শাবান মাসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যে দুইটি কারণে বেশি নফল রোযা রাখতেন।
শাবান মাস আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার নির্ধারিত ১২ মাসের একটি অন্যতম মাস। এ মাসের রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। এ মর্যাদার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন।

শাবান মাস সম্পর্কে আমাদের অনেকেই সঠিকভাবে কিছু জানিনা। শাবান মাস এমন একটা মাস, যেই মাসে বান্দার সারা বছরের আমলের হিসাব আল্লাহর কাছে জমা দেওয়া হয়। রাসুল (সাঃ) শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোযা রাখতেন। রমজানের পরে বছরে দুই মাসে বেশি নফল রোযা রাখতে হয়। একটি হল মহররম আর অন্যটি হল শাবান মাস। এ বিষয়ে অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ
শাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসেই রোজা রাখতেন। (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) শাবনা মাসের শুরুর দিকে বেশি বেশি নফল রোযা রাখতেন। তবে শাবানের শেষের দিকে রোযা রাখতেন না । শাবান মাস সম্পর্কে একজন সাহাবী জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ), আমি আপনাকে শাবান মাসে বেশি রোযা রাখতে দেখি এর কারণটা কি? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দুইটি কারণ বলেছেনঃ
- এই মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। ফেরেশতারা বান্দার সারা বছরের হিসাব জমা দেন। তাই আমি চাই আমার হিসাব যখন জমা দেওয়া হবে, ঐ সময়টাতে আমি একটু আমলে থাকি, রোজার মধ্যে থাকি। যাতে করে আমার আমল জমা দেওয়ার সময় আল্লাহপাক আমাকে ইবাদাতরত অবস্থায় দেখেন।
- এই মাসে মানুষ গাফেল বেশি থাকে। কারণ সামনে রমজান আসতেছে তখনতো ইবাদাত করবই এই ভেবে। এই জন্য আগে থেকে ইবাদাত করে না। রজব মাস সম্মানিত মাস, রমজান মাস শ্রেষ্ঠ মাস আর মাঝখানে শাবান মাসটা গাফেল থাকে। তাই নবী করীম (সাঃ) এই মাসে বেশি বেশি নফল রোযা রাখতেন।
তাই শাবান মাসে শ্রেষ্ঠ আমল হল নফল রোযা রাখা। দুই-চারটা করে করে শুরুর দিকে রোযা রাখার চেষ্টা করা। আল্লাহপাক আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
