / শেখ মুজিবুর রহমান অনুচ্ছেদটি তোমাদের জন্য বিভিন্ন বই থেকে সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু / শেখ মুজিবুর রহমান
বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির ইতিহাসে অনেক জাতীয় নেতার আবির্ভাব ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের এক অবিসংবাদিত নাম। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গােপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু।
ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ব্রিটিশ আমলের শেষ পর্যায়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃস্থানীয় ছিলেন। ১৯৪৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। জেলে থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৯ সালে গঠিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি এ দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯৬৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর সীমাহীন শােষণের প্রতিকারকল্পে এবং বাঙালির স্বাধিকারের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ৬ দফা কর্মসূচি ঘােষণা করেন। এটাই ছিল বাঙালি জাতির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম এবং যৌক্তিক প্রস্তাবনা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জয়লাভ করে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হন। বাংলার রাজনৈতিক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণ ছিল মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের শাশ্বত প্রেরণার উৎস ও প্রতীক। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরীহ বাঙালির উপর নারকীয় হামলা শুরু করার পর রাত ১২.০৫ মিনিটে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করেন। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশকে নিজ হাতে গড়ে তােলার আগেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল কুচক্রী সামরিক জান্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরবর্তীকালে জাতির জনক উপাধি পান।
অসাধারণ