বাংলা রচনা

বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও তার প্রতিকার | রচনা

4.9/5 - (158 votes)

বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও তার প্রতিকার রচনা

তোমরা অনেকেই বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও তার প্রতিকার রচনাটির জন্য অনুরোধ করেছিলে। আজকের রচনাটি থেকে আমরা জানতে পারবো জনসংখ্যা সমস্যা কী? জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণগুলো কী কী? এই সমস্যা দেশের উপর কিরূপ প্রভাব ফেলে এবং এর প্রতিকারের উপায়গুলো কী কী।

ভূমিকা

বাংলাদেশ অতি ক্ষুদ্রাকার জনবহুল একটি দেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট হলেও জনসংখ্যার দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহৎরাষ্ট্র। আর রাষ্ট্রের উপাদানের মধ্যে জনসংখ্যা অন্যতম। কিন্তু দক্ষ জনসংখ্যা একটি রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য যেমন আশীর্বাদস্বরূপ তেমনি অধিক জনসংখ্যা একটি রাষ্ট্রের জন্য অভিশাপস্বরূপ। সেদিক থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা অভিশাপে পরিনত হয়েছে। দেশকে এই অভিশাপ থেকে রক্ষা করার জন্য অচিরেই জনসংখ্যা সমস্যার প্রতিকার করা প্রয়োজন।

জনসংখ্যা সমস্যা কী

একটি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মােট মানুষের সংখ্যাকে জনসংখ্যা বলে। আর এ জনসংখ্যা যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও জীবনযাত্রার স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করে, তখন তাকে জনসংখ্যা সমস্যা বলে অভিহিত করা হয়। ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব অনুযায়ী দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায় গাণিতক হারে, কিন্তু জনসংখ্যাবৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে। ম্যালথাসের তত্ত্বানুযায়ী কোনাে দেশে জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার খাদ্য উৎপাদনের হারকে অতিক্রম করলে সে দেশের জনসংখ্যা অতিরিক্ত জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হবে। অতিরিক্ত মানুষ সর্বক্ষেত্রে বিপত্তি সৃষ্টি করে, তখন জনসংখ্যা সমস্যার উদ্ভব হয়।

ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব

অর্থনীতিবিদ ম্যালথাস জনসংখ্যার অতিরিক্ত বৃদ্ধির পরিণাম সম্পর্কে ইংল্যান্ডবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ম্যালথাসের মতে, “দেশের চরম দারিদ্র্য এবং অর্থনৈতিক পশ্চাদপদতার জন্যে দায়ী হচ্ছে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ। মানুষের বৃদ্ধি ঘটে গুণােত্তর গতিতে; কিন্তু তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পায় সমান্তর গতিতে। ফলে প্রতি ২৫ বছরে কোনাে ভূখণ্ডের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে উঠছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ হার বজায় থাকলে এমন এক সময় আসবে যখন জনগণের জন্যে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকবে না। সৃষ্টি হবে ভারসাম্যহীন পরিবেশ। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং জীবনযাত্রার মানের সংকট প্রকট আকার ধারণ করবে।”

জনসংখ্যা সমস্যার স্বরূপ

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেনঃ

Overpopulation in various countries has become a serious threat to the health of people and a grave obstacle to any attempt to organize peace on this planet.

বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ টমাস রবার্ট ম্যালথাস জনসংখ্যা সমস্যার স্বরূপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তাঁর মতে, জনসংখ্যার আধিক্যই দেশের চরম অর্থনৈতিক দুর্গতি ও অবনিতর মূল কারণ। কারণ খাদ্য উৎপাদন ও জনসংখ্যা একটি অপরটির সাথে গভীরভাবে জড়িত। জনসংখ্যা একটি দেশের জন্য বড় একটি শক্তি হতে পারে যদি সে দেশে জনসংখ্যা থেকে খাদ্য উৎপাদন অধিক হয়। এর বিপরীত হলে জনসংখ্যা সে দেশের জন্য অভিশাপরূপে আবির্ভূত হয়। জীবন ও জীবিকা সংস্থানের ক্ষেত্রে চরম অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত হয়। সর্বোপরি জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে আসে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি ও বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অনতম। এদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১২৫ জন লোক বাস করে। তাছাড়া প্রতিদিন যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তা সত্যি উদ্বেগজনক। এভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে অচিরেই দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশে সর্বশেষ আদমশুমারি ২০১১ সালের ১৫ থেকে ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ২০২২ সালে ১৫-২১ জুন প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ কার্যক্রম প্রকল্প শুরু হয়েছে। ২০১১ সালের  শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন। ২০২২ সালের জনশুমারি-২০২২ এর তথ্য মতে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যার মধ্যে নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ২০৬ জন, পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লক্ষ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ১২ হাজার ৬২৯ জন।

