স্বাস্থ্য কথা

Exam Diet: সামনে পরীক্ষা? কীভাবে ডায়েট করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে? জানুন

Rate this post

পরীক্ষা! এই নামটা শুনলেই উদ্বেগ তৈরি হয়ে যায় অধিকাংশ পড়ুয়ার মধ্যে। শুধু পড়ুয়াই নয়, চিন্তায় পড়ে যান পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও। পরীক্ষার সময় শরীর ভাল রাখাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, সেই কাজের জন্য ঠিকমতো খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাবার থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতির শক্তি মিলবে, পেট ভর্তি থাকবে মাথাও ঠান্ডা থাকবে।

অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যা খেলে গ্যাস্ট্রাইটিস, পেটের সমস্যা, পেট ফেঁপে থাকার সমস্যা তৈরি হয়। কিছু কিছু খাবার খেলে ক্লান্ত মনে হয়, ঘুমও পায়। ফলে পরীক্ষার আগে খাবারের ধরন এবং মাপ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়। কী কী খাবার খাওয়া যাবে, কী কী এড়াতে হবে? পরামর্শ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পলা গোয়েলের।

আগে বুঝে নিতে হবে, পরীক্ষার আগে শরীরে ঠিক কী পরিস্থিতি হয়। পরীক্ষায় সময় এমনিতেই সবাই স্ট্রেসে থাকে। ছোট হোক কিংবা বড়- যে কোনও বয়সেই পরীক্ষার আগে উদ্বেগ থাকে। পরীক্ষায় ভাল ফল করার জন্য যেমন ঠিকমতো পরিকল্পনা, প্রস্তুতি দরকার। তেমনই খাবারের ক্ষেত্রেও পরিকল্পনা এবং সতর্কতা দরকার। ঠিকমতো ডায়েট পরীক্ষার্থীদের চিন্তামুক্ত থাকতে এবং মনসংযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য় করে।

পড়াশোনার জীবনে পরীক্ষা তো থাকবেই। সেটা এড়ানো যাবে না। ফলে পরীক্ষার আগে-পরে ঠিকমতো খাওয়া এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এমন হলে পরীক্ষার্থীর পুষ্টি ঠিকমতো হবে। ব্রেকফাস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যতই চাপ থাকুক ব্রেকফাস্ট বন্ধ করা যাবে না। সময়মতো ব্রেকফাস্ট খেতেই হবে। দীর্ঘক্ষণ পেট খালি থাকলে গ্যাস-অম্বল হতে পারে, ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে যেতে পারে। এর ফলে মনসংযোগে সমস্যা হতে পারে। যা পরীক্ষায় প্রভাব ফেলবে।

পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত চিন্তা, নার্ভাসনেসের কারণে খিদে কমে যেতে পারে, পরীক্ষার্থীরা খেতে চাইতে না পারে। কিন্তু তাহলেও অল্প সময় বের কের খেতেই হবে। পেট ভর্তি করে না খেলে এনার্জি পাওয়া যাবে না। তেমন হলে পড়াশোনার সময় সহজেই ক্লান্তি এসে যেতে পারে। পেট ভর্তি থাকলে মনসংযোগও থাকবে। পেট খালি থাকলে পড়াশোনায় মন বসবে না। প্রস্তুতিও বিঘ্নিত হবে।

বেশ কিছু ধরনের খাবার রয়েছে যা সহজেই মনসংযোগ বৃদ্ধি করে। সতর্ক রাখতে, দীর্ঘক্ষণ এনার্জি লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে। পরীক্ষার আগে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তার মধ্যে থাকবে ডিম, বাদাম, পনির এবং দই।

ব্রেকফাস্টের মধ্যে হোল-গ্রেইন, দুধ, কর্নফ্লেক্স, ওটস থাকতে পারে। পাউরুটি সেঁকে নিয়ে খাওয়া যাবে। সঙ্গে জ্যাম বা মাখন রাখা যেতে পারে। তাছাড়া, চিঁড়ে, রুটি-তরকারি, মুড়িও বেশ ভাল খাবার। সকালে খাবারের সঙ্গে কলা, পেয়ারা, আপেল. পেঁপে, নাশপাতির মতো ফল রাখা যায়। সুজি, ইডনি-দোসাও ব্রেকফাস্ট হিসেবে অত্যন্ত ভাল। এসবের সঙ্গেই বাদাম দেওয়া যেতে পারে। স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে এবং এনার্জি বজায় রাখতে বাদাম গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদেরা জানান, পরীক্ষার সময় কমলা, লেবু, কলা, আঙুর এবং শাকপাতা জাতীয় আনাজ খাওয়া উচিত। দই শুধুমাত্র প্রোটিনের ভাল উৎস তাই নয়, প্রোবায়োটিকের উৎসও।

পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পেট ফাঁপা, বদহজম রুখতেও কার্যকরী। কার্বোহাইড্রেটে ঠাসা খাবার এই সময়টা এড়ানো উচিত। অতিরিক্ত তেলেভাজাও খাওয়া উচিত নয়।

আরও কিছুদিকে নজর:

পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাবের জল, গ্লুকোজ জল খেতে হবে। অল্প অল্প হালকা খাবার খেতে হবে। একেবারে ভারী খাবার এড়ানোই ভাল। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে রাখতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পাতে থাকুক, তাহলে পেট ভাল থাকবে। খাবারের সঙ্গে কলা, পেয়ারা, আপেল. পেঁপে, নাশপাতির মতো ফল রাখা যায়।বেশি চিনি ও নুন এড়াতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, পিৎজা-বার্গারের মতো খাবার পরীক্ষার সময় নয়। বেশি চা-কফি না খাওয়াই ভাল।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button