বর্তমান সময়ের আধুনিক বিজ্ঞান এতটাই উন্নত হয়েছে যে তারা মানুষের আগুলের ছাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট মানুষকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান আসলে কী বলে?
মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ
মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার হাড়গুলােকে সংযােজন করতে পারব না? প্রকৃতপক্ষে আমি তার আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত যথাযথভাবে সুবিন্যস্ত করতে সক্ষম।” (সূরা আল-ক্বিয়ামাহ: ৭৫, আয়াত – ৩-৪)
মৃত ব্যক্তির অস্থি পঞ্জর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে মাটির সাথে মিশে যাওয়ার পর পুনরুত্থান ঘটার ও বিচার দিবসে কিভাবে প্রত্যেককে সনাক্ত করা সম্ভব হবে এ ব্যাপারে অবিশ্বাসীগণ বিতর্ক করে থাকে। এ প্রশ্নের উত্তর সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। তিনি কেবলমাত্র অস্থি-পঞ্জরকেই শুধু সংযােজিত করবেন না বরং আমাদের আঙ্গুলের রেখাসমূহকেও (আঙ্গুলের ছাপকে) তিনি নিখুঁতভাবে পুনরায় তৈরী করবেন। ব্যক্তি পরিচয় স্থিরকরনের বিষয় বলতে গিয়ে কেন কুরআন সুনির্দিষ্টভাবে আঙ্গুলের অগ্রভাগের কথা বলল?
![]() |
ছবি সূত্রঃ iStock |
স্যার ফ্রান্সিস গােল্ট (Sir Francis Golt) এর গবেষণালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে, ১৮৮০ সনে (মানুষ) সনাক্তকরণে আঙ্গুলের ছাপকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়। সারা বিশ্বে এমন দু’জন ব্যক্তি নেই যাদের আঙ্গুলের ছাপের ধরন হুবহু একই। এমনকি একই রকমের যমজ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও হয় না। এ কারণে বিশ্বব্যাপী সকল পুলিশ বাহিনী অপরাধী সনাক্তকরণে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে থাকে।
১৪০০ বছর পূর্বে প্রত্যেক ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের স্বতন্ত্র তা কে জানত? অবশ্যই স্বয়ং স্রষ্টা ব্যতীত আর কেউই জানত না।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।