অন্যদিকে ২০২২ সালের সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬৫ মিলিয়ন। সুতরাং বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা কত? এর সঠিক উত্তর পাওয়া অসম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন এর সংখ্যা ২০ কোটির কম হবে না।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা ও তার প্রতিকার
সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভয়াবহতা

ম্যালথাস-এর তত্ত্ব যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, এটি এদেশে অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। আজ বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই এর করুণ অবস্থা। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটির বেশি। এদেশে প্রতি হাজারে ১৮.৮ জন শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫.১ জন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হচ্ছে ১.৩৭%। জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিশ্বের সবচেয়ে বেশি। আগামী ২০ বছর পরে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৩০ কোটিতে। আমরা যা দেখতে পাই, তা এক রক্ত হিম করা সর্বনাশা দৃশ্য। জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়েনি জমি এবং উল্লেখযােগ্য পরিমাণে ফসলের উৎপাদন। ফলে জনগণের একটি বিরাট অংশ সীমাহীন দারিদ্রের দিকে দিনদিন ধাবিত হচ্ছে। বস্ত্রহীন কঙ্কালসার এই মানুষগুলাের জন্যে উপযুক্ত গৃহসংস্থান, চিকিৎসা স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা কিছুই নেই। জনগণের এ হতভাগ্য বিরাট অংশকে দেখা যায় রেলস্টেশন, বস্তি, লঞ্চ ও স্টিমার ঘাট, উন্মুক্ত প্রান্তর এবং শহরের ডাস্টবিনের পাশে।

বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ

বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে একক কোন কারণ দায়ী নয়। বরং নানাবিধ কারণ বিদ্যমান। নিচে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণসমূহ তুলে ধরা হলোঃ

১। আবহাওয়া ও জলবায়ু : বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু যৌবনপ্রাপ্ততা ও সন্তান প্রজননের সহায়ক। এ দেশের আবহাওয়া গরম ও আর্দ্র। আর জলবায়ু ও মনােরম প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে অল্প বয়সেই মানুষ যৌবনপ্রাপ্ত হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যাবৃদ্ধি পায়।

২। শিক্ষার অভাব : শিক্ষিত মানুষ যেমন সচেতনভাবে পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তােলে অশিক্ষিত মানুষ ঠিক সেভাবে পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তুলতে পারে না। ফলে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে অজ্ঞতাবশত অনেক সন্তান নিয়ে থাকে। তাই জনসংখ্যাবৃদ্ধি পায়।

৩। ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার: বাংলাদেশের অধিকাংশ লােকের মধ্যে ধর্মভীরুতা রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি, গোড়ামি ও কুসংস্কার বিদ্যমান। তারা বিশ্বাস করেন ইসলাম ধর্মে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ নিষিদ্ধ। আবার বলেন মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি। এসব ভ্রান্ত কুসংস্কারের কারণে সন্তান সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

৪। নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন : নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের অভাবে জনসংখ্যাবৃদ্ধি পায়। কারণ কর্মজীবী নারীরা তাদের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন থাকে বলে পরিবার ছােট রাখে । অন্যদিকে অশিক্ষিত নারীরা ছােট পরিবার সম্পর্কে অসচেতন তাই তারা পরিবার বড় করতে দ্বিধা করে না।

