প্রতিবেদন: এলাকায় বন্যার্তদের সাহায্যের আবেদন জানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন
![]() |
এলাকায় বন্যার্তদের সাহায্যের আবেদন জানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন |
তােমার এলাকায় বন্যার্তদের সাহায্যের আবেদন জানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের লক্ষে সম্পাদকের কাছে একটি প্রতিবেদন চিঠি লেখ।
তারিখ : ১০ আগস্ট ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ
বরাবর
সম্পাদক,
দৈনিক ইত্তেফাক
১ আর কে মিশন রােড, ঢাকা-১২০৩
বিনীত
“খ”
তিস্তা, লালমনিরহাট।
তিস্তা অঞ্চলের বন্যার্তদের জন্য সাহায্য চাই
লালমনিরহাট জেলার পশ্চিমে তিস্তা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত উপজেলার নাম তিস্তা। অতীতের ন্যায় আবারও তিস্তা সর্বনাশা বন্যার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি। এবারে বন্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এই এলাকার সকল অবকাঠামাে। নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত গ্রামগুলাের অধিকাংশ বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। ফসলের সবটাই প্লাবনে ভেসে গেছে। ত্রিশভাগ গবাদিপশু ইতােমধ্যেই মারা গেছে। মনুষ্য জীবনহানির ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি। সত্তর ভাগ মানুষ এখন গৃহহীন। এ ছিন্নমূল মানুষেরা বাড়ির ছাদে, উঁচু সড়কে, খােলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে।
চারদিকে পানি অথচ বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয় ইত্যাদি পানিবাহিত রােগ। এক কথায়, বেঁচে থাকা মানুষগুলাে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এমতাবস্থায় ত্রাণ তৎপরতা আশু প্রয়ােজন। উপজেলা প্রশাসন, ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলাে খাদ্য-বস্ত্রের যতটুকু যােগান দিতে পারছে তা প্রয়ােজনের তুলনায় অপ্রতুল। অবিলম্বে খাদ্য, পানীয় জল এবং চিকিৎসার সুব্যবস্থা না করলে দুর্গতদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানাে সম্ভব হবে না। অতএব এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সাথে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা ও সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরােধ জানাচ্ছি।
“খ”
তিস্তা, লালমনিরহাট।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।