Uncategorized

“তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি” অষ্টম শ্রেণি ২০২১ একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

Rate this post

"তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি" অষ্টম শ্রেণি ২০২১ একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

“তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি” অষ্টম শ্রেণি ২০২১ একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

নির্ধারিত কাজ:

"তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি" অষ্টম শ্রেণি ২০২১ একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মােচিত হয়েছে – উক্তিটির আলোকে একটি প্রতিবেদন লিখ।  

তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি – অষ্টম শ্রেণি  অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর: 

০৮ জুন, ২০২১ খ্রিঃ
প্রধান শিক্ষক
গরিবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়
হালিশহর, চট্রগ্রাম।
বিষয় : প্রতিবেদন জমাদান প্রসঙ্গে।
সূত্র : গ.উ.বি/১২৮/২০২১ তারিখ : ০৩ জুন, ২০২১ খ্রিঃ

মহোদয়,

সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ০৩ জুন, ২০২১ খ্রিঃ  এর স্মারক নং গ.উ.বি/১২৮/২০২১  মোতাবেক আপনার নিকট থেকে আদিষ্ট হয়ে ‘তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মােচিত হয়েছে’ এ বিষয়ক আমার প্রতিবেদন বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রস্তুত করেছি।

অতএব, আপনার সদয় বিবেচনার জন্য তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মােচিত হয়েছে সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি নিম্নে উপস্থাপন করলাম।

প্রতিবেদক
ফাছিহ্‌ আহমেদ রিমন
গরিবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়
অষ্টম শ্রেণি, রোলঃ ০৭

‘তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মােচিত হয়েছে’

আধুনিক জীবনের সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে আজকের এই নগর সভ্যতার দিকে তাকালে আমরা এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ করতে পারি। এই যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। সমাজের যে স্তরে এখনো বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগেনি সে স্তরে এখনো উন্নতির ছোঁয়া প্রবেশ করতে পারেননি। তাই বলা যায় যে সভ্যতার উন্নয়নের মূলে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। পিটার থেইল বলেছেনঃ

“Technology just means information technology.” 

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতাে বাংলাদেশেও এখন কর্মক্ষেত্রে আইসিটির বহুমুখী প্রভাব ও ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে। এই প্রভাব ও পরিসর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে আইসিটির দুই ধরনের প্রভাব লক্ষ করা যায়। প্রথমত প্রচলিত কর্মক্ষেত্রগুলােতে আইসিটির প্রয়ােগের ফলে কর্মদক্ষতার বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণ, অন্যদিকে আইসিটি নিজেই নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে। প্রচলিত কর্মক্ষেত্র এবং পুরাতন ব্যবসা-বাণিজ্যে আইসিটি ব্যবহারের ফলে কর্মীদের দক্ষতা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে। অন্যদিকে এর ফলে সেবার মানও উন্নত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে আইসিটি ব্যবহারের সাধারণ দক্ষতা একটি প্রাথমিক যােগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

ব্যাংক, বিমা থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি, সরকারি দপ্তরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে উপস্থাপনা সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে ই-মেইল, নানান ধরনের বিশ্লেষণী সফটওয়্যার ইত্যাদিতে দক্ষ হতে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত সফটওয়্যার (যেমন:ব্যাংকিং সফটওয়্যার) ব্যবহারেও পারদর্শিতা অর্জন করতে হয়। অন্যদিকে আইসিটি নিজেই একটি বড় আকারের কর্মবাজার সৃষ্টি করেছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র। কেবল দেশে নয়, আইসিটিতে দক্ষ কর্মীরা দেশের বাইরে কোনাে প্রতিষ্ঠানে অথবা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে। এই কাজের একটি বড় অংশ দেশে বসেই সম্পন্ন করা যায়। আউটসাের্সিং করে এখন অনেকেই বাংলাদেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তাছাড়া অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে চাইলে যে কেউ ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারছে। 

একটি দেশের বিকাশ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাণিজ্যের কোনাে বিকল্প নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ, ইন্টারনেটের উদ্ভব ও বিকাশ এবং কাগজের মুদ্রার বাইরেও ইলেকট্রনিক বিনিময় প্রথা চালু হওয়ার ফলে বাণিজ্যেরও একটি বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে। এখন ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও বাণিজ্য করা যায়, যার প্রচলিত নাম ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য। ইন্টারনেটের যুগে একজন বিক্রেতা তার পণ্যের ছবি, ভিডিও দিয়ে ইন্টারনেটেই তার দোকানটি খুলে বসতে পারেন। এজন্য তার প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েবসাইট চালু করতে হয়। ক্রেতা অনলাইনে তার পছন্দের পণ্যটি পছন্দ করেন এবং মূল্য পরিশােধ করেন। দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই মূল্য পরিশােধের সুযােগ রয়েছে। এছাড়া মােবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও মূল্য পরিশােধ করা যায়।
বর্তমানে জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ বেকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীকে আতকর্মসংস্থানে উৎসাহিত যায়। ঘরে বসে আয়ের বড় একটি মাধ্যম হচ্ছে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ব্যবহার। চাইলে নিজের অর্জিত মেধা ও যোগ্যতাকে হাতিয়ার করে যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করা যায়। 
পরিশেষ বলতে চাই, আত্মকর্মসংস্থানের বড় একটি মাধ্যম হতে পারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার। আমাদের দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনেকটাই উন্নত হয়েছে। কিন্তু সর্বস্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।  তাই সরকারের পাশাপাশি আমাদেরকেও এগিয়ে আসবে হবে। 
প্রতিবেদকের নাম : ফাছিহ্‌ আহমেদ রিমন
প্রতিবেদনের ধরন : প্রাতিষ্ঠানিক
প্রতিবেদনের শিরোনাম : তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মােচিত হয়েছে।
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : হালিশহর, চট্রগ্রাম।
তারিখ : ০৮.০৬.২০২১ খ্রিঃ

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

6 Comments

  1. স্যার অষ্টম শ্রেণির ১১তম সপ্তাহের ইংরেজি এ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দাওয়া দেন স্যার pkz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz plz

মন্তব্য করুন

Back to top button