৫। বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ : বাংলাদেশে পল্লি এলাকায় অশিক্ষিত ও নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে বাল্যবিবাহ একটি প্রচলিত রীতি। অল্প বয়সে বিয়ে হলে মেয়েরা ঘন ঘন সন্তান ধারণ করে। অপরদিকে বহুবিবাহ প্রথাও পরিবারের জনসংখ্যাবৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

৬। খাদ্যাভ্যাস : আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত, মাছ, রুটি, মাংস ইত্যাদি। এসব আমিষ জাতীয় খাদ্য মানুষকে দ্রত প্রজননক্ষম ও সন্তান জন্মদানের উপযােগী করে তােলে। ফলে জনসংখ্যাবৃদ্ধি পায়।

৭। দারিদ্র্য : শ্রমজীবী ব্যক্তিদের প্রজনন ক্ষমতা বেশি। তারা দারিদ্রের কষাঘাতে নিপতিত থাকে বলে নিজেদের জীবন
নিয়ে তেমন ভাবে না। বরং দৈহিক কামনার মাধ্যমে আনন্দ উপভােগ করে। ফলে অধিক হারে সন্তান জন্ম দান করে।

৮। পুত্রসন্তান আগ্রহ : পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থায় নারীদের মূল্যায়ন করা হয় না। তাছাড়া পুত্রসন্তানকে বংশের বাতি
বলা হয়। এ কারণে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত দম্পতি পুত্রসন্তানের আশায় অধিক সন্তান গ্রহণ করে থাকে। ফলে জনসংখ্যাবৃদ্ধি পায়।

৯। অর্থনৈতিক কারণ : পরিবার বড় করার পেছনে অর্থনৈতিক চিন্তাধারা তথা অর্থনৈতিক কারণও সক্রিয় রয়েছে। দরিদ্র লােকেরা উপার্জনে কাজে লাগানাের জন্য বেশি সন্তান কামনা করেন। সচ্ছল পিতামাতাও শেষ জীবনে সন্তানের বিশেষ করে পুত্র সন্তানের উপর নির্ভর করার মানসে বেশি সন্তান গ্রহণ করে থাকে।

১০। চিত্ত ও বিনােদনের অভাব : বাংলাদেশে চিত্তবিনােদনের সুষ্ঠু সুযােগ ও পরিবেশ নেই। তাই মানুষ দাম্পত্য যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে বিনােদনের অভাব পূরণ করতে চায়। ফলে অধিক সন্তান জন্ম নেয়। এতে জনসংখ্যাবৃদ্ধি পায়।

১১। জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অজ্ঞতা : বাংলাদেশের অধিকাংশ লােক অশিক্ষিত। তাই তারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতন নয়। আবার অনেকে একে পাপের কাজ মনে করে। ফলে জনসংখ্যাবৃদ্ধি পায়।

১২। জন্ম ও মৃত্যুহারে পার্থক্য : বাংলাদেশ চিকিৎসাশাস্ত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করার ফলে মানুষের অনাকাক্ষিত ও
অকাল মৃত্যু হাস পেয়েছে । শিশু মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে আশানুরূপ । এসব কারণে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থূল জন্মহার ও স্থূল মৃত্যুহারের মধ্যে পার্থক্য সূচিত হওয়ায় মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে।

১৩। যৌথ পরিবার ব্যবস্থা : বাংলাদেশের যৌথ পরিবার ব্যবস্থা উচ্চ জন্মহারে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে গ্রামীণ যৌথ পরিবারে সন্তান জন্মদান ও লালন-পালন তেমন ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। আর এর ফলে অধিক সন্তান জন্মদানকে তেমন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গন্য করা হয় না।

১৪। কৃষিভিত্তিক সমাজ কাঠামো : বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা প্রধানত কৃষিনির্ভর। গ্রাম এলাকার শ্রমজীবী জনগনের শতকরা ৮০ জনই কৃষিকাজ করে জীবিকা নিরবাহ করে। অধিক সন্তান কৃষিকাজের জন্য খুবই সহায়ক। এজন্য কৃষিকাজের সুবিধার্থে অধিক সন্তান জন্মদানের প্রবণতা আমাদের দেশের অনেক পরিবারে লক্ষ্য করা যায়। ফলে গ্রামাঞ্চলে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৫। শিশু মৃত্যুহারের আধিক্য : বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৫৬ জন। এজন্য শিশু সন্তানের মৃত্যুর আশঙ্কায় পিতা-মাতা দু-একটি সন্তান নিয়ে ভরসা পায় না এবং অধিক সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল

