গণশিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তোমাদের এলাকায় একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট একটি দরখাস্ত লেখ।
২৫ জানুয়ারি, ২০২০
বরাবর
জেলা শিক্ষা অফিসার
নরসিংদী।
জেলা শিক্ষা অফিসার
নরসিংদী।
বিষয় : নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, নরসিংদী জেলার চর উজিলার একটি জনবহুল গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় বারো হাজার লোকের বসবাস। হাতে গোনা অল্প গুটিকয়েক ছাড়া বাকি সবাই নিরক্ষর। অনেকক্ষেত্রে তারা অসচেতন। ন্যূনতম লেখাপড়ার অভাবে তারা আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে না। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারেও তারা খুব উদাসীন। তাছাড়া খাদ্য-পুষ্টি, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, পরিবার-পরিকল্পনা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি সম্পর্কেও এরা সম্পূর্ণ অজ্ঞ। নিরক্ষরতার অভিশাপে এরা চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তাদেরকে এ অবস্থা থেকে বের করতে না পারলে গ্রামটি অন্ধকারেই থেকে যাবে। তবে গ্রামের সার্বিক উন্নয়নে এখানকার কয়েকজন শিক্ষিত উদ্যমী যুবক স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কীভাবে এ গ্রামটি থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ করা যায় সে লক্ষ্যে তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য গ্রামে একটি নৈশ বিদ্যালয় আবশ্যক। একটি নৈশ বিদ্যালয় থাকলে বয়স্কদের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে নিরক্ষরতা দূরীকরণ সম্ভব। কেননা এখানকার অধিকাংশ লোকই সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। রাতের বেলায় পড়াশোনা করতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এই গ্রামে কোনো নৈশ বিদ্যালয় নেই। ফলে বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিনীত নিবেদন এই যে, নরসিংদী জেলার চর উজিলার একটি জনবহুল গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় বারো হাজার লোকের বসবাস। হাতে গোনা অল্প গুটিকয়েক ছাড়া বাকি সবাই নিরক্ষর। অনেকক্ষেত্রে তারা অসচেতন। ন্যূনতম লেখাপড়ার অভাবে তারা আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে না। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারেও তারা খুব উদাসীন। তাছাড়া খাদ্য-পুষ্টি, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, পরিবার-পরিকল্পনা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি সম্পর্কেও এরা সম্পূর্ণ অজ্ঞ। নিরক্ষরতার অভিশাপে এরা চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তাদেরকে এ অবস্থা থেকে বের করতে না পারলে গ্রামটি অন্ধকারেই থেকে যাবে। তবে গ্রামের সার্বিক উন্নয়নে এখানকার কয়েকজন শিক্ষিত উদ্যমী যুবক স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কীভাবে এ গ্রামটি থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ করা যায় সে লক্ষ্যে তারা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য গ্রামে একটি নৈশ বিদ্যালয় আবশ্যক। একটি নৈশ বিদ্যালয় থাকলে বয়স্কদের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে নিরক্ষরতা দূরীকরণ সম্ভব। কেননা এখানকার অধিকাংশ লোকই সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। রাতের বেলায় পড়াশোনা করতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এই গ্রামে কোনো নৈশ বিদ্যালয় নেই। ফলে বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে এখানে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রার্থনা করছি। অতএব, মহাত্মন সমীপে বিনীত আরজি, গ্রামের মানুষের নিরক্ষরতা দূরীকরণে অনতিবিলম্বে আমাদের গ্রামে একটি নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের বাধিত করবেন।
বিনীত
চর উজিলাব গ্রামবাসীর পক্ষে
৬৩৪
আফসার উদ্দিন।
চর উজিলাব গ্রামবাসীর পক্ষে
৬৩৪
আফসার উদ্দিন।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
