Uncategorized

দরিদ্র তহবিল / ছাত্রকল্যাণ তহবিল হতে সাহায্যের জন্য আবেদন

Rate this post
 মনে কর তোমার নাম আবিদ। দরিদ্র তহবিল / ছাত্রকল্যাণ তহবিল হতে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে একটি দরখাস্ত লেখ।
দরিদ্র তহবিল / ছাত্রকল্যাণ তহবিল হতে সাহায্যের জন্য আবেদন

৫ জুলাই, ২০২০
প্রধান শিক্ষক
ইলিয়ানা মডেল হাই স্কুল
মতিঝিল, ঢাকা।
বিষয় : ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার স্কুলের নবম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। গত তিন বছর ধরে আমি এ স্কুলে পড়ালেখা করছি। গত বার্ষিক পরীক্ষায়ও আমি প্রথম স্থান অধিকার করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি আর্থিক অভাবে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। আমাদের পরিবারে পাঁচ জন সদস্য। এদিকে আমার আরও দুই ভাই-বোন পড়ালেখা করছে। সবার পড়ালেখার খরচ জোগাতে আমার বাবা হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি সামান্য বেতনের চাকরি করেন। তদুপরি গত কয়েক মাস যাবৎ তিনি অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ দরকার। এ বিপদে সাহায্য করবে এ রকম আত্মীয়স্বজনও নেই। ভাইবোনের লেখাপড়া, বাবার চিকিৎসার ব্যয়, সবমিলিয়ে আমাদের পরিবারের অবস্থা বিপন্ন। তাই নিরুপায় হয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। আমার পারিবারিক দুরবস্থার বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে আমাকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ এবং দরিদ্র তহবিল/ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করলে বিশেষভাবে উপকৃত হব। নতুবা
আমার পড়ালেখা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
অতএব, মহোদয়, আমাকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে এককালীন কিছু অর্থ অনুদানের ব্যবস্থা করে দিতে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

নিবেদক,
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
আবিদ
নবম শ্রেণি, রোল-১
মানবিক শাখা,
ইলিয়ানা মডেল হাই স্কুল, মতিঝিল, ঢাকা।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

পুরাকীর্তি সংরক্ষণ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন

Rate this post
পুরাকীর্তি সংরক্ষণ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন
পুরাকীর্তি সংরক্ষণ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন

মনে কর, তুমি অনজু। জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের জন্য পুরাকীর্তি সংরক্ষণ প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

দেশের পুরাকীর্তি সংরক্ষণ অতীব আবশ্যক

নিজস্ব প্রতিনিধি : অনজু, নরসিংদী।

আমাদের দেশের ঐতিহ্য প্রাচীন। ইতিহাসের ধারায় বাংলাদেশ প্রাচীনকাল থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম আমলের স্মৃতি কীর্তি, স্থাপত্যে ভরপুর। পাহাড়পুর, মহাস্থানগড় ও ময়নামতীর পুরাকীর্তি সম্পর্কে প্রায় সকলেরই জানা। এছাড়া রয়েছে অসংখ্য পুরাকীর্তি, যা সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে চলেছে কিংবা অনেক কিছুই ইতােমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। বখতিয়ার খিলজির স্মৃতিধন্য নওদারুজ এখনাে খনন করা হয়নি। মুন্সীগঞ্জে ঐতিহাসিক ইদ্রাকপুরের কেল্লা কবেই মাটিতে দেবে গেছে, কেবল জেগে আছে সীমানা প্রাচীর। ঈসা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত জঙ্গলবাড়ী, এগারােসিন্ধু এখনাে অবহেলিত।

নরসিংদী জেলায় ‘উয়ারি বটেশ্বর’ এক অমূল্য পুরাসম্পদ। উয়ারি বটেশ্বর আড়াই হাজার বছর আগেকার এক সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনাে তা মাটির নিচে চাপা পড়েই আছে, উদ্ধারের কোনাে প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মন্টোগােমারি মার্টিনের ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে আছে, রংপুর, দিনাজপুর বড় রাস্তার ধারে করতােয়া নদীর উভয় তীরে অবস্থিত প্রাচীন দুর্গ। অথচ এখনাে তা অবহেলিত। একইভাবে সীতাকোট বৌদ্ধ বিহার, নওয়াবগঞ্জে বাংলার স্বাধীন সুলতান হােসেন শাহের ছােট সােনা মসজিদ, মােগল আমলের তহখানা অবহেলিত রয়েছে। অনুরূপভাবে রয়েছে সােনারগাঁয়ের অমূল্য স্থাপত্যকীর্তিসমূহ, বখতিয়ারপুরের পুরাকীর্তি, বড় দরগায় ইসমাইল গাজীর মাজার, লালমনিরহাটের কাকিনার রাজবাড়ি, নীলফামারির নীল সাগর ও চিনি ভীসুবিহার যেখানে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ পর্যটন করেছিলেন। 

