বাংলা রচনা

রচনা: বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যা ও তার প্রতিকার

1/5 - (1 vote)
রচনা: বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যা ও তার প্রতিকার

 বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যা ও তার প্রতিকার সম্পর্কে একটি রচনা লিখ

রচনা সংকেত : সূচনা, খাদ্য সমস্যা কী, বাংলাদেশে খাদ্য সমস্যার স্বরূপ, খাদ্য সমস্যার কারণ, খাদ্য সমস্যা রােধে করণীয়, সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ, উপসংহার।

বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যা ও তার প্রতিকার

সূচনা

মানুষের মৌলিক পাঁচটি চাহিদার মধ্যে খাদ্য হচ্ছে প্রধান। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে আবাদি জমির অনুপাতে জনসংখ্যা বেশি। প্রতিবছর জনসংখ্যার হার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবাদি জমি বাড়ছে না, বাড়ছে জনসংখ্যা। এ বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে। ফলে ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে সরকারকে প্রতিবছর হিমশিম খেতে হয়। জনসংখ্যা চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে খাদ্য উৎপাদন কম। এছাড়া প্রতিবছর বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য-ফসল নষ্ট হয়। ফলে খাদ্যঘাটতি পূরণের জন্য সরকারকে প্রতিবছর বিশ থেকে ত্রিশ লক্ষ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। তবুও দেশে খাদ্যাভাব পূরণ হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার চাপ। ফলে বাড়ছে দারিদ্র। ক্ষুধা ও অপুষ্টির শিকার হচ্ছে বিশাল জনগােষ্ঠী।

খাদ্য সমস্যা কী

খাদ্যের চাহিদার তুলনায় খাদ্যের যােগান কম হলে যে সমস্যা দেয় তাই খাদ্য সমস্যা। খাদ্যের চাহিদা যে হারে বৃদ্ধি পায় খাদ্যের যােগান তার চেয়ে কম বৃদ্ধি পেলে এ সমস্যা দেখা দেয়।

বাংলাদেশে খাদ্য সমস্যার স্বরূপ

একসময়কার গােলাভরা ধান, পুকুরভরা মাছ, কিংবদন্তির সােনার বাংলার সেই অবস্থা এখন আর নেই। তবে আজও এ দেশের মাঠে ফসল ফলে, নদীতে মাছ জন্মায়। কিন্তু মানুষের ঘরে সেই সমৃদ্ধি নেই, নেই সেই সচ্ছলতা। জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর কৃষিভূমি হ্রাসের ফলে উৎপাদিত খাদ্যশস্য মানুষের প্রয়ােজন মেটাতে পারছে না। ফলে এ দেশে সংকট বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশে আবাদি জমির পরিমাণ দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের হানি প্রায় নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জমির উর্বশক্তি কমে যাচ্ছে। সার, কীটনাশক দিয়ে যতই উৎপাদন বাড়ানাে হােক না কেন সীমিত জমির উৎপাদন শক্তির তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। ফলে খাদ্য সমস্যা দিনদিন বাড়ছে। 

খাদ্য সমস্যার কারণ

নানাবিধ কারণে আমাদের দেশে খাদ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে খাদ্য সমস্যার অন্যতম কারণগুলো তুলে ধরা হলোঃ 

(১) জনসংখ্যা বৃদ্ধিঃ মানুষ বাড়ছে, কিন্তু জমি বাড়ছে না। ক্ষুদ্রায়তনের এই বাংলাদেশে আবাদি জমির পরিমাণ মাত্র শতকরা বিশভাগ, এটুকু জমির সবটাতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় না। তাছাড়া জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে বাসস্থান ও কলকারখানা নির্মাণের কাজে আবাদি জমি ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের জাতীয় আয়ের সিংহভাগই ব্যয় হচ্ছে খাদ্যশস্য আমদানি করতে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এভাবে অব্যাহত থাকলে আগামীতে দেশের খাদ্যসংকট কী পরিমাণ হবে, তা কল্পনাও করা যায় না।

(২) সনাতন পদ্ধতির কৃষি উৎপাদন-ব্যবস্থাঃ আমাদের দেশে সর্বত্র আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা এখনাে রয়ে গেছে মান্ধাতার আমলে। সার এবং কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বৃদ্ধি পায়নি লাগসই কোনাে প্রযুক্তি। হালের বলদ আর মই-লাঙল আজও দরিদ্র কৃষকের কৃষিকাজের প্রধান হাতিয়ার।

(৩) প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের খাদ্যসংকটকে আরও প্রকট করে তুলেছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য নষ্ট হয়। বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে সাময়িকভাবে খাদ্য সমস্যা গুরুতর রূপ নেয়। 