যে কোনাে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সে দেশের জনসংখ্যার গঠন ও বণ্টনের ওপর নির্ভরশীল। দেশের সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা অধিক হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের অধিক জনসংখ্যা নিম্নলিখিত সমস্যাগুলাের সৃষ্টি করে :

১। খাদ্য ঘাটতি। ২। বেকারত্ব বৃদ্ধি। ৩। মাথাপিছু আয় হ্রাস। ৪। মূলধন গঠনে বাধা। ৫। কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাস। ৬। ভূমির খণ্ড-বিখণ্ডতা বৃদ্ধি। ৭। ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি। ৮। শিল্পোন্নয়নে বাধা। ৯। শিক্ষার অভাব। ১০। চিকিৎসার অভাব। ১১। পুষ্টিহীনতা। ১২। সুবিধালাভে বঞ্চিত। ১৩। কাঁচামাল উৎপাদন ব্যাহত। ১৪। চাহিদাবৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি। ১৫। বাসস্থানের সমস্যা। ১৬। পরনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি। ১৭। পরিবেশদূষণ। ১৮। চলাফেরায় অসুবিধা। ১৯। জীবনীশক্তি হ্রাস। ২০। দুর্ভিক্ষ, মহামারি। ২১। মূল্যবােধে চিড় ধরা। ২২। প্রতিযােগিতার রেষারেষি তীব্র হওয়া। ২৩। সামাজিক অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি। ২৪। বিদেশি ঋণ বৃদ্ধি।

এসব কারণে জাতীয় জীবনে নেমে আসে দুর্দশা।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক জীবনে জনসংখ্যাস্ফীতির প্রভাব

জনসংখ্যা বিস্ফোরণ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনসংখ্যাস্ফীতির যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তা হলাে খাদ্য ঘাটতি, নির্ভরশীল জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি, বেকারত্ব বৃদ্ধি, শিক্ষার অভাব, বস্ত্র ঘাটতি, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সমস্যা বৃদ্ধি, বাসস্থান সমস্যা, ভূমির ওপর চাপ, মূলধন গঠন ও শিল্পায়ন ব্যাহত, পরিবেশ দূষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা, নিম্ন মাথাপিছু আয়, দুর্নীতি ও অপরাধ বৃদ্ধি, জনসংখার গুণগত ভারসাম্যহীনতা ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিকার

বাংলাদেশে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ এমন আকার ধারণ করেছে যে, এ থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। তবে সচেতনতা ও গুরুত্বের সাথে বিষয়টি বিবেচনা করে কতিপয় পদক্ষেপ নিলে জনসংখ্যাবৃদ্ধির হারকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব। নিম্নে এ বিষয়গুলাে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১। শিক্ষাবিস্তার : শিক্ষাবিস্তার জনসংখ্যাবৃদ্ধি রােধের প্রধান নিয়ামক। কারণ শিক্ষা গ্রহণের ফলে জনগণ দেশের সমস্যা সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারবে এবং সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারবে। তাছাড়া শিক্ষিত নারী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করলে তাদের মধ্যে অধিক হারে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রবণতা কমে যাবে।

২। ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূরীকরণ : বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। তারা ধর্মের স্বচ্ছ জ্ঞানের অভাবে গোঁড়ামি ও কুসংস্কারে আবদ্ধ থাকে। তাই ধর্মীয় নেতা বা ইমামদের কাজে লাগিয়ে মানুষের এই ধর্মীয় অজ্ঞতা ও গোঁড়ামি দূর করতে হবে। তবে জনসংখ্যা রােধ সম্ভব।

৩। নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি : নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফল করতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। পেশা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে তাদের গর্ভধারণ হার হ্রাস পাবে। নারীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সন্তান ধারণে বাধ্য করা যাবে না।

