ছবিঃ সংগৃহীত |
যে মাধ্যম ব্যবহার করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একে অপরের সাথে তাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি আদান-প্রদান করতে পারে, তাকে সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম বলে। বর্তমান সময়ে সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমগুলো প্রধান অনলাইন নির্ভর। যেমন-ফেইসবুক, টুইটার, লিংকইন, স্কাইপি ইত্যাদি। তবে এগুলাের মধ্যে ফেইসবুক বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় যােগাযােগ মাধ্যম। ২০০৪ সালে মার্কিন প্রযুক্তিবিদ মার্ক জুকারবার্গ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় একশ কোটির বেশি মানুষ ফেইসবুকের মাধ্যমে একে অপরের সাথে জড়িত। এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজের অনুভূতি শেয়ার করা থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন প্রচারণা চালানাে যায়। বর্তমানে সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে। কারণ, অধিকাংশ সামাজিক মাধ্যমই বিনামূল্যে সেবা প্রদান করে থাকে। বেশিরভাগ মােবাইল ফোন ব্যবহারকারী এখন তাদের মােবাইল ফোন ব্যবহার করে টুইটার, WhatsApp. মাইস্পেস প্রভৃতি মাধ্যমে নিজেদের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তৈরি, বন্ধু তৈরি, ব্যক্তিগত কথােপকথন সংরক্ষণ, ছবি, ভিডিও এবং নিজের লেখা আদান-প্রদান করতে পারে। এ সমস্ত ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি সামাজিক এ যােগাযােগ মাধ্যমের কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন যুব সমাজ বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা এ ধরনের সামাজিক যােগাযােগের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে তাদের পড়াশােনায় বিঘ্ন ঘটছে। এমনকি কেউ কেউ বিপথে চলে যাচ্ছে, কারণ তারা বন্ধুদের সাথে অশ্লীল ভিডিও আদান-প্রদান করতে পছন্দ করে। পৃথিবীর সবকিছুরই ভালাে মন্দ দুটি দিক থাকে। তবে আমরা যদি যােগাযােগ মাধ্যমগুলাের খারাপ দিকটি গ্রহণ না করে এর ভালাে দিকটি গ্রহণ করি তাহলেই আমরা যােগাযােগকে আরাে সুন্দর, নির্বিঘ্ন ও দ্রুত করতে পারব।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
