ডায়াবেটিস? আম খেতে ভয়? জেনে নিন কীভাবে খেলে সুস্থ থাকবেন
ডায়াবেটিস আম খেতে ভয় জেনে নিন কীভাবে খেলে সুস্থ থাকবেন |
অনেকেই মনে করেন আম খেলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়তে পারে। কোন উপায়ে আম খেলেও রক্তে শকর্রার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে না?
গরম পড়লেই নানা রকম আম খুঁজে পায় বাঙালিরা। আম খেতে ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি বিভিন্ন স্বাদে ভরপুর বাজার। পাকা বা কাঁচা-মিষ্টি আমও বাজারে ফেরার পাবলিক ব্যাগ থেকে উঁকি দেয়। স্বাদের পাশাপাশি শরীর ভালো রাখতেও সাহায্য করে আম। আম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও আম খুবই কার্যকর।
তবে যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের জন্য আম কতটা সহায়ক হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীরা আম খেতে পারবেন কি না তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। এটি মূলত চিনির পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ার কারণে। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীরাও আম খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আম খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট উপায় রয়েছে। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ডায়াবেটিস রোগীদের পাশাপাশি যারা রোগা হতে চান, তারা সহজেই আম খেতে পারবেন।
ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে আম খাবেন?
একটি আমের খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এরপর আমের টুকরোগুলো কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। প্রায় এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর আমের টুকরোগুলোকে মিক্সারে পিষে নিয়ে ঝাঁকিয়ে নিন। এভাবে আম খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়া আম খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে একসঙ্গে প্রচুর আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অনেকেই একদিনে প্রচুর আম খেয়ে থাকেন এবং সেই ভারসাম্য বজায় রাখতে পরবর্তী কয়েকদিন আম থেকে দূরে থাকেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এতে সমস্যা বাড়বে, কমবে না। একসাথে আম খাওয়ার পরিবর্তে প্রতিদিন ছোট ছোট অংশে আম খেতে পারেন। কিন্তু পরিমাণ খুব কম হতে হবে। একটি বড় টুকরো বা দুটি ছোট আম খেতে পারেন। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলা ভালো।