Uncategorized

কীভাবে লিখলে পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া যায়?

Rate this post

 প্রশ্নপত্র পড়ার শেষে পরীক্ষার্থীর একমাত্র কাজ সময় নষ্ট না করে উত্তর পত্রে গুছিয়ে উত্তর লেখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ। এক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থী যারা সকল প্রশ্নের উত্তর সুন্দরভাবে পারে তাদের প্রতি পরামর্শ হলাে একদম ধারাবাহিকভাবে উত্তর পত্রে উত্তর লেখা। অর্থাৎ যদি বিভাগওয়ারী প্রশ্নপত্র হয় তাহলে “ক বিভাগ” লিখে নিচে ০১ নং প্রশ্নের উত্তর তার নিচে পেন্সিল দিয়ে বক্র রেখার মাধ্যমে আণ্ডার লাইন অথবা টপস্টার কালার পেন দিয়ে ০১ নং প্রশ্নের উত্তর এর উপর কালার ফুল দাগ টেনে হাইলাইটস করা যেতে পারে। এভাবে একটি প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে শেষ হওয়ার পর  একটু ফাঁকা রেখে ঠিক মাঝখানে তিনটি *** চিহ্ন দিয়ে পূর্বের চেয়ে আরেকটু বেশি ফাকা রেখে ০২ নং প্রশ্নের উত্তর লিখে পূর্বের ন্যায় টপস্টার দিয়ে রঙ পেন্সিলের ন্যায় টেনে হাইলাইটস করা যেতে পারে। তারপর উত্তর লেখা শুরু ও শেষ হলে পুনরায় পূর্বের ন্যায় ফাকা রেখে তিনটি স্টার চিহ্ন দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে উত্তর লেখা শেষ করা যেতে পারে। এভাবে পর্যায়ক্রমে “খ বিভাগ” উল্লেখ করে পরের লাইনে ০৩, ০৪, ০৫ নং প্রশ্নের উত্তর লিখে একদম সুন্দর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উত্তর লেখা শেষ করা যেতে পারে। সবশেষে সমাপ্ত কথা লিখে দিবে এবং English এর ক্ষেত্রে Answer to the Q. No. 01. Answer to the Q. No. 02 এভাবে লিখে একদম শেষে END দিয়ে উক্ত লেখা শেষ করা যেতে পারে।

কীভাবে লিখলে পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া যায়
পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়ার ৯টি টিপস

এভাবে পরীক্ষার খাতায় উত্তর প্রদানের ফলে পরীক্ষার্থী সম্পর্কে পরীক্ষকের ধারণা করতে আর কষ্ট হবে না যে পরীক্ষার্থী অত্যন্ত মেধাবী এবং ভাল ফলাফল প্রত্যাশী। ফলে পরীক্ষার্থী সম্পর্কে পরীক্ষকের ধারণা স্পষ্ট হওয়ায় পরীক্ষায় যথাযথ নম্বর প্রাপ্তিতে কোনাে বাধা থাকে না।

এবার যারা একটু কম পড়ালেখা করেছে বা সব কয়টি প্রশ্নের উত্তর ধারাবাহিকভাবে দিতে চাচ্ছে না তারা যে প্রশ্নের উত্তরটি ভাল পারবে ঠিক সেটি আগে লিখার চেষ্টা করবে। তবে মনে রাখবে, প্রথম প্রশ্নের উত্তর অনেক বড় করে লিখে প্রচুর সময় শেষ করে পরেরগুলাে ভাল পারলেও সময়ের স্বল্পতার জন্যে উত্তর লেখা সংক্ষিপ্ত করে নেয়া ভাল ফলাফলের প্রতিবন্ধক বলে প্রতীয়মান।

প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে লেখা

পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া অনেকাংশে নির্ভর করে উত্তরের সঠিক মানের উপর। অনেক শিক্ষার্থী প্রচুর পড়াশুনা করা সত্ত্বেও অধিক নম্বর পায় না তার প্রধান কারণ হল খাতায় যথাযথভাবে লিখতে না পারা। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের অবগতির জন্য পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার বিষয়ে কিছু নির্দেশনা এখানে তুলে ধরা হলো:

প্রাসঙ্গিকতাঃ পরীক্ষার খাতায় উত্তর প্রাসঙ্গিক হওয়া আবশ্যক। তাই প্রশ্ন কয়েকবার পড়ে প্রশ্নের দাবি অনুযায়ী উত্তর লেখা উত্তম।

ভালো বিষয়বস্তুঃ পরীক্ষার খাতায় বিষয়বস্তু লেখার ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত। সেই সাথে যে বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা আবশ্যক তা হলঃ