এককথায়, সারা বাংলাদেশ পুরাকীর্তিতে ভরপুর। এ সম্পর্কে বিশেষভাবে জানা যাবে, ‘অ্যানলস অভ দি রুরাল হিসট্রি অভ বেঙ্গল’ এবং আদিব আলীর ‘মেমােরিস অভ গৌড় অ্যান্ড’ গ্রন্থে। এ দেশে শুধু-হিন্দু-বৌদ্ধ মুসলমান আমলের পুরাকীর্তিই নয়, পর্তুগিজদেরও কিছু পুরাকীর্তি রয়েছে। যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে রয়েছে একটি পর্তুগিজ সমাধিস্তম্ভ। এতে পর্তুগিজ ভাষা ও লিপি উৎকীর্ণ রয়েছে। স্থানটি সংরক্ষিত হলে পুরাকীর্তি হিসেবে দর্শনীয় বিষয় হয়ে উঠবে নিঃসন্দেহে। সুপ্রাচীন জাতি হিসেবে আমাদের যে ঐতিহ্য রয়েছে, তা ধরে রাখার জন্যই পুরাকীর্তির সংরক্ষণ ও সংস্কার অত্যাবশ্যক। এজন্য সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নামে একটি বিভাগও আছে। কিন্তু প্রয়ােজন অনুযায়ী আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় কিংবা অভিজ্ঞ ও যত্নশীল লােকের অভাবে এসব ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি যথাযথভাবে খনন, উদঘাটন, সংস্কার, সংরক্ষণ কিংবা পুনঃনির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আশা করি, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ দায়িত্ব পালন করে আমাদের এ ঐতিহাসিক পুরাকীর্তিসমূহ সংরক্ষণে সচেষ্ট হবেন। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

যবিপ্রবি ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

Rate this post

যবিপ্রবি ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
ফাইল ছবি


অনলাইন নিউজ ডেস্ক – ২৯ আগস্ট, ২০২১

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সশরীরে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থগিত হওয়া বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শুরু হবে।

২৮ আগস্ট শনিবার  যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে  পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ও কর্মজীবনে কথা  চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

১৫ অক্টোবরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং আবাসিক হল  খুলে দেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়েছে। 

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামুলকভাবে প্রথমে  স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যেসব শিক্ষার্থী আবাসিক হলে অবস্থান করতে ইচ্ছুক, তাদের স্ব স্ব বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। হলে অবস্থানের জন্য আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে। কোনো শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসলে, তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরবর্তীতে তিনি সুস্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক তার পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করবে।

এদিকে ১ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যে কোন ১০টি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সময়কালসহ একটি পোস্টার তৈরি কর

Rate this post

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যে কোন ১০টি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সময়কালসহ একটি পোস্টার তৈরি কর

 ১৭৫৭ সালের পর থেকে ১৯৪৭ সাল পর পর্যন্ত বাংলায় যে শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে ঔপনিবেশিক শাসন বলা হয়। বাংলায় ইউরোপীয় বণিকের আগমনের পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা। তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে। এরপর অনেক সংঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। 

১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যে কোন ১০টি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সময়কালসহ একটি পোস্টার তৈরি করা হল। 

  • পলাশী যুদ্ধ (১৭৫৭): ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে তাদের প্রতিপত্তি বিস্তার লাভ করে। আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে নবাব পরিবারের সাথে রাজপ্রসাদের অভিজাতদের দ্বন্দ্ব হলে কোম্পানির কর্তারা এর সুযোগ নেয়। নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তার খালা ঘসেটি বেগম, মীর জাফরসহ  প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। ১৭৫৭ সালে ২৩শে জুন পলাশীর প্রান্তরে মীর জাফর বিশ্বাসঘাতকতা করলে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় হয় এবং নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

  • দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা (১৭৬৫): দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা ১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব থেকে দেওয়ানি সনদ প্রাপ্ত হলে যে শাসন প্রণালীর উদ্ভব হয়, তা ইতিহাসে দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত। মীর জাফরের মৃত্যুর পর লর্ড ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে। এই ব্যবস্থার ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠে এবং বাংলার নবাব সামান্য বৃত্তিভোগী কর্মচারীতে পরিণত হন। 
  • ছিয়াত্তরের মন্বন্তর (১৭৭০ বাংলা ১১৭৬ ) : দ্বৈত শাসন ছিল এ দেশের মানুষের জন্য অভিশাপ। ইংরেজরা প্রজাদের উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করে। কর্মচারীদের অর্থের লোভ লালসা দিন দিন বাড়তে থাকে। সে সময় দেশে পর পর তিন বছর অনাবৃষ্টির ফলে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১৭৭০ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে কৃষকের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। লক্ষ লক্ষ লোক অনাহারে মারা যায়। এটি ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নাম পরিচিত।

  • চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (১৭৯৩): চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার ভূমি মালিকদের (সকল শ্রেণির জমিদার ও স্বতন্ত্র তালুকদারদের) মধ্যে সম্পাদিত একটি স্থায়ী চুক্তি। এর প্রবক্তা লর্ড কর্নওয়ালিস। এ চুক্তির আওতায় জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভূ-সম্পত্তির নিরঙ্কুশ স্বত্বাধিকারী হন।
  • ভারত শাসন আইন পাস (১৮৫৮): কোম্পানি শাসনের প্রায় একশ বছর পরে ইংরেজ অধ্যুষিত ভারতের বিভিন্ন ব্যারাকে সিপাহীদের মধ্যে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়। এরপর ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত শাসন আইন পাস হয়। 
  • ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবসান (১৮৫৮): ভারত শাসন আইন পাস করার ফলে ১৮৫৮ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অবসান ঘটে।  ভারতের রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্রিটিশ রাজার হাতে চলে যায়। 
  • মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন (১৮২১): বাংলার নবজাগরণের পথকে অনেকটা সুগম করেছিল ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে স্থাপিত প্রথম মুদ্রণযন্ত্র। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্ঞানচর্চা বৃদ্ধির পাশাপাশি শাসকদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি হয়। 
  • কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা (১৮৫৭): ইংরেজরা তাদের শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ইংরেজরা উচ্চ শিক্ষার জন্য ধর্মীয় স্কুল স্থাপনের পাশাপাশি কলেজ স্থাপনের পিছনে জোর দেয়।  অবশেষে ১৮৫৭ সালে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। 

  • বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫): ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অবসানের বীজ রোপিত হয়েছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনার মাধ্যমে। এ সময় বাংলার সীমানা বড় হওয়ার কারণে ইংরেজি শাসকদের পক্ষে  দূরবর্তী অঞ্চলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কঠিন ছিল। তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাকে “পূর্ব বঙ্গ” ও “আসাম” দুইভাগে ভাগ করা হয়। কিন্তু শিক্ষিত বাঙ্গালি তা মেনে নিতে পারেনি কারণ তারা মনে করেন ইংরেজরা সুশাসনের অজুহাতে হিন্দু – মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাঙ্গন ধরাতে চাইছে। বঙ্গভঙ্গ কার্যকর না করার জন্য বাঙ্গালি হিন্দু নেতারা স্বদেশি আন্দোলন, বয়কট আন্দোলন, স্বরাজ আন্দোলন এবং সশস্ত্র আন্দোলন করে তা প্রতিহত করে। এতে করে মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমে জাগ্রত হয়। 
  • ভারত বিভাজন ও ইংরেজ শাসনের অবসান (১৯৪৭): ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ দ্বি-জাতিত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভক্তির পরিকল্পনা করলে বাংলার জনগণ হিন্দু-মুসলমান পরিচয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে। কার্যকর হয় লাহোর প্রস্তাব। ব্রিটিশ অধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করে পূর্ব-বাংলা। যদিও এ মুক্তি প্রকৃত স্বাধীতনা ছিল না। অবশেষে ১৯৪৭ সালে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটে। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

পল্লী সাহিত্যের পাঁচটি উপাদানের নাম লেখ

4/5 - (1 vote)
পল্লী সাহিত্যের পাঁচটি উপাদানের নাম লেখ

পল্লী সাহিত্যের পাঁচটি উপাদানের নাম নিম্নে দেওয়া হলঃ 
১। মৈমনসিংহ গীতিকা
২। খনার বচন
৩। ছড়া
৪। পল্লী গান
৫। রূপকথা
আরও উত্তরঃ

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Back to top button