মুসলিম বিজ্ঞানী ইবনে নাফিস (Ibn Nafees) রক্ত সঞ্চালন সম্পর্কীয় তথ্য বর্ণনা দেয়ার ৬০০ বৎসর পূর্বে এবং উইলিয়াম হার্ভে (Willium Herwey) এই রক্ত সঞ্চালনের জ্ঞান পশ্চিমা জগতে ছড়িয়ে দেয়ার ১০০০ বছর পূর্বে কুরআন অবতীর্ণ হয়। প্রায় ১৩০০ বছর পূর্বে এটা জানা ছিল যে, অন্ত্রে কি ঘটে এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় খাদ্যের বিভিন্ন উপাদান শশাষিত হয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের পুষ্টি সাধন করে। কুরআনের একটি আয়াত দুধের উপাদানগুলাের উৎসের বর্ণনা দিয়েছে যা উল্লেখিত অভিমতের সাথে সংগতিপূর্ণ। উপরােক্ত ধারণা সম্পর্কে আল-কুরআনের আয়াত বুঝতে হলে এটা জানা প্রয়ােজন যে, অন্ত্রে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়, ফলে খাদ্যদ্রব্য বিশ্লেষিত হয়ে বিভিন্ন উপাদানে বিভক্ত হয়। এই উপাদানগুলাে একটি জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের প্রকৃতি অনুযায়ী সরাসরি কখনও কখনও লিভারের পথ পরিক্রমায় রক্ত প্রবাহে মিশে। রক্ত ঐগুলাে বহন করে নিয়ে যায় দেহের সকল অঙ্গপ্রতঙ্গে যাদের মধ্যে আছে দুগ্ধ উৎপাদনকারী গ্রন্থি।
![]() |
ছবি সূত্রঃ iStockphoto |
সহজ কথায়, অন্ত্রে বিদ্যমান বস্তুসামগ্রীর মধ্যে বিশেষ বিশেষ উপাদান অন্ত্ৰপ্রাচীরের নালীতে প্রবেশ করে এবং এইসব উপাদানগুলাে রক্তের দ্বারা বাহিত হয়ে বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গে পৌঁছায়। যদি আমরা কুরআনের নিম্নলিখিত আয়াতটির মর্মার্থ বুঝতে চাই তাহলে, উল্লেখিত ধারণাটির যথার্থ মূল্যায়ন করা যায়।
নিশ্চয়ই তােমাদের জন্য গবাদি পশুর মধ্যে শিক্ষা রয়েছে। আমি তাদের পেটের গােবর ও রক্তের মধ্য হতে তােমাদেরকে পান করাই বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা তাদের জন্য তৃপ্তিদায়ক, যারা পান করে।” (আল-কুরআন-১৬ : ৬৬)
আর অবশ্যই তােমাদের জন্য গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, তােমাদেরকে পান করাই এদের উদরস্থিত বস্তু হতে একটি জিনিস (দুধ) এবং তাদের মধ্যে তােমাদের জন্য রয়েছে প্রচুর উপকারিতা আর তােমরা তাদের কতককে খাও।” (আল-কুরআন-২৩: ২১)
১৪০০ বছর পূর্বে কুরআনে দুগ্ধ উৎপাদনের বর্ণনাটি বিস্ময়করভাবে হুবহু একই যা আধুনিক শরীর তত্ত্ববিদ্যা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