  • দীর্ঘ ভূমিকা বা অনাবশ্যক লেখা বর্জন।
  • কোন সমস্যা বা সংজ্ঞা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করার সময় সে সম্পর্কে দু-তিনজন প্রখ্যাত চিন্তাবিদ বা লেখকদের অভিমত উল্লেখ করা।
  • লেখার দাবি অনুসারে দু’একটি মূল্যবান উদ্ধৃতি (quotation) লেখকের নাম, রচনার নাম, সংস্করণ ও পৃষ্ঠা সংখ্যার উল্লেখসহ লেখা।
  • পাঠ্য বই অনুসারে প্রশ্নোত্তরের স্বপক্ষে যে আলােচনা আছে তা লিখে অন্যান্য উচ্চতর শ্রেণীর বই থেকে সহায়ক কথা লেখা।
  • প্রশ্নোত্তর লেখার ক্ষেত্রে কখনাে প্রশ্নাকারে কোনাে মতামত ব্যক্ত করতে নেই। বরং প্রশ্নোত্তর লেখা মানে তাে প্রশ্নের উত্তর লেখা। সেখানে আবারও যদি ছাত্র-ছাত্রীরাই প্রশ্ন করে তাহলে উত্তর বা জবাব কে দিবে? তাই এমন মনােভাব পরিহার করা উত্তম।

সম্পূর্ণতাঃ প্রশ্নোত্তর লেখা এত বড় হলাে যে সম্পূর্ণ শেষ করা সম্ভব হলাে না, তাহলে অধিক নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিই একটি প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে। 

শুদ্ধ ভাষাঃ প্রশ্নোত্তর লেখার ভাষা শুদ্ধ ও আঞ্চলিকতা মুক্ত হওয়া আবশ্যক। 

স্পষ্ট হাতের লেখাঃ উত্তর পত্রে লেখা সুন্দর না হলেও চলবে; কিন্তু দুষ্পাঠ্য হলে চলবে না। সােজা লাইনে, লাইনগুলাের মাঝে পরিমিত ফঁক রেখে লেখার অভ্যাস করবে। লাইনের মাঝখানে ফাক থাকলে প্রয়ােজনীয় সংশােধন ও সংযােজন করা সহজ হয়।

 প্রশ্নের নম্বর অনুযায়ী সময় বণ্টন

পরীক্ষার্থীরা উত্তর পত্রে প্রশ্নোত্তর লেখার ক্ষেত্রে তার বিপরীতে যে নম্বর নির্ধারিত আছে সেদিকে খেয়াল রেখে সময় অনুযায়ী উত্তর প্রদান করার চেষ্টা করবে। সময় যথাযথভাবে নির্দেশ করে এমন একটি ঘড়ি হাতে দিয়ে পরীক্ষা হলে যাবে। ঘড়ি দেখে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর শুরু এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করবে। কোনাে প্রশ্নের উত্তর ভালাে জানা আছে বলে তা লিখতে যেয়ে বেশি সময় ব্যয় করা কোনােভাবেই ঠিক হবে না।

এবার একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হলে আরেকটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করবে। পরীক্ষা হলে সময় নষ্ট হবে এমন কিছু করা যাবে না। এমনকি পরীক্ষার মাঝখানে এদিকে ওদিকে তাকানাে, আঙ্গুল ফোটানাে (এটি একটি অভ্যাস যদি কারাের থাকে ত্যাগ করা উত্তম), আড়মোড়া দিয়ে নড়াচড়া করা ইত্যাদি যে কোনােটিই করা অনুচিত। এতেও সময় অপচয় হয়।

উত্তর পত্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একরকম করে লেখা

উত্তর পত্রে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে শুরুতে সুন্দর করে ধীরে-ধীরে লেখা তারপর মাঝখানে একরকম লেখা ও শেষে সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে তাই তাড়াতাড়ি করে লেখা এভাবে উত্তর পত্রে হাতের লেখা মােট তিন রকম হয়ে থাকে যা দুঃখজনক। তাই ভাল ফলাফল প্রত্যাশী ছাত্র-ছাত্রীদের বলব, অবশ্যই উত্তর পত্রে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে সমগ্র খাতা জুড়ে এক রকম করে লেখার চেষ্টা করবে। 

এভাবে যারা লিখতে পারবে তারা ভাল নম্বর আশা করতে পারা স্বাভাবিক। এজন্যে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি পরামর্শ হলাে পরীক্ষার শুরুতেই দ্রুত লেখার চেষ্টা করা এবং সমগ্র খাতা জুড়ে এক রকম করে লেখার চেষ্টা করা উত্তম। অবশ্য এক্ষেত্রে প্রাকটিস করতে হবে দীর্ঘদিন পূর্ব থেকে আর তাহলেই এমনভাবে সমস্ত উত্তর পত্র জুড়ে লেখা সম্ভব; নতুবা কেউ পারবে না। আর পারতে চেষ্টা করলে সময় বেশি লাগবে এতে কারাের কারাের নম্বর ছেড়ে দেয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