(৪) কৃষি ঋণের অভাবঃ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য নগদ অর্থের প্রয়ােজন। কিন্তু অধিকাংশ কৃষকই দরিদ্র বলে তাদের নগদ অর্থের অভাব থাকে। কৃষক ঋণ নিয়ে উপকরণ কিনতে পারে। কিন্তু সংগঠিত উৎস থেকে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ প্রয়ােজনের তুলনায় কম। তাই কৃষকেরা প্রয়ােজনীয় ঋণ পায় না। এক হিসেবে দেখা যায় শতকরা ৮০ ভাগ কৃষক যাদের ০.৫০ একরের কম জমি আছে তারা কৃষি ঋণ পায় না। কৃষক অসংগঠিত উৎস থেকে ঋণ নিতে পারে। কিন্তু এই প্রকার সুদের হার এত বেশি যে এই সুদে ঋণ নিয়ে ফসল উৎপাদন লাভজনক হয় না।

(৫) অপর্যাপ্ত উপকরণ সরবরাহঃ আধুনিক প্রযুক্তি অত্যন্ত সংবেদশীল। ঠিক সময়মত সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার না করলে ফলন খুব কম হয়। অনেক সময় বাজারে সার ও কীটনাশকের অভাব দেখা দেয়। কখনও জ্বালানীর অভাবে সেচের অসুবিধা দেখা দেয়। এসব কারণে কৃষক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত বােধ করে।

(৬) ক্রটিপূর্ণ বিপণন ব্যবস্থাঃ বাংলাদেশে কৃষক কৃষিপণ্যের বিপণন ব্যবস্থায় ক্রটির জন্য ফসলের যে দাম পায় তাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক সময় পােষায় না। নগদ অর্থের জরুরী প্রয়ােজন মেটানাের জন্য অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক ফসল তােলার পর পরই ফসল বিক্রয় করে ফেলে। সে সময় ফসলের দাম কম হয় বলে তারা ভাল দাম পায়না। এছাড়া গুদামঘরের অভাব, পরিবহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার স্বল্পতার জন্যও তারা ফসলের প্রত্যাশিত দাম পায় না।

(৭) কীটপতঙ্গের আক্রমণঃ সারা বছর চাষাবাদ করার ফলে কীটপতঙ্গের আক্রমণ বেড়েছে। কিন্তু কৃষকের অজ্ঞতার জন্য এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয় না। 

(৮) খাদ্য সংরক্ষণঃ খাদ্য সংরক্ষণের অসুবিধা ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার জন্য উৎপাদিত ফসলের কিছু অংশ নষ্ট হয়। ফলে খাদ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পায়।

(৯) ক্রটিপূর্ণ সরকারী নীতিঃ সরকারী দাম নীতি, উপকরণ নীতি ইত্যাদি অনেক সময় উৎপাদন বৃদ্ধির পথে প্রণােদনা হ্রাস করে।

খাদ্য সমস্যা রােধে করণীয়

বাংলাদেশে খাদ্য সমস্যা সমাধানের জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এ উভয় দিকে নজর দেয়া দরকার। নিচে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে আলােচনা করা হলােঃ

(১) আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিঃ কৃষকদের মধ্যে আধুনিক উপকরণের ব্যবহার- উন্নত বীজ, সার, সেচ ও কীটনাশক বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষককে এই প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে সক্ষম করার জন্য প্রয়ােজনীয় সম্প্রসারণ সেবা বৃদ্ধি করতে হবে। 

(২) খাদ্যশস্য ও বিক্রয়নীতিঃ  ক্ষুদ্র কৃষকেরা যাতে ফসলের উৎসাহ ব্যঞ্জক দাম পায় এজন্য সরকার ফসল কাটার মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে এবং যে সময় বাজারে খাদ্যের যােগান ক্ষীণ হয় সে সময় সংগৃহীত খাদ্য বাজারে বিক্রয় করতে পারে। এর ফলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা উপকৃত হবে। 

(৩) বিপণন ব্যবস্থার উন্নতিঃ বিপণন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য স্বল্প মূল্যে কৃষকেরা চাহিদামত গুদামঘর নির্মাণ, যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রাথমিক বাজারের অবকাঠামােগত উন্নয়ন করা দরকার। 

(৪) কৃষি গবেষণা জোরদারঃ নতুন উন্নত জাতের বীজ উদ্ভাবনের জন্য কৃষি গবেষণা জোরদার করা যায়। 

(৫) প্রাকৃতিক দুর্যোগ মােকাবিলাঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মােকাবেলা করার জন্য দীর্ঘকালীন ও স্বল্পকালীন ব্যবস্থা নেয়া প্রয়ােজন। বন্যা প্রতিরােধী ও খরা প্রতিরােধী বীজ উদ্ভাবন, দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন কর্মসূচী ইত্যাদির মাধ্যমে খাদ্য শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