৪। বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রােধ : বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রােধ করতে পারলে জনসংখ্যার হার কমানাে যেতে পারে। তাই অল্প বয়সে বিয়ে না দিয়ে দেরিতে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ এতে দম্পতিদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়।

৫। পরিবার পরিকল্পনার বিস্তার : পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচিকে সাধারণ মানুষের দোরগােড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষ করে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকরণ সহজলভ্য করতে হবে। নারীদের মাঝে প্রয়ােজনীয় জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে। তবেই জনসংখ্যাবৃদ্ধি রােধ সম্ভব হবে।

৬। চিত্তবিনােদনের ব্যবস্থা গ্রহণ : জনসংখাহ্রাসের জন্য গ্রাম ও শহরে চিত্তবিনােদনের ব্যবস্থা করতে হবে। চিত্তবিনােদনের ব্যবস্থা থাকলে মানুষ বিবাহিত জীবনকেই প্রমােদের একমাত্র উপায় মনে করবে না। ফলে সন্তান উৎপাদন অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

৭। দারিদ্র্য বিমােচন : দেশের দারিদ্র বিমােচনের মাধ্যমে জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার কমানাে সম্ভব। দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠিত হলে মানুষ সুখময় জীবনের স্বপ্ন দেখবে এবং সুখী পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত হবে। ফলে অধিক সন্তান জন্মদানে বিরত থাকবে।

৮। জনসংখার পুনর্বণ্টন : জনসংখার পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে জনসংখ্যাবৃদ্ধি রােধ করা সম্ভব। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনসংখ্যার ঘনত্ব খুবই কম। তাই জনসংখ্যার পুনর্বণ্টন করলে দেশ জনবসতির ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা হবে।

৯। সচেতনতা সৃষ্টি : জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত সচেতনতাই জনসংখ্যাবৃদ্ধি রােধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রচারমাধ্যমকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে
সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

১০। আইন প্রণয়ন ও শাস্তির বিধান : পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে আইন প্রণয়ন করে বাল্যবিবাহ বহুবিবাহ
ও সন্তান জন্মদানের বিষয়টি নির্ধারণ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সন্তান গ্রহণ শাস্তিযােগ্য অপরাধ বলে
বিবেচিত হবে। আর প্রণয়নকৃত আইনের যথাযথ প্রয়ােগের নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে।

১১। খাদ্যাভ্যাসের পরির্বতন : যে সকল খাদ্যাভ্যাসে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তা পরিহার করতে হবে। আর এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে।

১২। শিশুমৃত্যুর উচ্চহার রােধ : বাংলাদেশে অধিক হারে শিশুমৃত্যুর কারণে পিতা-মাতা অধিক সংখ্যক সন্তান প্রত্যাশা করে থাকে। তাই শিশু মৃত্যু রােধকল্পে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসার সুযােগ সৃষ্টি করতে হবে ।

১৩। বৃদ্ধদের ভাতা প্রদান : বৃদ্ধদের ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে । যাতে করে বৃদ্ধকালের মূলধন হিসাবে মানুষ অধিক সন্তান জন্ম না দেয় ।

বাংলাদেশে জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে নাগরিক দায়-দায়িত্ব

জনসংখ্যা বৃদ্ধি রােধ করতে হবে এবং কাম্য জনসংখ্যা গড়ে তুলতে হবে। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। এজন্য প্রয়ােজন নাগরিক সচেতনতা। আমাদেরকে ভাবতে হবে যে, কেবল আমরা নই আমাদের বংশধরেরাও যেন খেতে ও পরে ভালাে থাকতে পারে। একার পক্ষে কখই এতো বড় সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। প্রয়োজন সম্মলিত প্রচেষ্টার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সরকারের একার নয় বরং আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসংখ্যা রোধে এগিয়ে আসতে হবে। নিজ হৃদয় দিয়ে এ সমস্যাকে উপলব্ধি করতে হবে। মনে রাখতে হবে আগে নিজে বদলাতে হবে তাহলে বদলাবে দেশ।

বাংলাদেশে জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রের দায় দায়িত্ব