 কাটাকাটি, ঘষামাজা বা ওভার রাইটিং না করা

পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার ক্ষেত্রে কোনাে প্রকার কাটাকাটি, ঘষামাজা বা ওভার রাইটিং করা ভাল নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক। তাই এ রকম দূষণীয় বিষয়গুলাে থেকে মুক্ত থাকার জন্য অত্যন্ত সচেতন দৃষ্টি প্রদান করতে হবে। এবার উত্তর পত্রে যদি কোনাে ভুল উত্তর কেটে দিতেই হয় তাহলে ভুল লেখাটুকুর উপরে কলম দ্বারা একটি দাগ দিয়ে সােজা কেটে দিবে। যদি পুরাে পৃষ্ঠাব্যাপী কোনাে প্রশ্নোত্তর ভুল লেখা হয়ে যায় তাহলে সেই পৃষ্ঠাটি আড়াআড়ি বা কোণাকোণি সােজা এক টান দিয়ে কেটে দিবে। কোনােভাবেই লাইন বাই লাইন হিবিজিবি করে একাধারে দাগ দিয়ে কাটবে না। এতে দেখতে যেমন দৃষ্টিকটু লাগবে, তেমনি উত্তর পত্রের কাগজও নষ্ট হয়ে যাবে।

কীভাবে লিখলে পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া যায়
ভুল লেখাটুকুর উপরে কলম দ্বারা একটি দাগ দিয়ে সােজা কেটে দিবে

বিপরীত পৃষ্ঠায়ও তা প্রদর্শিত হবে। উত্তর পত্রের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। আর কোনাে শব্দের বানান ভুল হয়েছে তাই ঘষামাজা বা ওভার রাইটিং করা অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের অভ্যাস। তারা মনে করে শব্দটি কেটে দিলে খারাপ দেখাবে, কাটার দরকার কী? একটু ঘষামাজা বা ওভার রাইটিং করে দিই। কিন্তু না, ঘষামাজা বা ওভার রাইটিং করার ফলে একদিকে এ শব্দগুলাে উত্তর পত্রে যে পাশেই থাকুক না কেন তা পরীক্ষকের দৃষ্টি কেড়ে নিয়ে থাকে। আবার পরীক্ষক সহজে তা বুঝতেও পারে না। তাই পরীক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ হলাে এমন ভুলের ক্ষেত্রেও এক দাগ দিয়ে কেটে পুনরায় শব্দটি লিখবে। কোনােভাবেই পরীক্ষক বিরক্ত হােন এমন কোনাে কিছু উত্তর পত্রে রাখবে না। যদি রাখ তাহলে তা হবে বেশি নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক।

গুরুচণ্ডালী দোষ পরিহার

পরীক্ষার সময় উত্তর পত্র লেখার ক্ষেত্রে গুরুচণ্ডালী দোষ পরিহার করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতন দৃষ্টি রাখবে। কোনােভাবেই বাংলা জাতীয় লেখায় সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ ঘটানাে ঠিক হবে না। আর আঞ্চলিক ভাষার সমাহার ঘটানাে তাে অবশ্যই মারাত্মক দূষণীয়। তাই পরামর্শ হলাে, ভালাে ফলাফল যারা প্রত্যাশা করে তাদের অবশ্যই এ ধরনের দোষ বর্জন করে পরীক্ষার খাতায় লেখার চেষ্টা করবে।

বিরাম ও যতি চিহ্নের ব্যবহার

পরীক্ষার খাতায় লেখার ক্ষেত্রে বিরাম ও যতি চিহ্নের ব্যবহার বিধি ঠিক রাখা অর্থবােধক ও যথার্থ লেখার দাবি। বিরাম ও যতি চিহ্নের ব্যবহার ঠিক না থাকলে যে কোনাে ভালাে বাক্যই যথার্থ অর্থ প্রকাশে ব্যর্থ হবে। আবার বিরাম ও যতি চিহ্ন ব্যবহার বিধি ভুল হলে বাক্যের উত্তর ভিন্ন খাতে ধাবিত হওয়ার সুযােগ থাকে।

উত্তর পত্রের সাথে অতিরিক্ত কাগজ নেয়া

যথাযথভাবে উত্তর প্রদানের লক্ষ্যে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মূল বা প্রধান খাতা ছাড়াও অতিরিক্ত কাগজ সংযােজন করা লাগতে পারে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাতার বাম পাশে উপরের দিকে ৫/৬ ডিজিটের একটি নম্বর রয়েছে যা মূল খাতার উপরে অতিরিক্ত খাতার ক্রমিক নম্বর লেখার যে স্থান আছে সেখানে লিখে তার পাশের বৃত্তটি ভরাট করে দিতে হবে। তারপর অতিরিক্ত কাগজ বা খাতার উপরে বাম পাশে একদম কর্ণারে ০১ লিখে সিরিয়াল নম্বর দিবে। এবার যত বার কাগজ নিবে ততবার ০২, ০৩, লিখে রাখবে। তাহলে খাতা স্ট্যাপল করতে সিরিয়াল ঠিক থাকবে।

