ইসলাম ও জীবন

জেনে নিন যেসব অর্থ বা সম্পদের উপর যাকাত দিতে হয় না।

Rate this post
জেনে নিন যেসব অর্থ বা সম্পদের উপর যাকাত দিতে হয় না।
যেসব অর্থ বা সম্পদের উপর যাকাত দিতে হয় না।

আরবি শব্দ যাকাতের অর্থ হল বৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা। ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে যাকাত অন্যতম। ইসলামি পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্দিষ্ট অংশ গরিব ও অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়াকে যাকাত বলে।
প্রশ্ন হল সব অর্থ সম্পদের উপর কি যাকাত দিতে হবে? উত্তর হল না। কিছু কিছু অর্থ বা সম্পদের উপর যাকাত দিতে হবে না। আসুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন সম্পদ বা অর্থের উপর যাকাত দিতে হয় না।

যেসব অর্থ বা সম্পদের উপর যাকাত দিতে হয় না।

১। ব্যবসায়িক পণ্য ছাড়া ঘরে যে আবসাব-পত্র, কাপড়-চোপড়, থালাবাসন, হাড়ি-পাতিল, ফ্রিজ, আলমারি, শােকেজ, পড়ার বই ইত্যাদি থাকে তার উপর যাকাত আসে না ।
২। থাকা বা ভাড়া দেয়ার উদ্দেশ্যে যে ঘর-বাড়ী নির্মাণ করা হয় বা ক্রয় করা হয় কিংবা অনুরূপ উদ্দেশ্যে যে জমি ক্রয় করা হয় সে ঘর-বাড়ী ও জমির মূল্যের উপর যাকাত আসে না। তবে ব্যবসা/বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত বাড়ী ও জমির মূল্যের উপর যাকাত আসে ।
৩। কারও কারখানা থাকলে এবং উক্ত কারখানায় কোন উৎপাদন হলে সে উৎপানের কাজে যে মেশিন, যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র ব্যবহৃত হয়, মিলফ্যাক্টরীতে যে গাড়ী ও যানবাহন ব্যবহৃত হয়, তার মূল্যের উপর যাকাত আসে না বরং যাকাত আসে উৎপাদিত মালামাল ও ক্রয়কৃত কাঁচামালের উপর ।
৪।  রিকশা, বেবী, টেক্সি, বাস, ট্রাক, লঞ্চ, স্টীমার ইত্যাদি যা ভাড়ায় খাটানাে হয় অথবা যা দিয়ে উপার্জন করা হয়, তার মূল্যের উপর যাকাত আসে না। অবশ্য এসব যানবাহনই যদি কেউ ব্যবসার (বিক্রয়ের) উদ্দেশ্যে ক্রয় করে থাকে তাহলে তার মূল্যের উপর যাকাত আসবে ।
৫। পেশাজীবীরা তাদের পেশার কাজ চালানাের জন্য যেসব যন্ত্রপাতি ও আসবাব-পত্র ব্যবহার করে থাকে, তার মূল্যের উপর যাকাত আসে না। যেমন: কৃষকের ট্রাক্টর, ইলেকট্রিশিয়ানদের ড্রিল মেশিন ইত্যাদি ।
৬। যদি কারও নিকট ব্যবহারের উদ্দেশ্যে হীরা, মণি, মুক্তা, ডায়মন্ড ইত্যাদির অলংকার থাকে, তাহলে তার মূল্যের উপর যাকাত আসে না। তবে এরূপ নিয়তে রাখা হলে যে, এটা একটা সঞ্চয় প্রয়ােজনের মুহূর্তে বিক্রি করে নগদ অর্থ অর্জন করা যাবে- এরূপ হলে তাতে যাকাত ওয়াজিব হবে ।
৭। প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ হাতে পাওয়ার পূর্বে তার উপর যাকাত আসে না। তবে যে টাকাটা কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক নয় বরং চাকরিজীবী স্বেচ্ছায় কর্তন করায় তার উপর যাকাত আসবে । এটা হল সরকারী চাকরির প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাসআলা। আর প্রাইভেট কোম্পানীর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা হাতে পাওয়ার পূর্বেও তার যাকাত দিতে হবে । এমনিভাবে সরকারী চাকরির ক্ষেত্রেও চাকরিজীবী যদি প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকায় কোনাে ইস্যুরেন্স কোম্পানীতে অংশ নেয় তাহলেও তার যাকাত দিতে হবে।
৮। না-বালেগ ও পাগল-এর অর্থ/সম্পত্তিতে যাকাত আসে না।
সূত্রঃ আহকামে যিন্দেগী


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 


Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button