জনসংখ্যাধিক্য সমস্যা সমাধানের জন্য রাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি দায়-দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব সর্বাধিক সেগুলাে নিচে আলােচনা করা হলাে :
১. নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারকে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাসহ সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে।
২. দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
৩. অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা জাতীয় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি করতে হবে।
৪. পরিবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকারি দায়িত্বের বিকল্প নেই।
৫. জনশক্তি বিদেশে রপ্তানির জন্য জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে ।
৬. গঠনমূলক আইন পাস করতে হবে।
৭. সর্বোপরি বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমগুলাের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।

জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে গৃহীত পদক্ষেপ

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যথেষ্ট তৎপর হয়েছে এবং কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, তথ্য, শিক্ষা উদ্বুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন গবেষণা মূল্যায়ন ইত্যাদি। জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে এসব কর্মসূচি সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশ সরকার জনসংখ্যা সমস্যার ভয়াবহতা উপলব্ধি করেছে। জন্মহার রোধ, ক্ষেত-খামার ও কল-কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার দ্বিমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনাকে ‘স্বনির্ভর গ্রাম’ কর্মসূচির আওতামুক্ত করা হয়েছে।

উপসংহার

বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র ও দরিদ্র দেশে জনসংখ্যার অতিরিক্ত চাপ নিঃসন্দেহে প্রধান জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবেলার সময় আমাদের মনে রাখতে হবে এটি শুধু সংখ্যার প্রশ্ন নয়, এটি যেমন আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রশ্ন, তেমনি দর্শন নীতিবোধ, ধর্ম, মনস্তত্ত্ব, জৈবিক চাহিদা ইত্যাদির বহু প্রশ্নের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। সুতরাং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে জনসংখ্যা সমস্যাটি বিশ্লেষণ করে তার প্রতিকারের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র

১. ম্যালথাসের তত্ত্ব – উইকিপিডিয়া

২. বাংলাদেশকে জানুন – বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

আপনাদের জিজ্ঞাসা

জনসংখ্যা সমস্যা কী?একটি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মােট মানুষের সংখ্যাকে জনসংখ্যা বলে। আর এ জনসংখ্যা যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও জীবনযাত্রার স্বাভাবিক গতিকে ব্যাহত করে, তখন তাকে জনসংখ্যা সমস্যা বলে অভিহিত করা হয়।

বাংলাদেশে বর্তমান জনসংখ্যা কত?বাংলাদেশে সর্বশেষ আদমশুমারি ২০১১ সালের ১৫ থেকে ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এমএসভিএবি (৩য়) প্রকল্পের প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক ২০২০’ এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণগুলো কী কী?বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে একক কোন কারণ দায়ী নয়। বরং নানাবিধ কারণ বিদ্যমান। যেমনঃ আবহাওয়া ও জলবায়ু, শিক্ষার অভাব, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ, খাদ্যাভ্যাস , দারিদ্র্য , পুত্রসন্তান আগ্রহ, অর্থনৈতিক কারণ।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের উপায়গুলো কী কী?বাংলাদেশে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ এমন আকার ধারণ করেছে যে, এ থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। তবে সচেতনতা ও গুরুত্বের সাথে বিষয়টি বিবেচনা করে কতিপয় পদক্ষেপ নিলে জনসংখ্যাবৃদ্ধির হারকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব। যেমনঃ শিক্ষাবিস্তার , ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূরীকরণ, নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি,বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রােধ, পরিবার পরিকল্পনার বিস্তার, চিত্তবিনােদনের ব্যবস্থা গ্রহণ, দারিদ্র্য বিমােচন

সরকারের একার পক্ষে কী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব?সরকারের একার পক্ষে কখই এতো বড় সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। প্রয়োজন সম্মলিত প্রচেষ্টার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সরকারের একার নয় বরং আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসংখ্যা রোধে এগিয়ে আসতে হবে। নিজ হৃদয় দিয়ে এ সমস্যাকে উপলব্ধি করতে হবে। মনে রাখতে হবে আগে নিজে বদলাতে হবে তাহলে বদলাবে দেশ।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button