এক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রতি পরামর্শ হলাে পরীক্ষার সময় যত শেষ হয়ে আসবে ততই অতিরিক্ত কাগজ গ্রহণকারীদের সংখ্যা বেড়ে যেতে থাকবে। তাই পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে কাগজ নাও পাওয়া যেতে পারে। এজন্য প্রায় ১৫ মিনিট পূর্বেই আরাে কাগজ লাগবে কিনা ধারণা করে প্রয়ােজনে একটু লেখার স্থান ফাকা থাকতেই পরীক্ষা হলে কর্তব্যরত শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অতিরিক্ত খাতা চেয়ে নিবে। মনে রাখবে, একদম শেষ মুহূর্তে পনের মিনিট থাকতে কাগজ-কাগজ করে চিৎকার করে কোনাে লাভ হবে না। তাছাড়া তখন সবাই কাগজ নেয় বলে কাগজ থাকলেও ঠিক ঐ মুহূর্তে কাগজ পেতে কয়েক মিনিট সময় অযথা ব্যয় করে ফেলতে হবে। তাই এ ব্যাপারে পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রয়ােজন বুঝে পূর্ব থেকেই সচেতন হলে পরীক্ষা শেষে এসে কাগজের সমস্যায় উদ্বিগ্ন হতে হবে না বা অপ্রত্যাশিতভাবে সময় থাকলেও লিখার কাগজ ফাকা নেই এমনভাবে নম্বর ছেড়ে দিয়ে আসতে হবে না। তাছাড়া নম্বর ছেড়ে দিয়ে আসা কখনােই ভাল ফলাফল অর্জনের ক্ষেত্রে পজিটিভ হতে পারে না।

সবশেষে উত্তর পত্র পুনরায় দেখা

উত্তর পত্রে লেখা শেষ হওয়ার পর উত্তরপত্র গুছিয়ে স্ট্যাপল বা প্রয়ােজন হলে সেলাই শেষে পুরাে খাতা একবার চেক করে দেখা উত্তম। প্রশ্নের নির্দেশনা অনুযায়ী উত্তর লেখা হয়েছে কিনা, বানান সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো লক্ষ্য করা। অতিরিক্ত উত্তরপত্র (অতিরিক্ত কাগজ) থাকলে কয়টি আছে? তার সিরিয়াল ঠিক আছে কিনা? উত্তরপত্র ভারী হলে স্ট্যাপল খুলে যাবে কিনা এবং প্রয়োজন পড়লে দুটি পিন দিয়ে ভালোভাবে আটকিয়ে নেওয়া উত্তম।

উত্তর পত্র সাজসজ্জা করা

উত্তর পত্রে উত্তরের অঙ্গসজ্জা বা লে-আউট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যত দর্শনীয়ভাবে উত্তরপত্রে উত্তর লিখবে পরীক্ষক ঐ খাতার প্রতি ততই আকর্ষণ অনুভব করে থাকে। যদিও এটি মননস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। তাই উত্তরের মূল পয়েন্ট, সাব পয়েন্ট লেখার ব্যাপারে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করবে। প্রতিটি পয়েন্ট ও সাব পয়েন্ট কাঠপেন্সিল দিয়ে বক্র রেখা দ্বারা আণ্ডার লাইন। করে আকর্ষণীয় ও গ্রহণযােগ্য করার লক্ষ্যে হাইলাইটস করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, লাল ও সবুজ কালির পেন ব্যবহার করা যাবে না।

শেষ কথা

একটি কথা মনে রাখবে, যত ভালই লেখো না কেন যদি উত্তরপত্রের উপস্থাপনা সুন্দর ও আকর্ষণীয় না হয় তাহলে কাঙ্ক্ষিত নম্বর অর্জিত হবে না। ভালো লেখা সত্ত্বেও উপস্থাপনা সুন্দর না হওয়ার কারণে পরীক্ষক তোমার লেখা মনোযোগ দিয়ে না পড়ে কোনরকম একটি নম্বর দিয়ে খাতা কাটা সমাপ্ত করে দিবেন। পরীক্ষার উত্তরপত্র যত আকর্ষণীয় করা যায় পরীক্ষক ততই মুগ্ধ হবেন এবং সহজভাবে তোমার খাতা কাটবেন এবং তুমি অধিক নম্বর অর্জিত করতে সক্ষম হবে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

3 Comments

মন্তব্য করুন

Back to top button