নারী দিবস অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি। Women’s Day paragraph for class 6 7 8 9 10.

নারী দিবস
আমাদের জাতীয় জীবনে নানান দিবস থাকে। আবার বৈশ্বিকভাবেও কতিপয় দিবস থাকে। তেমনই একটি বৈশ্বিক দিবস হলাে নারী দিবস, যা আমাদের জাতীয় দিবসও বটে। পৃথিবীর জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এ বিপুল অংশকে উপেক্ষা করে অপর অংশের পুরুষের কল্যাণ সাধিত হতে পারে না। ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে ঘােষণা করে। তারপর থেকে প্রতি বছর ৮ মার্চ পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে। ১৭৯২ সালে ব্রিটেনের ম্যারি ওয়েলস্টোন ক্র্যাফট নারী ও পুরুষকে এক মানদণ্ডে বিচারের দাবি তুলেছিলেন। ১৮৪৮ সালের জুলাই মাসে নিউইয়র্কের সেনেকাফলস-এর কনভেনশনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভােটাধিকার তথা নারীমুক্তি আন্দোলনের সূত্রপাত মনে করা হয়। ১৮৬০ সালের ৮ মার্চ নারী শ্রমিকদের এক মিছিলে গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে যে ইউনিয়ন গঠিত হয় নারী শ্রমিকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তা নেতৃত্ব দান করে। এরপর ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে জার্মান নারী নেত্রী ক্লারা জ্যাটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘােষণার প্রস্তাব করেন। নারীদের কাজের স্বীকৃতিদান, নারীর অধিকারকে মানবাধিকার হিসাবে ঘােষণা, উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে নারীর ক্ষমতায়ন, নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিতকরণ, সারা বিশ্বে নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধ করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রজনন প্রভৃতি ক্ষেত্রে নারীসমাজের প্রতিবন্ধকতা দূর করাসহ সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ নারী দিবসের উদ্দেশ্য। ১৯৯৫ সালের বেইজিং নারী সম্মেলনের স্লোগান ছিল নারীর চোখে বিশ্ব দেখুন। নারীমুক্তি, নারীর স্বাধীনতা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন, নির্যাতন বন্ধ করা ও আত্মমর্যাদার লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাবার সংকল্প নিয়েই সারা বিশ্বে এ দিবসটি পালন করা হয়। সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার অন্যতম মাপকাঠি হচ্ছে নারীসমাজের যথার্থ মূল্যায়ন, তাদের উন্নতি। এ লক্ষ্যেই প্রতি বছর ৮ মার্চ পালন করা হয়ে বিশ্ব নারী দিবস। একটি দিন নারী দিবস পালন করে তাদের অধিকারের কথা বলেই তা নিশ্চিত করা যাবে না। এজন্য দরকার সমন্বিত উদ্যোগ ও বছরব্যাপী নারী-অধিকার রক্ষায় সামগ্রিকভাবে কাজ করা।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

ফালতু হয়েছে