স্বাস্থ্য কথা

প্রাকৃতিক ৩ পাতায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা

Rate this post
প্রাকৃতিক ৩ পাতায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা
প্রাকৃতিক ৩ পাতায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।

বাংলাদেশে ডায়াবেটিস চার্ট বেশ উর্ধ্বমুখী। ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপের কারণ। কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?

দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু অনিয়ম ও বদ অভ্যাস ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রায় ৯৫% ডায়াবেটিস রোগী টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভোগেন। একটি রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক জটিল রোগ। শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে অল্প বয়সেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধছে। চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাত্রায় একটু পরিবর্তন আনলেই এ ধরনের শারীরিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলেও আরাম পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাসের বিধিনিষেধ মেনে চলা যায়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের নিরাময় রয়েছে জানা তিনটি পাতায়।

কারি পাতা

কারি পাতা সবসময় রান্নার স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি কারি পাতার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। ভিটামিন এ, বি, সি এবং বি২ সমৃদ্ধ এই পাতাটি ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। কারি পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কারি পাতা খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

তুলসী পাতা

সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে অনেকেই তুলসী পাতার ওপর নির্ভর করে। তুলসী পাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা চা খেতে ভালোবাসলে তুলসী চা বানাতে পারেন। তুলসী পাতা ভেজানো পানিও শরীরের জন্য উপকারী। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তুলসী পাতা।
প্রাকৃতিক ৩ পাতায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তুলসী পাতা।
ছবি- সংগৃহীত।

নিম পাতা

গরমে সুস্থ থাকতে নিম পাতার বিকল্প নেই। নিম পাতা বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিম পাতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতেও নিম পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান রক্তনালীকে সচল রাখে। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।গরমে নিম পাতা খাওয়ার চল বাড়ে। নিম পাতার রস না খেতে চাইলে এই গরমে নিম বেগুনও খেতে পারেন।
তবে ঘরোয়া উপায়ে এই ধরনের অসুস্থতা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে একেবারেই ভুলবেন না।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

সারমর্ম

সারমর্মঃ কহিল মনের খেদে মাঠ সমতল মাঠ ভরে দেই আমি কত শস্য ফল

Rate this post
 কহিল মনের খেদে মাঠ সমতল
মাঠ ভরে দেই আমি কত শস্য ফল;
পর্বত দাঁড়ায়ে রহে কি জানি কি কাজ 
পাষাণের সিংহাসনে তিনি মহারাজ। 
বিধাতার অবিচার কেন উঁচু-নিচু
সে কথা আমি নাহি বুঝিতে পারি কিছু। 
গিরি কহে— সব হলে সমতল পারা,
নামিত কি ঝরনার সুমধুর ধারা?

সারমর্মঃ সৃষ্টিকর্তা তার প্রতিটি সৃষ্টির মধ্যেই বিরাজমান। পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রতিটি জিনিসই একে অপরের সহাবস্থান রয়েছে। জগতে ছোট-বড়, উঁচু-নিচু এসব শ্রেনি কোনোটাই নিরর্থক নয়। মনুষ্যত্বসম্পন্ন মানুষ এগুলোর মধ্য দিয়ে স্রষ্টাকে উপলব্ধি করতে পারেন।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষাঃ বিনা মূল্যে আবেদনের সুযোগ সত্ত্বেও আবেদন কম

Rate this post

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষাঃ বিনা মূল্যে আবেদনের সুযোগ সত্ত্বেও আবেদন কম
ফাইল ছবি


অনলাইন ডেস্ক – ৩০ আগস্ট, ২০২১

২৩ হাজার আসনের বিপরীতে প্রায় ৮ লাখের বেশি আবেদনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আবেদন পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। যা অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম।

করোনা পরিস্থিতে প্রথমবারের মতো সমন্বিত প্রক্রিয়ায় দেশের  টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু আসন সংখ্যা  বেশি থাকার পরও আবেদন সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। 

