অনেকেই মনে করেন কোলেস্টেরল শরীরের জন্য খারাপ। আমাদের এরূপ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে চাইলে খাদ্যতালিকায় আস্ত ডিম রাখতে হবে।
আধুনিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মের কারণে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। আর তার হাত ধরেই ব্রাত্য হয় নানা খাওয়াদাওয়া। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড, স্থূলতা, পলিসিস্টিক ওভারি জীবনশৈলীর দোষে তৈরি হওয়া এ সব রোগের হানায় খাদ্যতালিকা থেকে বাদ হয়ে যায় অনেক প্রিয় খাবারদাবার।
ডিম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! তবে কোলেস্টেরলের ভয়ে অনেকেই ডিমের কুসুম বাদ দেন। পুষ্টিবিদদের মতে, এক সময় কোলেস্টেরলের ভয়ে রোগীর পাতায় ডিমের কুসুম রাখা হতো না। কিন্তু বেশ কিছু আধুনিক গবেষণা, বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অন্যথা বলে।
ডিমের মোট দুইটি অংশ। সাদা অংশে প্রোটিন এবং কুসুমে রয়েছে কোলেস্টেরল, ভিটামিন বি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সমস্ত উপাদানগুলি আমাদের বিভিন্ন জৈবিক কাজে ব্যবহৃত হয়। কোলেস্টেরলের কিছু প্রয়োজনীয় কাজও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি পিত্ত অ্যাসিড গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি প্রদানের পাশাপাশি কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। কোলেস্টেরল শরীরে বিভিন্ন যৌন হরমোন নিঃসরণেও সাহায্য করে। কোলেস্টেরল শরীরের জন্য খারাপ এই ধারণা বদলাতে হবে। শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে চাইলে খাদ্যতালিকায় আস্ত ডিম রাখতে হবে।
দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ?
দিনে দুইটি কুসুমসহ ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু সংখ্যা তার বেশি হলে সাদা অংশ খান। কারণ অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ভালো নয়। যে বলে, ডিম আবার তেলে ভাজা বা মাখনে বেকড খাবেন না। সেদ্ধ ডিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। তেল এবং মশলা থেকে দূরে থাকুন। গ্রিল, ফাস্ট ফুড বাদ দিন। এতে কোলেস্টেরলের ভয় কমবে। তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
ডিমের কুসুমের পুষ্টিগুণ
ডিমের কুসুম প্রথম শ্রেণীর প্রোটিন। ডিমের কুসুম ছাড়া শুধু সাদা অংশ খান তাহলে বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে বঞ্চিত হবেন। একটি সম্পূর্ণ ডিমে ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ডিমের কুসুম বাদে প্রোটিনের পরিমাণ ৩ গ্রাম। প্রোটিন ছাড়াও কোলিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, বি, ই, ডি এবং কে রয়েছে ডিমের প্রায় সব পুষ্টিগুণ। ডিমের কুসুম খাদ্যতালিকায় কোলিন এবং ভিটামিন ডি এর একটি চমৎকার উৎস।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।