![]() |
হাইড্রোলিক হর্নের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটি সংবাদ প্রতিবেদন |
মনে কর, তােমার নাম আসলাম। হাইড্রোলিক হর্নের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটি সংবাদ প্রতিবেদন লেখ।
বাংলাদেশসহ বর্তমান বিশ্বে শব্দদূষণ একটি মারাত্মক সমস্যা। শব্দদূষণের বিষয়ে এ দেশের জনগণ বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে। পত্রিকায় এক পত্রে লেখা হয়েছে, “শব্দের মাত্রাতিরিক্ত দূষণ আমাদের শ্রবণেন্দ্রিয়ের ক্ষতি করাসহ মস্তিষ্কের বিভিন্ন রােগ সৃষ্টি করতে পারে। হাইড্রোলিক হর্ন শব্দদূষণের অন্যতম কারণ। এছাড়াও অডিও সেন্টারগুলােও এজন্য কম দায়ী নয়। যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রচণ্ড শব্দে গান বাজানাে হয়।” উক্ত পত্ৰলেখকের ন্যায় বর্তমানে দেশের অধিকাংশ লােক শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেছে। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় যে, এ দেশে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যেন কেউ-ই নেই। শব্দদূষণের অনেক কারণের মধ্যে প্রধান কারণ গাড়িতে ব্যবহৃত হাইড্রোলিক হর্ন। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ গাড়ির হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য পুলিশ ও বিআরটিএর প্রতি নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু তারপর প্রায় এক দশক পেরিয়ে গেছে, অথচ তার বাস্তব কোনাে প্রয়ােগ পুরােপরি ঘটেনি।
লক্ষণীয় ব্যাপার এই যে, যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করা নিষেধ হলেও তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মান্য করা হচ্ছে না। হর্ন গােপনে বাজানাের জিনিস নয়, এটা প্রকাশ্যে বাজানাে হয় এবং বাজানােও হচ্ছে। রাজধানীর বাইরে প্রায় সর্বত্রই বিভিন্ন যানবাহনের চালকগণ প্রতিনিয়ত এ উচ্চমাত্রার শব্দ সৃষ্টি করে যাত্রীসাধারণ ও পথচারীদের শ্রবণেন্দ্রিয়ের ক্ষতিসাধন করছে। দূষণকারী শব্দ সকলেই শুনছে এবং শুনতে পাচ্ছে, কেবল শুনতে পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের উদ্দেশ্যেই বলা হচ্ছে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করুন। উপরন্তু এ হর্ণ ব্যবহারকারী যানবাহনের মালিকদের বাধ্য করুন তাদের যানবাহন থেকে এ দূষণ যন্ত্রটি খুলে ফেলতে। প্রয়ােজনে হর্ন ব্যবহারকারী যানবাহনের চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। হাইড্রোলিক হর্নের অত্যাচার থেকে সম্পূর্ণ রেহাই বা মুক্তি পেলে বাংলাদেশে শব্দদূষণের মাত্রা কিছুটা কমে আসবে। অবশ্য শব্দদূষণের মাত্রা স্থানীয় পর্যায় নিয়ে আসার জন্য মাইক, লাউড স্পিকার ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও যথাযথ বিধি নিষেধ আরােপ করে তা কার্যকর করতে হবে। অযথা হর্ন বাজানাে থেকে বিরত থাকার জন্য যানবাহনের চালকদেরও উৎসাহিত করতে হবে। সর্বোপরি সাধারণ মানুষের শব্দদূষণ সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
