লোড-শেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদঃ
লোড-শেডিং / বিদ্যুৎ বিভ্রাট
অনুচ্ছেদ
বিদ্যুৎ আধুনিক সভ্যতার প্রধান চালিকাশক্তি। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ রয়েছে, সেসব এলাকায় প্রত্যেকেই লোড-শেডিং শব্ধটির সাথে পরিচিত। লোড-শেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর অর্থ হল নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহে ঘাটতি বা বিঘ্ন ঘটা। এটি আমাদের দেশের সর্বত্র একটি নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। বিবিধ কারণে লোড-শেডিং হয়ে থাকে। অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং এর অপরিকল্পিত বন্টন লোড-শেডিং এর জন্য বেশি দায়ী। মানুষ যখন বিদুৎমুখী জীবনযাপনে অভ্যস্ত, সেখানে লোড-শেডিং একটি অভিশাপস্বরূপ। লোড-শেডিং এর কারণে শিল্পাঞ্চলগুলো দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বিদ্যুতের অভাবে উত্পাদন ব্যাহত হয়। কলকারখানার উত্পাদন হ্রাস পায়। হঠাৎ করেই রাস্তাঘাটসমূহ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, প্রদীপ, চার্জ-লাইট এবং মোমবাতির স্বল্প আলোয় বড় দোকান এবং বাজার সামান্য আলোকিত হয়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার ফলে রিফ্রেজারেটরে রাখা সতেজ খাবার নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে গবেষণাগারে রক্ষিত বিভিন্ন দ্রব এবং ঔষধ যেগুলো নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় এবং রিফ্রেজারেটরে রাখা হয়, সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। চোর এবং পকেটমাররা রাস্তায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করে। লোড-শেডিং এর কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বর্ণনাতীত। এতে তাদের পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটে। লোড-শেডিং এর অভিশাপ হাসপাতালগুলোকেও রেহাই দেয় না। জরুরি অপারেশনের সময় বিদ্যুৎ চলে চলে গেলে রোগীর অবস্থা কেমন হতে পারে তা বর্ণনা করা যায় না । তাছাড়া গরমকালে প্রচণ্ড গরমে মানুষ ঘুমাতে পারে না। মোটের ওপর লোড-শেডিং আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলে। তাই লোড-শেডিং সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐকবদ্ধভাবে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারের উচিত অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা এবং পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন দেশের সাথে চুক্তি করে চুল্লি স্থাপন করা। কেননা এ চুল্লি থেকে প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। এ ছাড়া অবৈধ সংযোগ, সিস্টেম লস এবং বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে হবে। এভাবে আমরা লোডশেডিং ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