গুচ্ছ  পরীক্ষায় একটি আবেদন এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের অপশন বাছাইয়ের সুযোগ থকাছে। প্রথম ধাপের বিনা মূল্যে আবেদনের সুযোগ ছিল। যারা প্রথম ধাপের উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের জন্য প্রথমে ৬০০ টাকা ফি নির্ধারিত করে হলেও পরবর্তীতে আবেদন অনেক কম পড়ায় ফি দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১,২০০ টাকা করা হয়েছে।

 শুধু ভর্তির ফি নয় সেই সাথে আবেদনের জিপিএ কমানো হয়েছিল। ভর্তি সার্কুলারে বিজ্ঞান শাখার জন্য এসএসসি ও  এইচএসসি তে নূন্যতম  জিপিএ ৮.০০, বাণিজ্য শাখার জন্য নূন্যতম ৭.৫০ এবং মানবিক শাখার  জন্য নূন্যতম ৭.০০ থাকার শর্ত ছিল। 

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এবার এইচএসসি তে মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষার্থী। আর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন রয়েছে ২৩ হাজার। ২৩ হাজার আসনের বিপরীতে প্রায় ৮ লাখের বেশি আবেদনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আবেদন পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। যা অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে  মোট আসন সংখ্যা ৬ হাজার এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে মাত্র ২ লাখ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, “প্রাথমিক আবেদনে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। আশা করেছিলাম ৭ থেকে ৮ লাখ আবেদন পড়বে। কিন্তু এত কম আবেদন পড়ায় আমরা বিস্মিত।”

ঠিক একই কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।  তিনি বলেন “জিপিএ কমানোর ফলে আরো বেশি শিক্ষার্থী আবেদনের সুযোগ পাবে কিন্তু আবেদন অনেক কম পড়েছে। কেন এতো কম আবেদন তার কারণ আমরা জানি না”

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

নকিব সাহেবের মাঝে ইসলামের কোন সেবার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে ব্যাখ্যা কর

Rate this post
নকিব সাহেবের মাঝে ইসলামের কোন সেবার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে ব্যাখ্যা কর



নকিব সাহেবের মাঝে ইসলামের যে সেবার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো সমাজসেবা। মানব কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য গৃহীত সকল কর্মসূচিই সমাজসেবা নামে পরিচিত। উদ্দীপকে নকিব সাহেব নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য এলাকার বন্ধুদের নিয়ে প্রতি শুক্রবার রাস্তাঘাট মেরামত ও সংস্কার করার মাধ্যমে  সমাজসেবা করেছেন। 
সমাজসেবা আখলাকে হামিদাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি সমাজে বিভিন্ন রকম শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে। কেউ আর্থিক দিক দিয়ে বেশি সচ্ছল আবার কেউ গরিব।  এই দুই শ্রেণীর লোক মিলে আমাদের সমাজ। আর যেহেতু ইসলাম ভাতৃত্বের ধর্ম, তাই ধনীদের ধন সম্পদের উপর গরিবদের হক রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন ঃ
“এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের হক”। (সূরা আয-যারিয়াত আয়াতঃ ১৯) 

জনসেবা দ্বারা আল্লাহ তায়ালা সাহায্য লাভ করা যায়। হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেন :
“আল্লাহ বান্দাকে ততক্ষণ সাহায্য করে ততক্ষণ তার ভাইকে সাহায্য করতে থাকে” (মুসলিম)
সমাজসেবা একটি মানবিক দায়িত্ব। একজন সুনাগরিক এর প্রধান দায়িত্ব হলো জনসেবা। সর্বস্তরে সকলের উপকারে আসে সেসব কাজে নিজেদের নিয়োজিত করা প্রয়োজন। যেমনঃ ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করা, নতুন রাস্তা নির্মাণ করা, আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌছাতে সাহায্য করা, রাস্তার পাশে বৃক্ষ রোপণ ও তা সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। সমাজসেবা হচ্ছে- সমাজে মানুষের নিরাপত্তা ও মঙ্গলার্থে গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রমের সমষ্টি। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের ইহজাগতিক উন্নয়নের সঙ্গে পরকালীন নিরাপত্তার প্রসঙ্গটিও জড়িত। কাজেই দ্বীন ইসলামে সমাজসেবার পরিধি আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত। হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমাজসেবার মাধ্যমে আরবের জনমানুষের হৃদয় ও মন জয় করেছিলেন। নবীর সেবাধর্মী চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রা.) সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, 
‘আল্লাহর কসম! আল্লাহ আপনাকে কখনোই অপমানিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করেন, অসহায়-দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন। মেহমানের সমাদর করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন। ’ – (সহিহ বুখারী)

