২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন কীভাবে নিতে তা জানিয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি শাখার নৈর্বাচনিক ০৩ (তিন) টি বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলমান আছে। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক কর্তৃক অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবেঃ
(১) শিক্ষার্থীর প্রস্তুতকৃত অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য ও সমরূপতা আনয়নের জন্য শিক্ষকগণকে প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টের জন্য প্রণীত মূল্যায়ন নির্দেশনা (রুব্রিক্স) অনুসরণ করতে হবে।
(২) রুব্রিক্স অনুসরণ করে পরীক্ষার্থীরাও যাতে তাদের অ্যাসাইনমেন্টসমূহ প্রস্তুত করতে পারে সে বিষয়েও নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
(৩) অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়ের প্রকৃতি, চাহিদা, পরিসর, ধাপ, চিন্তার ব্যাপকতা এবং শিক্ষার্থীর লেখার মধ্যে, সৃজনশীলতা ও মৌলিক বিষয় ইত্যাদি যথাযথভাবে মূল্যায়নের জন্য প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রুব্রিক্স সংযােজন করা হয়েছে।
(৪) রুব্রিক্সে প্রতিটি মূল্যায়ন নির্দেশকের জন্য পারদর্শিতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি নির্দেশকের জন্য আলাদা আলাদা নম্বর প্রদান করে মােট প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করতে হবে। (৫) অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ছক (নমুনা) নিম্নরূপ:
(৬) অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোন প্রকার অবহেলা, অতিমূল্যায়ন বা অমূল্যায়ন করা যাবে না।
(৭) অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ভিতরে সবল অংশ কালাে কালি দিয়ে এবং দুর্বল অংশ লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করত হবে।
(৮) মুখস্থ করে বা হুবুহু পাঠ্য পুস্তক থেকে লিখে অ্যাসাইমেন্ট তৈরি না করে পাঠ্য পুস্তকের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীর চিন্তা ভাবনা, কল্পনাশক্তি, অনুধাবন ক্ষমতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, স্বকীয়তা, সৃজনশীল ও নান্দনিক উপায়ে উপস্থাপন করার দক্ষতাকেই মল্যায়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।