(৬) কৃষিক্ষেত্রে অর্থঋণের সুবিধাঃ দরিদ্র কৃষকই দেশের বিশাল জনগােষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণ করে। অথচ সেই দরিদ্র কৃষক সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। কৃষকের নেই কোনাে সামাজিক মর্যাদা। কৃষিক্ষেত্রে অর্থঋণের সুবিধাও খুব সীমিত। তাই কৃষকদেরকে সহজ শর্তে অর্থঋণের সুবিধা দিতে হবে। 
(৭) কৃষি প্রশিক্ষণঃ অশিক্ষিত, দরিদ্র, গ্রামীণ কৃষককে প্রশিক্ষণ দান ও আধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক, মাটির উর্বরাশক্তি আর গুণাগুণ সম্পর্কে কৃষককে সচেতন করে তুলতে হবে।
(৮) অনাবাদি জমির ব্যবহার নিশ্চিতকরণঃ আমাদের দেশে এখনাে পনেরাে শতাংশ জমি অনাবাদি রয়েছে। এসব জমিকে চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানাে সম্ভব।
(৯) ভূমি সংস্কারঃ সরকারী খাস জমি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করে উৎপাদন বাড়ানাে যেতে পারে।
(১০) শস্য বহুমুখীকরণঃ বাংলাদেশের কৃষিতে গুটিকতক পণ্য খুব বেশি গুরুত্ব পায়। ইতিপূর্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য ধান ও গম, বিশেষতঃ ধান উৎপাদনে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষির উন্নয়নের জন্য আলু, তৈলবীজ, পাট, ফুল ও লতাপাতা ইত্যাদির চাষ বাড়ানাে দরকার। 
(১১) টেকসই কৃষিঃ কৃষি উৎপাদনের উপর অত্যধিক জোর দেয়ার ফলে ভূমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কৃষিতে সার, সচে ও কীটনাশকের এবং ফসলের প্যাটার্ন এমন হতে হবে যাতে কৃষির টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়।

সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ

সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন ও খাদ্য লভ্যতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও জাতীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বিধান সরকারের জন্য একটি গুরত্ববহ বিষয় হয়ে থাকছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য উৎপাদনে তাৎপর্যপূর্ণ সফলতা অর্জন করেছে – যা বহুলাংশে জাতীয় পর্যায়ে অপ্রতুল খাদ্য লভ্যতার সমস্যা দূরীকরণে সহায়ক হয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্যের লভ্যতা নিশ্চিতকরণের আবশ্যকতা অনস্বীকার্য হলেও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট নয়। সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারসমূহের জন্য খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা ও সংগৃহীত খাদ্যের যথাযথ ব্যবহারে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

টেকসইভাবে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে উন্নত কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সার্বিক পুষ্টি চাহিদার নিরিখে কৃষিকে বহুমুখীকরণ প্রয়ােজন। কৃষি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, বিদ্যমান ভূমির সর্বোত্তম ও দক্ষ ব্যবহার, কৃষি উপকরণসহ সেচের জন্য পানির দক্ষ ব্যবহার, পশুসম্পদ, মৎস্য ও ফলসহ অশস্যজাত খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষি নিবিড়করণে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, গবেষণা ও কৃষিঋণ সরবরাহের লক্ষ্যে অন্যান্য প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপসহ সরকার  বিভিন্ন  পদ্ধতি ও কার্যাবলী গ্রহণ করেছে। যেমনঃ

  • কৃষি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ
  • অঞ্চলভিত্তিক ভূমির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি
  • কৃষি গবেষণা কার্যক্রম
  • লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন 
  • দক্ষ মানবসম্পদের ব্যবহার
  • পানি সম্পদের দক্ষ ব্যবহার
  • কৃষি উপকরনের প্রাপ্যতা ও দক্ষ ব্যবহার
  • কৃষি বহুমুখীকরণ, উন্নত প্রযুক্তি ও গবেষণা
  • কৃষি ঋণ
  • বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন
  • বেসরকারি খাদ্য ব্যবসা উৎসাহিতকরণ
  • বানিজ্য সহায়ক আইন এবং নিয়ন্ত্রনমূলক পরিবেশ উন্নয়ন
  • অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে মূল্য সহায়তা
  • সরকারী খাদ্যশস্য মজুদ
  • ভোক্তাদের মূল্য সহায়তা
  • জনগনের ক্রয় ক্ষমতা ও খাদ্য প্রাপ্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
  • কৃষিতে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ
  • সরকারী মজুদ হতে জরুরি বিতরণ

উপসংহার

একটি দেশের জন্য খাদ্য সমস্যা প্রধান সমস্যা হিসাবে কাজ করে। এ সমস্যা অবশ্যই সমাধানযােগ্য। তবে এর জন্য দরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, বাস্তবমুখী পদক্ষেপ এবং সরকার ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগী সূচনা। সরকার ইতােমধ্যে খাদ্য সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ইত্যাদি সংস্থা উচ্চ ফলনশীল নানা বীজ ও শস্যের উদ্ভাবন করেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও কৃষি উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রচেষ্টা সফল এবং বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের খাদ্য সমস্যার সমাধান করা কঠিন হবে না।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

2 Comments

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button