আরও  উত্তর



Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

11 Comments

মন্তব্য করুন

ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণঃ দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে রুখি সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি

5/5 - (2 votes)
“ভাবসম্প্রসারণ”
দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে রুখি 
সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি।

মূলভাব 

ভুল ত্যাগ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় সত্যের পথকেই রুদ্ধ করে ফেলি। ফলে আমরা সত্যের দেখা পাই না। 

সম্প্রসারিত ভাব 

জীবন মানেই বৈচিত্র্যময় ও রহস্যপূর্ণ। সুখ-দুঃখ, ভালাে-মন্দ, সঠিক-বেঠিক মিলিয়েই মানুষের জীবন। ভুল ও ব্যর্থতা মানবজীবনে অহরহ ঘটা দুটি অনুষঙ্গ। কর্মময় জীবনে কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে, আসতে পারে ব্যর্থতাও। এ বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই কর্মক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়তে হবে। ছেলে-মেয়েরা যদি ভুল করে ভয়ে চিরশিশু হয়ে গৃহকোণে পড়ে থাকে, তাহলে তারা কখনাে বড়াে কিছু হতে পারবে না। তাই ঘরের বাইরে গিয়ে পাপ-পুণ্যে, সুখে-দুঃখে, পতনে-উত্থানে তাদেরকে অনেক বড়াে হতে হবে। 
দেশ-দেশান্তরে গিয়ে তাদেরকে গড়ে নিতে হবে স্বীয় অবস্থান। দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদেরকে যদি পদে পদে বিধি-নিষেধের ডােরে বেঁধে ভালাে ছেলে করে রাখা হয়, তাহলে তারা দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে ঘাতপ্রতিঘাতের সাথে সংগ্রাম করে আত্মবিশ্বাস অর্জন করার সুযােগ পাবে না। ফলে তাদের জীবনেরও অগ্রগতি হবে না। তাই মানবশিশুকে পিতামাতার সতর্ক প্রহরায়, ভালাে-মন্দের নাগালের বাইরে শীর্ণ, শান্ত আর সাধু করে রাখলে চলবে না, গৃহছাড়া, লক্ষ্মীছাড়া করে দিতে হবে, যাতে তারা সংঘাত-সংগ্রামের পথে সত্যকে খুঁজে নিতে পারে, নিজেরাই নিজেদের কল্যাণের পথটা বেছে নিতে পারে। ভুল না করার জন্য যারা দ্বার বন্ধ করে গৃহমধ্যে নিজেকে আটকে রাখে, তাদের জীবন অর্থহীন হতে বাধ্য। পার্থিব জীবন সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, কল্যাণ-অকল্যাণ ইত্যাদি দ্বারা পরিব্যাপ্ত। নিরবচ্ছিন্ন সত্য বা নিরঙ্কুশ মিথ্যা বলে কিছুই নেই। প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন ঘটিয়ে মানবজীবন সুষ্ঠু ও সুন্দর করা যায়। একথা সত্য যে, ভুল করার পরিণতিই মানুষকে ঠিক কাজ করতে তথা সত্যাশ্রয়ী হতে অনুপ্রাণিত করে। সুতরাং ভুলই সঠিক তথা সত্যের উৎসারক। 

মন্তব্য

ভুল-ভ্রান্তি সত্যকে পাওয়ার প্রতিবন্ধক বা অন্তরায় নয়। বরং ভুল-ভ্রান্তি থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেই মানুষ প্রকৃত সত্যকে উদঘাটন করে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

