আমরা অনেকেই মনে করি শুধু সালাত আদায় করাই একমাত্র ইবাদাত। কিন্তু সালাত ছাড়াও আরও অনেক আমল আছে যা অধিক ফজিলতপূর্ণ। তেমন একটি আমল হল নখ কাটা। সকলেই হাঁতে ও পায়ের নখ কেটে থাকি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সঠিকভাবে নখ কাটি না। কোনরকম নক ছোট করলেই হল।
![]() |
গােসল ফরয থাকা অবস্থায় নখ কাটা মাকরূহ |
হাত ও পায়ের নখ কাটার সঠিক নিয়মঃ
১। হাত পায়ের নখ কেটে ফেলা সুন্নাত। প্রতি সপ্তাহে একবার কাটা মােস্তাহাব। জুমুআর নামাযের পুর্বেই এ থেকে পাক সাফ হয়ে মসজিদে যাওয়া উত্তম। অন্তত দুই সপ্তাহে একবার কাটলেও চলবে । চল্লিশ দিনের বেশি না কাটা অবস্থায় অতিবাহিত হলে গােনাহ হবে।
২। দাঁত দিয়ে নখ কাটা মাকরূহ। এতে শ্বেত রােগ হওয়ার আশংকা আছে।
৩। জানাবাতের অবস্থায় অর্থাৎ, গােসল ফরয থাকা অবস্থায় নখ কাটা মাকরূহ।
৪। কেউ কেউ শামী গ্রন্থের বরাত দিয়ে নিমােক্ত তারতীবে নখ কাটাকে সুন্নাত বলেছেন- হাতের নখ কাটতে প্রথমে ডান হাতের শাহাদাৎ (তর্জনী) আঙ্গুল হতে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙ্গুল পর্যন্ত কাটবে । তারপর বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল হতে শুরু করে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল পর্যন্ত কাটবে, সবশেষে ডান হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুলের নখ কাটবে । আর পায়ের নখ কাটতে প্রথমে ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে শুরু করে বৃদ্ধাঙ্গুল পর্যন্ত তারপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে শেষ করবে।
৫। কাটা নখ মাটির নিচে পুতে দেওয়া উত্তম। অত্যন্ত কোন ভালো জায়গায় ফেলে দেয়াও দুরস্ত আছে। নাপাক জায়গায় ফেলে রাখা উচিত নয়।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।