Uncategorized

“ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং” এসএসসি ২০২১ ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

Rate this post
"ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং" এসএসসি ২০২১ ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং – এসএসসি ২০২১

২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের “ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং” ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট। 

অ্যাসাইনমেন্ট নম্বরঃ ৪
অধ্যায়ঃ  চতুর্থ
অধ্যায়ের শিরোনামঃ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ।


নিধারিত কাজঃ

"ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং" এসএসসি ২০২১ ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

“ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং” এসএসসি ২০২১ ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

 (ক) ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণাঃ 

সাধারণ অর্থে,  কোনাে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কাকে ঝুঁকি বলে। যখন কোনাে খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কার প্রকৃতি জানা যায় না তাকে অনিশ্চয়তা বলে। ঝুঁকি পরিমাপযােগ্য। অর্থাৎ ঝুঁকিকে আগেই পরিমাপ করা যায়। অনিশ্চয়তাকে পরিমাপ করা যায় না। ঝুঁকি হ্রাস করা যায়। যেহেতু ঝুঁকি আগেই পরিমাপযােগ্য তাই বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে তা কমানাে যায়। যেহেতু অনিশ্চয়তা পরিমাপ করা যায় না,তাই অনিশ্চয়া হ্রাস করাও যায় না।

ব্যাপক অর্থে, প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশিত ফলাফল থেকে ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাকে ঝুঁকি বলে। অনিশ্চয়তার যে অংশ গাণিতিক ভাবে পরিমাপ করা যায় তাই ঝুঁকি। বিনিয়ােগকারী এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা থেকে প্রাপ্তির একটি ব্যবধান থাকে এবং এ ব্যবধান হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

উদাহরণ: রাকিব ২০২১ সালের এস এস সি পরীক্ষার্থী। করােনা ভাইরাসের কারণে সঠিক সময়ে পরীক্ষা হবে কি না, পরীক্ষা হলে ভাল ফলাফল করতে পারবে কিনা, ফলাফলের পর ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারবে কিনা এ সবই অনিশ্চয়তা। অনুরূপভাবে, একজন বিনিয়ােগকারী শেয়ার ক্রয় করে কোম্পানি থেকে লভ্যাংশ পাবে কিনা, ভবিষ্যতে কোম্পানির আশানুরূপ পণ্যের বিক্রি হবে কিনা, প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করতে পারবে কি না এ সবই অনিশ্চয়তা।

আবার, সমতা লেদার কোম্পানি আশা করছে আগামী বছর ১৫% নিট মুনাফা করবে। কিন্তু প্রকৃত নিট মুনাফা হলাে ৮%। এখানে এই ৭% বিচ্যুতি হলাে ঝুঁকির উৎস। বিনিয়ােগকারী প্রতি শেয়ারে যখন ১৫ টাকা লভ্যাংশ প্রত্যাশা করে বছর শেষে ২০ টাকা লভ্যাংশ পায়, তখনাে এই ৫ টাকা বিচ্যুতি ঝুঁকির উৎস বলে বিবেচিত হয়।
(খ) ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পার্থক্যঃ