বাংলা রচনা

রচনাঃ জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ

Rate this post

ভূমিকা:

জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। এর প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। ‘বাংলাদেশ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে’—একথায় বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন। এ ঝুঁকি মোকাবিলা করার মতো কোনো উপায় যেন আমাদের সামনে নেই। প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে সেমিনার কিংবা পত্রিকায় বেশ হইচই দেখা গেলেও বাস্তবে তার কোনো প্রয়োগ লক্ষ করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশের অবস্থা:

বাংলাদেশ একদিকে যেমন সুজলা-সুফলা, শস্যশ্যামলা; অন্যদিকে তেমনি অতিবর্ষণ, অকালবর্ষণ ও খরায় পীড়িত একটি দেশ। ভৌগোলিক অবস্থানই এর কারণ। নদীমাতৃক হওয়ার কারণে বাংলার মাটি সুজলা-সুফলা। বাংলাদেশের মতো পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় নেই। এসব থাকার জন্যই বাংলার জনজীবনে, মাটি ও আবহাওয়ায় পড়েছে এর অনিবার্য প্রভাব।

বৈশিষ্ট্য:

বাংলাদেশ মৌসুমি বায়ুনির্ভর দেশ। মৌসুমি বায়ুই বাংলাদেশে বর্ষা সৃষ্টি করে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে বর্ষা নিয়ন্ত্রণ করে এর চাষাবাদ, জীবনযাত্রা, ব্যবসা-বাণিজ্য। বর্ষা বাংলাদেশে যখন প্রয়োজনানুসারে বা পরিমিতভাবে দেখা দেয়, তখন তা হয় আশীর্বাদ। আর যখন তা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আকারে দেখা দেয়, তখন তা হয় অভিশাপ। বর্ষা অতিরিক্ত হলে হয় অতিবর্ষণ। অতিবর্ষণ থেকে আসে বন্যা, আবার বর্ষণ না হলে হয় খরা। এই দুই-ই দেশের পক্ষে ক্ষতিকর ও বিপর্যয়কর। বন্যার ফলে নষ্ট হয় খেতের ফসল, আবার খরা হলে ফসল পুড়ে হয় ছারখার। এর প্রভাব পড়ে খাদ্যশস্য থেকে খাওয়ার পানিতে। এর ফলে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। এ ছাড়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবলীলা ও জলোচ্ছ্বাস দুর্যোগের কারণ হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের ক্ষতি:

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্ষণ, খরা, বন্যা, ঝড়-জলোচ্ছাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও দীর্ঘ মেয়াদি ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় যে সংকট সৃষ্টি হবে, তা হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ শতাংশ এলাকা ধীরে ধীর ডুবে যাবে এবং দুই কোটি মানুষ ঘরছাড়া হয়ে যাবে। জীবনযাত্রার ওপর পড়বে বিরূপ প্রভাব ফলে, বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তা টাকা দিয়ে পোষানো যাবে না।

আমাদের জলবায়ুর পরিবর্তন:

