‘স্কুলের শেষদিন’ সম্পর্কে তােমার মনােভাব জানিয়ে বন্ধুর নিকট একখানা পত্র লেখ।
অথবা, একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেয়ার প্রাক্কালে শেষ দিনটিতে তােমার মনের অবস্থার বিবরণ দিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখ।
কান্দির পাড়, কুমিল্লা
তাং-০২/০৩/২০১৫ ইং
প্রিয় পপি,
বেদনা ভারাক্রান্ত মন দিয়ে তােমাকে লিখতে বসেছি। আজ ছিল আমার স্কুলের শেষ দিন-বিদায়ের দিন। বহুদিনের স্মৃতি বিজড়িত স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি পৌছেই মনটাকে কিছুটা হালকা করার মানসে তােমার কাছে লিখতে বসেছি। বিদ্যালয়ে এসেই দেখলাম, বিদ্যালয়ের মিলনায়তনটি নানাভাবে সুসজ্জিত করা হয়েছে। শিক্ষক এবং আমন্ত্রিত অভিভাবকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। আমরা বিদায়ীরা একপাশে বসলাম। প্রধান শিক্ষক মহােদয় মলিন মুখে সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। সমস্ত কক্ষব্যাপী যেন বিরাজ করছিল এক করুণ নীরবতা। আজ একে একে আমার মানসপটে ভেসে আসছে স্কুল-জীবনের সমস্ত স্মৃতি। মনে পড়ে সেদিনের কথা যেদিন, প্রথম কুহেলিকাচ্ছন্ন শীতে ভয়-শঙ্কিত চিত্তে বাবার হাত ধরে এ বিদ্যাপীঠে পদার্পণ করেছিলাম। কালের স্রোতে সবার সাথে গড়ে উঠল মায়ার বন্ধন। শিক্ষকদের ভালােবাসার বিনিময়ে পেয়েছি অকৃত্রিম ভালােবাসা ও প্রাণঢালা স্নেহ। বিদ্যালয়ের পিয়ন, দারােয়ান, দপ্তরি -এরাও হয়ে উঠেছিল অতি আপনজন। আজ নাড়ির বাঁধন ছিন্ন করে সবাইকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে। তাই বিদায়বাণী উচ্চারণ করতে ঠোট উঠেছে কেঁপে, চোখ হয়েছে অশ্রুসিক্ত। ছাত্রদের পক্ষ থেকে কয়েকজন কিছু বলতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কিছু বলা সম্ভব হচ্ছিল না। সবশেষে প্রধান শিক্ষক আমাদের হাতে তুলে দিলেন স্নেহের উপহারস্বরূপ একটি করে বই। বিদায় শেষে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। তােমার মঙ্গল কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
ইতি
তোমারই প্রীতিধন্য
সুমি
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

ভাই এইটা বুঝি না