টেক নিউজস্বাস্থ্য কথা

স্ন্যাপচ্যাট এ নকল কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য সনদ বিক্রি

Rate this post

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ

কয়েক ডজন জাল স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্ট ফ্রান্সের ব্যবহারকারীদের কাছে নকল কোভিড-১৯  স্বাস্থ্য সনদ বিক্রি করছে। এএফপির একটি তদন্তে বলা হয়েছে  জাল স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্টকারীরা  দাবি করে যে তারা “ঘন্টার মধ্যে” কোভিড-১৯  স্বাস্থ্য সনদ প্রদান করতে পারে।  জাল স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে ফরাসি নাগরিকদেরকে বলা হয় “যারা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন চায় না কিন্তু কোভিড -১৯ স্বাস্থ্য পাসের সুবিধা নিতে চায় তাদেরকে ঘন্টার মধ্যে সনদ প্রদান করা হবে”। শুধু তাই নয় করোনার  ভ্যাকসিন ঐচ্ছিক এমটা বলেও তারা প্রচার করছে। 

স্ন্যাপচ্যাট এ নকল কোভিড-১৯  স্বাস্থ্য সনদ বিক্রি
A number of accounts were openly named “Faux Pass Sanitaire” (“Fake Health Pass”).Snapchat 

গত মাসে, ফ্রান্স নাগরিকদের জন্য বার, রেস্তোরাঁ এবং সংস্কৃতির জায়গা যেখানে ৫০  জনেরও বেশি লোকের সমাগম হয় সেখানে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পাস বাধ্যতামূলক করা হয়।

যেসব মানুষ বড় শপিং সেন্টার পরিদর্শন করতে চায় বা নির্দিষ্ট পরিবহনে ভ্রমণ করতে চায় তাদের প্রমাণ করতে হবে যে তারা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ টিকা নিয়েছে, ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে, অথবা টেস্টে নেগেটিভ এসেছে। ইউরোপের অন্যান্য সদস্য দেশগুলিতেও একই ধরনের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

কিন্তু এই পদক্ষেপ ইউরোপ জুড়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে রাস্তায় টেনে এনেছে, এবং অপরাধীরা ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি করে এবং ফ্রান্সের স্বাস্থ্য বীমা ডাটাবেজে সম্পূর্ণরূপে ভ্যাকসিন হিসাবে মানুষকে নিবন্ধনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে।

স্ন্যাপচ্যাটের অনেক ভুয়া অ্যাকাউন্ট মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সেটআপ করা হয়েছিল এবং ব্যবহারকারীদের “সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে” একটি ভুয়া স্বাস্থ্য পাস পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

এএফপি তদন্ত অনুসারে, অ্যাকাউন্টগুলি কেবল ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের নাম, জাতীয় বীমা নম্বর, ইমেল এবং ডাক ঠিকানা চেয়েছিল জাল সার্টিফিকেট পেতে। তারা একটি সনদ ১৪০ ইউরো থেকে শুরু করে ৩৫০ ইউরো পর্যন্ত বিক্রি করত, তবে কোন প্রকার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য তারা চাইত না। কিছু বিক্রেতারা কেবল ব্যবহারকারীর জাল সনদ পাওয়ার পরে অর্থ প্রদানের দাবি করে।

এএফপি বলেছে, এই ধরনের নকলকারীদের ফ্রান্সে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১,৫০০ ইউরো  জরিমানার দিধান রয়েছে। আর আর যারা জাল পাস কিনে তাদের তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

সূত্র – ইউরোনিউজ। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button