কোনো স্থানের জলবায়ুর পরিবর্তন বলতে আবহাওয়ার কোনো একটি বিষয়ের ন্যূনতম ৩০ বছরের গড় পরিবর্তন বুঝি। জলবায়ু পরিবর্তন পরিমাপের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক রাতের তাপমাত্রা পরিবর্তন। কারণ রাতে গাড়ি চলাচল ও কারখানা বন্ধ থাকে। তখন পৃথিবী তার সঞ্চিত তাপমাত্রা হারাতে থাকে। তখনকার তাপমাত্রা কতটুকু আছে, তা দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের হিসাব করা যায়। আমাদের শীতকালের পরিধি ছোট হয়ে আসছে। আমাদের কাছে গত ৫৮ বছরের ২১টি স্থানের তাপমাত্রার যে হিসাব রয়েছে, তা থেকে আমরা বলতে পারি, শীতের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে এসেছে। গড় বৃষ্টিপাত অপরিবর্তিত রয়েছে, কিন্তু অধিকতর বৃষ্টিপাতের দিন এবং বৃষ্টিহীন দিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রভাবটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বেশি দেখা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বৃষ্টিপাতের আগে সেখানে সমভাবাপন্ন অবস্থা ছিল, জুলাইয়ের শেষার্ধে ও আগস্টের প্রথমার্ধে সেটি এখন বিস্তৃত হয়ে জুনের শেষার্ধ থেকে জুলাইয়ের ১০ দিন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর বাকি বৃষ্টিপাত আগস্টের শেষার্ধে চলে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত যে সময়ে হওয়ার কথা, সে সময়ে হচ্ছে না। তাই বন্যা যে সময়ে হওয়ার কথা কিংবা মানুষ বন্যা মোকাবিলার জন্য যে সময় প্রস্তুত থাকে, সে সময়কাল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এটা আমাদের কৃষিব্যবস্থায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি অনেকগুলো সাইক্লোন আঘাত হেনেছে। সাইক্লোনগুলোর প্রচণ্ডতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের উপকূলীয় প্রতিরক্ষা বাঁধগুলোতে সাইক্লোনের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধির ফলে শক্তিশালী ঢেউয়ের আঘাতে উপকূল অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লবণাক্ত পানি কৃষি জমিতে প্রবেশ করে কৃষিব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে।

উপকূলীয় অঞ্চল:

লবণাক্ত পানি যেখানে মিষ্টি বা স্বাদুপানির সঙ্গে মিশ্রিত হচ্ছে, সেখানে পানির ঘনত্বের পরিবর্তন ঘটছে। নদীবক্ষে পলি অধঃক্ষেপের পরিমাণ বেড়ে যায়, সেখানে নদীর পানি দুই পাড় উপচে পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। ফলে জলাবদ্ধ এলাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরিতলের তাপমাত্রার পরিমাণ যত বাড়বে, নিম্নচাপগুলো তত শক্তিশালী হয়ে সাইক্লোনের সৃষ্টি করবে। ২০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরে গড়ে পাঁচ থেকে ছয়টার বেশি নিম্নচাপ হতো না। এখন সেখানে বছরে গড়ে ১২ থেকে ১৪টা নিম্নচাপ দেখা দিচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা বেশি দিন মাছ ধরতে পারছে না। বারবার ঝড়ের সতর্কসংকেতের কারণে তীরে ফিরে আসতে হচ্ছে। ফলে তাদের পেশা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

করণীয়:

দেশের প্রতিটি অঞ্চলের জলবায়ু-ঝুঁকির মানচিত্র তৈরি করে কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য অবকাঠামোসহ সব বিষয় নিয়ে সরকারকে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে বেশি করে। স্থানীয় সমস্যা মোকাবিলার জন্য স্থানীয়দের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আবহাওয়ার মতো কৃষিক্ষেত্রে পূর্বাভাসমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কোনো সঠিক পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের শিক্ষার্থী-সমাজকে দক্ষ ও সচেতন করে গড়ে তুলতে না পারলে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর যে পরিমাণ গবেষণা-তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, সে তুলনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তেমন কোনো গবেষণার ফলাফল বের হয়নি। কমিউনিটিভিত্তিক ও অভিযোজন-ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এ ধরনের ফসলের বীজ সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। নতুন আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

উপসংহার:

এক কালে মানুষের ধারণা ছিল, প্রকৃতির ওপর যেকোনো উপায়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠাই সবচেয়ে জরুরি। আজ সে ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। কেননা দেখা যাচ্ছে, এ আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বন ধ্বংস করে, নদীর প্রবাহ বন্ধ করে, পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করে মানুষ নিজের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। তাই আজ প্রকৃতির ওপর আধিপত্য নয়, মানুষ গড়ে তুলতে চাইছে প্রকৃতির সঙ্গে মৈত্রীর সম্বন্ধ। আর চেষ্টা করছে, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রেখে প্রকৃতির সহায়তায় তার নিজের জীবনধারাকে আগামী দিনের সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button