“বিজ্ঞান” ষষ্ঠ শ্রেণি ১২তম অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর – Class Six Science 12th Week Assignment
নির্ধারিত কাজঃ
“বিজ্ঞান” ষষ্ঠ শ্রেণি ১২তম অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর
উদ্ভিদকোষ ও প্রাণীকোষের চিহ্নিত চিত্রঃ
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যঃ
কোষের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রনকারী অঙ্গানুর সমূহের গঠন চিত্র সহ বর্ণনা নিচে দেওয়া হলোঃ
মাইটোকন্ডিয়াঃ- প্রতিটি মাইটোকন্ডিয়া দ্বিস্তরবিশিষ্ট বিল্লী গ্বারা আবৃত থাকে। এটি প্রোটিন ও লিপিড দিয়ে তৈরি ।। ঝিল্লীর বাইরের আবরণটি মসৃণ কিন্ত্ব ভেতরের আবরণটি স্থানে স্থানে ভাজ হয়ে তেতরের দিকে ঝুলে থাকে, এ ভাজগুলোকে ক্রিস্টি বলা হয়। ক্রিস্টিতে শ্বসনের অক্রিডেটিভ ফসফোরাইলেশন পর্যায়টি সম্পন্ন হয় । ক্রিস্টির উপরের চারদিকে ছোট ছোট সবৃস্তক বৃত্তাকার বন্ত দেখা যায়, এগুলোকে অক্সিজোম বলা হয়। প্রতিটি অন্রিসোম এর তিনটি অংশ থাকে । যথা- ভিত্তি, বৃত্ত এবং মস্তক।
প্রাস্টিডঃ সাইটোপ্রাজমের মধ্যে যে সকল ক্ষুদ্র, দানাদার বিভিন্ন আকারের বস্ত দেখা যায় তাদেরকে বলা হয় প্রাস্টিড । প্রাস্টিড উদ্ভিদ কোষের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য । এর উপস্থিতির কারণে উদ্ভিদের পাতা, ফুল ও ফলের বর্ণ বৈচিত্র্য দেখা যায়। প্লাস্টিডের কাজ- খাদ্য প্রস্তুত করে, খাদ্য সঞ্চয় করে, পরাগায়নে সাহায্য করে এবং ক্লোরোগ্রাস্টের প্রয়োজনে প্রোটিন ও নিউক্লিক আসিড তৈরি করে । উদ্ভিদ কোষে সাধারণত তিন প্রকার প্রাস্টিড থাকে । যথা- ক্রোমোপ্রাস্ট, ক্লোরোপ্রাস্ট এবং লিউকোগ্রাস্ট ।
![]() |
প্রাস্টিড |
সেন্ট্রোসোমঃ এটি প্রাণী কোষে থাকে । উদ্ভিদ কোষে সাধারণত এটি থাকে না। তবে নিম্লশ্রেণির উদ্ভিদ কোষে কদাচিৎ দেখা যায়। ম্পিন্ডল যন্ত্র সৃষ্টিতে এর ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাজেলা সৃষ্টিতেও এটি অংশগ্রহণ করে।
![]() |
সেন্ট্রোসোম |
সেন্ট্রিয়োলঃ একটি স্বচ্ছ দানাবিহীন সাইটোপ্লাজম দ্বারা নিমজ্দিত এবং নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অবস্থিত দুটি ফাঁপা নলাকার বা দন্ডাকার অঙ্গাগুলোকে বলা হয় সেন্ট্রিয়োল । এটি প্রাণী কোষের সেন্ট্রোসোম এলাকায় অবস্থান করে । উদ্ভিদ কোষে সাধারণত এটি থাকে না। তবে নিন্রশ্রেণির উদ্ভিদ কোষ যেমন ছত্রাকে থাকে । কোষ বিভাজনের সময় আযাস্ট্রাল-রে গঠন এবং মেরু নির্দেশ করে । কোষ বিভাজনে সাহায্য করে।
![]() |
সেন্ট্রিয়োল |
রাইবোসোমঃ সাইটোপ্রাজমে মুক্ত অবস্থায় বিরাজমান অথবা অস্তঃপ্লাজমীয় জালিকার গায়ে অবস্থিত যে দানাদার কণায় প্রোটিন সংশ্রেষণ ঘটে তাকে বলা হয় রাইবোসোম। সাধারণত অমসৃণ অন্তঃপ্লাজমীয় জালিকার উভয় দিকে এরা সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করে ক্ত রাইবোসোম আদি কোষের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ।
গলগি বডিঃ গলগি বডি নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অবস্থান করে । দ্বিস্তরবিশিষ্ট বিন্লী দ্বারা আবদ্ধ ছোট নালিকা, ফোস্কা, চৌবাচ্ছা বা ল্যামেলীর ন্যায় গঠন নিয়ে গঠিত সাইটো প্লাজমিক ক্ষুদ্রাঙ্গের নাম গলগি বডি । এটি চেস্টা, গোলাকার বা লম্বা হয়।
![]() |
গলগি বডি |
লাইসোসোমঃ সাইটোপ্লাজমে অবস্থানকৃত যে সকল অঙ্গাণু হাইড্রোলাইটিক এনজাইমের আধার হিসেবে কাজ করে তাদেরকে বলা হয় লাইসোসোম । বিভিন্ন ধরনের অনেকগুলো হাইড্রোলাইটিক এনজাইম একটি ঝিল্লী দ্বারা আবদ্ধ হয়ে এক একটি লাইসোসোম গঠন করে ।
![]() |
লাইসোসোম |
নিউক্রিয়াসঃ প্রকৃত কোষের প্রোটোপ্লাজম এর সবচেয়ে স্পষ্ট, ঘন, অস্চ্ছ সজীব অঙ্গাণুটি হলো নিউক্লিয়াস । আদি কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস না থাকলেও নিউক্লিয়োপদার্থ। প্রতিটি কোষে সাধারণত একটি নিউক্লিয়াস থাকে । নিউক্লিয়াস সাধারণত গোলাকার, উপবৃত্তাকার বা নলাকার হয়ে থাকে। নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের কেন্দ্রস্থলে থাকে কিন্ত পরিণত কোষে কোষ গহ্বর বড় হলে কোষ প্রাচীরের কাছাকাছি অবস্থান করে । নিউক্লিয়াস এর আয়তন বিভিন্ন কোষে বিভিন্ন রকম হয়।
![]() |
নিউক্রিয়াস |
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

Ad is ok for your hardwork.But this much and this kind of ads is not acceptable at all.Totally annoyed.