Uncategorized

নবম শ্রেণি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং (Finance & Banking) | ৯ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর উত্তর

1/5 - (1 vote)

নবম শ্রেণি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৯ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর উত্তর। Class Nine 9th week Finance & Banking Assignment 2021 Answer

নবম শ্রেণি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং (Finance & Banking) | ৯ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর উত্তর



নির্ধারিত কাজ

প্রতিবেদন প্রণয়ন: কেস স্টাডি ; X লিমিটেড ,Y লিমিটেড ও Z লিমিটেড তিনটি একই ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। X লিমিটেড এর অধিক মুনাফা অর্জন হলেও পাওনাদারনের দাবী মেটাতে প্রায়শই বিরােধ সৃষ্টি হয় । Y লিমিটেড এর আয়ের তুলনায় মূলধন খরচ অধিক। Z লিমিটেড অন্যান্য বছর ভালাে মুনাফা অর্জন করলেও কোভিও – ১৯ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়টি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। 

• কেস স্টাডিটির ভিত্তিতে একটি | প্রতিবেদন প্রণয়ন কর। (প্রতিবেদনে ভূমিকা, অর্থায়নের নীতির ব্যাখ্যা, কোন প্রতিষ্ঠানে কোন নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে তার পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য যথাযথ সুপারিশ ও উপসংহার থাকবে।)।

নমুনা উত্তর

০৮ জুন, ২০২১ খ্রিঃ
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
গরিবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়
হালিশহর, চট্রগ্রাম।
বিষয় : কেস স্টাডি:  অর্থায়ন, অর্থায়নের নীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলি
সূত্র : গ.উ.বি/১২৮/২০২১ তারিখ : ০৩ জুন, ২০২১ খ্রিঃ

মহোদয়,

সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ০৩ জুন, ২০২১ খ্রিঃ  এর স্মারক নং গ.উ.বি/১২৮/২০২১  মোতাবেক আপনার নিকট থেকে আদিষ্ট হয়ে “কেস স্টাডি:  অর্থায়ন, অর্থায়নের নীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলি নিয়ে”  আমার প্রতিবেদন বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রস্তুত করেছি।

অতএব, আপনার সদয় বিবেচনার জন্য “কেস স্টাডি:  অর্থায়ন, অর্থায়নের নীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলি” সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি নিম্নে উপস্থাপন করলাম।

প্রতিবেদক
ফাছিহ্‌ আহমেদ রিমন
গরিবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়
নবম শ্রেণি, ব্যবসায় শাখা, রোলঃ ০৭

কেস স্টাডি:  অর্থায়ন, অর্থায়নের নীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলি

ফিন্যান্স বলতে বুঝি, অর্থায়ন বা অর্থসংস্থান যার মানে অর্থ সংগ্রহ করা। কিন্তু, ফিন্যান্স শুধু অর্থ সংগ্রহই নয় বরং অর্থের উৎস নির্বাচন, আর্থিক নীতি নির্ধারণ, মুলধন বাজার, অর্থ বিনিয়োগ, বিভিন্ন প্রকল্প বিশ্লেষনসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ কে অর্থায়ন বলে। সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ লাভ করেছে তেমনি বিকাশ লাভ করেছে  ব্যবসায়ের পরিধি।  ব্যবসায়ের মূল চালিকা শক্তি হল অর্থায়ন। ব্যবসাকে সচল রাখার জন্য অর্থের প্রয়োজন এবং সেই সাথে প্রয়োজন ব্যবসায়ের মুনাফা বৃদ্ধি। 

অর্থায়ন পক্রিয়া ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান  ও অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানের ধরনভেদে অর্থায়নের ধরণও ভিন্ন হয়। যেমন:

  • পারিবারিক অর্থায়ন।
  • সরকারি অর্থায়ন।
  • আন্তর্জাতিক অর্থায়ন।
  • ব্যবসায় অর্থায়ন।
  • অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের অর্থসংস্থান।

ব্যবসায়ের অর্থায়নকে ফলপ্রসূ করার জন্য  প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নের নীতিমালা প্রয়োজন। প্রয়োজন মাফিক তহবিল সংগ্রহ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিলে বিনিয়োগ এবং তহবিল গঠন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার কাজই হলো অর্থায়নের নীতি।