যদিও অনিশ্চয়তা থেকে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তবুও ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। 
প্রথমত, সব অনিশ্চয়তা ঝুঁকি নয়। খারাপ কোনাে ঘটনা ঘটার আশঙ্কাই হচ্ছে ঝুঁকি। অনিশ্চয়তার যে অংশটুকু পরিমা করা যায় সে অংশকে ঝুঁকি বলা হয়। কিছু কিছু অনিশ্চয়তা আছে, যা পরিমাপ করা যায় না।
উদাহরণঃ একটি কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তার মৃত্যু হতে পারে, এটা একটা অনিশ্চয়তা, কিন্তু এই অনিশ্চয়তাকে পরিমাপ করা যায় না। ফলে এই রকম অনিশ্চয়তাকে ঝুঁকি বলা যায় না।
দ্বিতীয়ত, ঝুঁকি পরিমাপ করা যায় বলে বিভিন্ন কৌশল প্রয়ােগ করে ঝুঁকির পরিমাণ কমানাে যায়। কিন্তু অনিশ্চয়তাকে বিভিন্ন কৌশল প্রয়ােগ করে কমানাে বা পরিহার করা যায় না।
উদাহরণঃ ভূমিকম্পের কারণে কোনাে কোম্পানির অফিস দালান ভেঙে যেতে পারে, কিন্তু ভূমিকম্প কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে নেই বলে এই অনিশ্চয়তাকে কোম্পানি পরিহার করতে পারে না। পক্ষান্তরে, আগামী বছর কোম্পানির বিক্রয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা একটি ঝুঁকি। কারণ, এই ঝুঁকি পরিমাপ করা যায় এবং এই ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য কোম্পানি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে পারে। যেমন: অগ্রিম বিক্রি করতে পারে, মূল্য হ্রাস, বিভিন্ন অফার ইত্যাদি।
(গ) ঝুঁকির শ্রেণিঃ
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিদ্ধান্তের সাথে কিছু না কিছু ঝুঁকি জড়িত থাকে। এসব ঝুঁকির কারণে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশিত ফলাফল না পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে এসব ঝুঁকি যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হয়। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য এসব ঝুঁকির উৎস ও শ্রেণি খুঁজে বের করা জরুরি। এ ব্যাপারে কারবারের প্রেক্ষাপট আর বিনিয়ােগকারীর প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকি দুই ধরনের –
(১) ব্যবসায়িক ঝুঁকিঃ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সফলভাবে চালানাের জন্য বিভিন্ন রকম পরিচালনা ব্যয়ের সৃষ্টি হয়। উদাহরণস্বরূপ- কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকদের বেতন, অফিস ভাড়া, বিমা খরচ ইত্যাদি। এসব পরিচালনা খরচ পরিশােধের অক্ষমতা থেকে ব্যবসায়িক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। কোনাে কোম্পানির পরিচালনা ব্যয় মেটানাের সক্ষমতা নির্ভর করে বিক্রয় থেকে আয়ের স্থিতিশীলতা এবং পরিচালনা খরচের মিশ্রণ অর্থাৎ স্থায়ী এবং চলতি খরচের অনুপাতের উপর। বিক্রয় আয়ে স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থাৎ বিক্রয়লব্ধ কোনাে সময় আয় বেশি আবার কোনাে সময় কম হলে, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ব্যয় মেটাতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। আবার পরিচালন ব্যয়ে স্থায়ী খরচ যেমন: অফিস ভাড়া, বিমা খরচ ইত্যাদির পরিমাণ বেশি হলে ব্যবসায়িক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
(২) আর্থিক ঝুঁকিঃ কোনাে প্রতিষ্ঠানের দায় পরিশােধের অক্ষমতা হতে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় আর্থিক ঝুঁকি। যে প্রতিষ্ঠানের ঋণের মাধ্যেমে সংগ্রহীত তহবিল বেশি, সেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঝুঁকি বেশি। কারণ ঋণ মূলধনের সুদ প্রদান করা বাধ্যতামূলক। পক্ষান্তরে, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হলে মুনাফা বন্টন বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং ঋণ মূলধন ব্যবহার করা হলে কারবারটি যদি লাভজনক না হয়, তখন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আইনের আশ্রয় নিতে পারে এবং ফলে কারবারটির বিলােপসাধন হতে পারে। ঋণ মূলধন ব্যবহার করলে সুদ এবং উক্ত অর্থ পরিশােধের দায় সৃষ্টি হয়।
বিনিয়ােগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকি দুই ধরনের –
(১) সুদ হারের ঝুঁকিঃ যেসব বিনিয়ােগকারী বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ক্রয় করে, তাদেরকে সুদ হারের ঝুঁকি মােকাবিলা করতে হয়। কারণ বাজারে সুদের হারের পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের বিনিয়ােগের মূল্য উঠা-নামা করে। সুদের হার বাড়লে এসব বিনিয়ােগের অর্থাৎ বন্ড, ডিবেঞ্চারের বাজারমূল্য কমে, আবার সুদের হার কমলে এসব বিনিয়ােগের বাজারমূল্য বাড়ে। সুদের হারের পরিবর্তনের কারণে বিনিয়ােগের মূল্য হ্রাসের আশঙ্কাকেই সুদ হারের ঝুঁকি বলা হয়।
(২) তারল্য ঝুঁকিঃ ন্যায্য বা যুক্তিসংগত মূল্যে বিনিয়ােগ বিক্রয় করতে না পারার ঝুঁকিকে তারল্য ঝুঁকি বলা হয়। বিনিয়ােগকারী শেয়ার, বন্ড বা ডিবেঞ্চার ইত্যাদিতে বিনিয়ােগের পর যে কোনাে সময় এসব বিনিয়ােগ নগদায়নের প্রয়ােজন হয়। আশা করা হয়, বিনিয়ােগকারী এসব বিনিয়ােগ যুক্তিসংগত মূল্যে বিক্রয় করে নগদায়ন করতে পাবে। কিন্তু কোনাে কারণে যদি বিনিয়ােগকারী সহজে এবং যুক্তিসংগত মূল্যে বিক্রয় করতে না পারে, তখন তারল্য ঝুঁকির সৃষ্ট হয়। তারল্য ঝুকি সাধারণত যে বাজারে এসব বিনিয়ােগ যথা: শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি কেনাবেচা হয়, সে বাজারের আঁকার এবং কাঠামোর উপর নির্ভর করে। 

(ঙ) আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণঃ 

উদ্দীপকের অরণ্য ও অনন্য প্রকল্প দুটির বিনিয়ােগের ক্ষেত্রে গড় আয়ের হার ১৫% (ঘ হতে) অর্থাৎ একই। প্রকল্প দুটির মধ্যে অরণ্য এর আদর্শ বিচ্যুতি ৯.১৩% (ঘ হতে) এবং অনন্য এর আদর্শ বিচ্যুতি ৩.৫৬% (ঘ হতে)। যে প্রকল্পের আদর্শ বিচ্যুতি বেশি, সেই প্রকল্পের ঝুঁকি বেশি, আর যে প্রকল্পের আদর্শ বিচ্যুতি কম সেই প্রকল্পে ঝুঁকি কম। এখানে অরণ্য প্রকল্পে বিনিয়ােগ করলে (৯.১৩ – ৩.৫৬) =  ৫.৫৭% ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই অনন্য প্রকল্পে ঝুঁকি কম ও নিরাপদ। আর অরণ্য প্রকল্পের ঝুঁকি বেশি এবং গ্রহণযােগ্যতা কম। ফলে অরণ্য প্রকল্পের তুলনায় সানন্য প্রকল্প সধিক গ্রহণযােগ্য।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Back to top button