স্বাস্থ্য কথা

তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার

Rate this post

তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার
সূত্রঃ ইন্টারনেট



তুলসী 
বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়। হিন্দুবাড়িতে বেশি দেখা যায় ,পূজায় ব্যবহার হয়। ভারতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। জুলাই আগষ্ট বা নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে এতে মঞ্জুরী দেখা দেয়।   
ব্যবহার 
তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। সর্দ্দি ,কাশি,ঠান্ডা লাগা ,ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহার করা হয়। 
ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য  অংশ হলো এর রস পাতা এবং বীজ। বাংলাদেশে যে চার্ প্রকার তুলসী গাছ দেখা যায় সেগুলি হলো :বাবুই তুলসী ,রামতুলসী ,কৃষ্ণ-তুলসী,ও শ্বেত তুলসী। ঔষধের কাজে একটির পরিবর্তে আরেকটি ব্যবহার করা যায়। সাধারনত ভেজা মাটিতে তুলসী গাছের জন্ম হয়ে থাকে। তুলসী শাখা প্রধান। গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গাছটির সমস্ত শরীরে একধরণের সুক্ষ্মতা বিদ্যমান। পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ ৭৫-৯০ সে.মি. হয়। শাখা-প্রশাখা শক্ত ও চতুষ্কোনাকার। তুলসী ঔষধি ও চিরহরিৎ গুল্মজাতীয় গাছ। পাতা ২ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা। শাখা-প্রশাখার সামনের অংশ থেকে পাঁচটি ফুলের ডাল বের হয় এবং প্রতিটি ডালের চারদিকে ছাতার মতাে ১০ থেকে ১২টি স্তরে থরেথরে ফুল ধরে। তুলসী ফুল ছােট পার্পেল বা হালকা লালচে রঙের হয়, সিলিন্ডারাকৃতির স্পাইকে ফুল গুলাে ঘন হয়ে জন্মে থাকে। ফল গুলাে ছােট, বীজ হলুদ বা একটু লালচে ধরনের। তুলসী গাছের ফুল, ফল এবং পাতার একটি ঝাঁজালাে গন্ধ আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র এ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এ গাছের গুণাগুণের কথা বিভিন্ন প্রাচীনগ্রন্থেও উল্লেখ আছে।
তুলসীর স্বাস্থ্যগুন 

১। পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খান । হাগু একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে!! মানে পায়খানার ওই সমস্যাটা আর কি!

২। জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গােল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন। অথবা তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন । দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান । জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।

৩। কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। এতে উপকার পাবেন।

৪। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪/৫ বার তুলসী পাতা চেবান।

৫। ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান কমে যাবে।

৬। শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান এতে জ্বালা কমবে। পােড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। সেখানে কোন দাগ থাকবে না।

৭। ত্বকের চমক বাড়ানাের জন্য এছাড়া ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান।
৮। চর্মরােগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালাে হয়ে যায়।
৯। ডায়রিয়া হলে ১০ থেকে বারােটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
১০। শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপােড়া কমে যাবে। পােড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পােড়া দাগ ওঠে যাবে।
১১। যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘােরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গােলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
১২। সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
১৩। নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরােগেও উপকার পাওয়া যায়।
১৪। চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার
সূত্রঃ ইন্টারনেট

১৫।মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ।
১৬। ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান,কমে যাবে ।
১৭। ত্বকের চমক বাড়ানাের জন্য, এছাড়াও ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান।
১৮। বুদ্ধি এবং স্মরণশক্তি বাড়ানাের জন্য প্রতিদিন ৫-৭ টা তুলসী পাতা চিবান ।
১৯। প্রস্রাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন। উপকার পাবেন ।
২০। ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগান।
২১। কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসিপাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। শ্লেম্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোনাে গন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূর্ণের নস্যি* নিলে সেরে যায়।
* পাতাচুর্ণ দুই আঙ্গুলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি।
২২। তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। তুলসী চা হিসাবে এটি বেশ জনপ্রিয়।
২৩। তুলসি পাতার রসে লবন মিশিয়ে দাদে লাগালে উপশম হয়।
২৪। তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়। এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মত করে খেলে প্রস্রাবজনিত জ্বালা যন্ত্রনায় বিশেষ উপকার হয়।  এছাড়াও তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন।
২৫। মুখে বসন্তের কাল দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে যায়।
হামের পর যে সব শিশুর শরীরে কালাে দাগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button