![]() |
প্রতিদিন একটি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়ে যায়। |
সকালের নাস্তা হোক বা সন্ধ্যার নাস্তা, সল্প সময়ে মুখরোচক রেসিপির জন্য ডিমের জুড়ি মেলা ভার। তাড়াহুড়ো করে রান্না করার সময় না থাকলেও আছে ডিমের ঝোল।কিন্তু সময় বাঁচাতে গিয়ে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো?
আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের র্জানালে একটি গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই যারা ডিম খেতে পছন্দ করেন তারা সাবধান হোন। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাপ্তবয়স্করা যখন সপ্তাহে তিন থেকে চারটি ডিম খান, তাদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেশি। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল, ভিটামিন এবং প্রোটিন থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।শুধু তাই নয় গবেষণা অনুযায়ী, রেড মিট, অ্যালকোহোল ও কফির থেকেও ডিম অনেক দ্রুত আপনাকে হৃদরোগের দরজায় নিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন প্রতিদিন কলা খাচ্ছেন? কোন সমস্যা হতে পারে কী?
পুরানো গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। ২০০৪-২০০৭ সালের একটি গবেষণায়, চীনা বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে প্রতিদিন একটি ডিম খেলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২৬ শতাংশ কমে যায়।গবেষণাটি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ হেলথ-এ প্রকাশিত হয়েছে।
![]() |
ডিমের আসল স্বাদ উপভোগ করতে সিদ্ধ বা পোচ করা ডিম খান। |
জরিপটি প্রায় ৩০,০০০ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন একটি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় ১৭ শতাংশ এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বেড়ে যায়। সপ্তাহে ৩-৪টি ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি ৬ শতাংশ বেড়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, মূলত কোলেস্টেরলের কারণেই এই সমস্যা। ডিমে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে- উচ্চ ঘনত্বের কোলেস্টেরল এবং কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল। এই দুটি কোলেস্টেরলের অনুপাতের মধ্যে ভারসাম্য থাকলে হৃদরোগ এড়ানো যায়।কিন্তু আজকাল আমরা ডিমের সাথে মাখন, পনির ইত্যাদি খেয়ে থাকি, যার কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যে কারণে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।
তবে ডিম প্রেমীরা হতাশ হবেন না। যেহেতু কুসুম কোলেস্টেরলের প্রধান উৎস তাই কুসুম ছাড়া ডিম খান। মাখন, পনির সাথে ডিম না খাওয়ার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে ১-২টি আস্ত ডিম খেতে পারেন। আর ডিমের আসল স্বাদ উপভোগ করতে সিদ্ধ বা পোচ করা ডিম খান।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
