আমরা অনেকেই ভাগে বা একাধিক শরীক নিয়ে কুরবানি দিয়ে থাকি। কিন্তু সব পশুতে কি ভাগে কুরবানি দেওয়া যায়? তাছাড়া যারা শরীক আছেন তাদের উপার্জন যদি হালাল না হয় তাহলে কি তাদের শরীক করা যায়েজ হবে? আজ এ বিষয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব।
![]() |
কুরবানিতে শরীকদারদের উপার্জন হালাল না হলে কারও কুরাবনি শুদ্ধ হবে না। |
একটা পশুতে কয়জন শরীক হতে পারে?
১। বকরী, খাসী, ভেড়া, ভেড়ী ও দুম্বায় এক জনের বেশী শরীক হয়ে কুরবানী করা যায় না। এগুলাে একটা একজনের নামেই কুরবানী হতে পারে।
২। একটা গরু, মহিষ ও উটে সর্বোচ্চ সাতজন শরীক হতে পারে । সাতজন হওয়া জরুরি নয়- দুইজন বা তিনজন বা চারজন বা পাঁচজন বা ছয়জন কুরবানী দিতে পারে, তবে কারও অংশ সাত ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম হতে পারবে না।
৩। মৃত ব্যক্তির নামেও কুরবানী হতে পারে।
৪। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর বিবিগণ ও বুযুর্গদের নামেও কুরবানী হতে পারে।
৫। যে ব্যক্তি খাঁটি অন্তরে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানী করে না বরং গােশত খাওয়া বা লােক দেখানাে ইত্যাদি নিয়তে কুরবানী করে, তাকে অংশীদার বানিয়ে কোন পশু কুরবানী করলে সকল অংশীদারের কুরবানী-ই নষ্ট হয়ে যায় । তাই শরীক নির্বাচনের সময় খুবই সতর্ক থাকা দরকার।
৬। কুরবানীর পশু ক্রয় করার সময় ক্রেতার শরীক রাখার এরাদা ছিল না, পরে শরীক গ্রহণ করতে চাইলে ক্রেতা গরীব হলে তা পারবে না, অন্যথায় পারবে।
৭। যার সমস্ত উপার্জন বা অধিকাংশ উপার্জন হারাম, তাকে কুরবানিতে শরীক করে কুরবানি করলে অন্যান্য সকল শরীকের কুরবানি অশুদ্ধ হয়ে যাবে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
