দেশের করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে থাকায় দফায় দফায় পিছানো হয়েছে পরীক্ষা। সেইসাথে বন্ধ ছিল সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে হলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি। তবে বিকল্প উপায়ে নেওয়া হবে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ।
শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি |
মোট নম্বর ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে ৫০ নম্বরকে ১০০তে রূপান্তর করে পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে।
যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকে তাহলে, আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার হবে। গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে ছয়টি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে প্রশ্ন বাচাই করার সুযোগ বেশি পাবে শিক্ষার্থীরা। আগে ১০টি প্রশ্নের মধ্যে ৭- থেকে ৮টির উত্তর করতে হত কিন্তু এবার করতে হবে চারটি।
তাছাড়া শিক্ষাবোর্ড থেকে জানানো হয়েছে এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর কোন পরিকল্পনা নেই। কারণ শুধু নৈর্বচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বেঞ্চ প্রতি একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবশ্যিক বিষয় থাকলে যে কেন্দ্রে ৫০০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হতো, আবশ্যিক বিষয় না থাকায় সেই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে বড়জোড় ১০০ জন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে কোনো সমস্যা হবে না।
যদি কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বচনিক বিষয় পদার্থ, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত থাকে, তাহলে তাকে এই তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে পরীক্ষা দিতে হবে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। রচনামূলক অংশে নম্বর থাকবে ৩৫ ও এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন) থাকবে ১৫ নম্বরের। তবে প্রশ্নপত্র এখন যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ থাকবে।
আর প্রতি বিষয়ে মোট নম্বর ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে ৫০ নম্বরকে ১০০তে রূপান্তর করে পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে।
অন্যদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সেইসাথে এইচএসসি এর ফরম পূরণের কাজও চলছে। এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিও প্রায় শেষের দিকে। চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আর অটোপাসের অপবাদ না নিতে চাই না। করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসবে। ফলে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে পারব।’
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

ঠিক আছে
এস এস পরীক্ষা হলে, শিক্ষামন্ত্রীর উচিত প্রতি প্রশ্নে অন্তত চার টি করে অপশন দেয়া এবং উত্তর হবে যে কোন একটি। নৈর্ব্যক্তিকেে আরো অপশন বাড়িয়ে দেয়া কারন,ছেলে মেয়েরা অনলাইন ক্লাস নয়,অনলাইন গেম আর বাজে নেশায় আসক্তি হয়ে পড়েছে,এর দায়ভার শিক্ষামন্ত্রীকে সহজ সরল আর নামেমাত্র পরীক্ষা নিয়ে বহন করা উচি।