অর্থনীতির প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তারল্য এবং মুনাফা নীতি। তারল্য ও মুনাফা নীতি হলো কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ বা মুনাফা কি পরিমান ব্যবসায় খরচ করবে এবং কী পরিমান ব্যাংকে অথবা ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যয় করবে। ব্যবসায় নগদ অর্থের পরিমাণ বেশী নিজের কাছে রেখে দিলে একদিকে যেমন লাভের পরিমাণ কমে যায় অন্যদিকে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করলে ব্যবসায়  দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় নগদ অর্থের ঘাটতি হয়। তাই প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে তারল্য ও বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য রেখে আর্থিক ব্যবস্থাপনা করতে হবে। তারল্য ও মুনাফার মধ্যে উপর্যুক্ত ভারসাম্য বজায় রাখা অর্থায়নের একটি অন্যতম মূলনীতি।

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে উপযুক্ততার নীতি। স্বল্পমেয়াদী তহবিল দিয়ে চলতি মূলধন ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিল দিয়ে স্থায়ী মূলধন সরবরাহ করাই হল উপযুক্ততার নীতি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন অর্থের প্রয়োজন হয় আর এই দৈনন্দিন অর্থ যে মূলধনের সাহায্যে পূরণ করা হয় সেটি হল চলতি মূলধন যেমনঃ কাঁচামাল ক্রয়, শ্রমিকের মজুরি প্রদান ইত্যাদি। অপরদিকে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও  সম্পদ বৃদ্ধিতে যে মূলধন ব্যবহার করা হয় তা হলো স্থায়ী মূলধন। অর্থায়নের নীতি হলো দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী মূলধনী সাথে সামঞ্জস্য তৈরি করা। চলতি মূলধন পরিমাণ কম হয় তাই এটি স্বল্পমেয়াদি উৎস হতে সংগ্রহ করা ভালো। অপরদিকে অপরদিকে স্থায়ী মূলধন সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করা ভালো। এতে করে চলতি মূলধন ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিল এর মধ্যে সামঞ্জস্যতা রক্ষা করা যায়।

অর্থায়নের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো কারবারের বৈচিত্রায়ন ও ঝুঁকি বন্টন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের বৈচিত্রায়নের মাধ্যমে ব্যবসায় ঝুঁকি হ্রাস করা যায়। প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনিশ্চিত ভবিষ্যৎকে কেন্দ্র করে মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করে ফলে নানামুখী ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। এসকল নানাবিধ ঝুঁকি মোকাবেলা করা ব্যবস্থাপকের পক্ষে অনেকটা কঠিন। তবে ঝুঁকি বণ্টনের মাধ্যমে অনিশ্চিত বাজার পরিস্থিতিতেও প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন সম্ভব। তাই একজন ব্যবসায়ীর উচিত শুধু এক ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসা না করে বরং পণ্যের বৈচিত্রায়ন এর মাধ্যমে মুনাফা বৃদ্ধি করা এবং সেই সাথে ঝুঁকি হ্রাস করা। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সাথে নিজ ব্যবসা এর বৈচিত্র ও পরিবর্তন আনাই একজন সফল ব্যবস্থাপকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কোন পরিস্থিতিতে একটি পণ্যের বিক্রি কমে গেলে অন্য পণ্য বিক্রয় দিয়ে ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব হয়। 

অর্থায়নের তিনটি নীতি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর একটি ব্যত্যয় হলে ব্যবসায় বড় ধরণের ক্ষতি সাধিত হতে পারে। 

যেমন তিনটি একই ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান X, Y ও Z লিমিটেড। 

X লিমিটেড এর মুনাফা অধিক হলেও প্রায়শই পাওনাদারদের দাবী মেটাতে বিরোধ হয়। এখানে অর্থায়নের তারল্য এবং মুনাফা নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে। X লিমিটেড নগদ অর্থের বেশির ভাগ অংশ ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে এবং কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জনে সক্ষম হলেও তারল্য সংকটের কারণে পাওনাদারদের দাবী মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উক্ত সমস্যা সমাধানে আর্থিক ব্যবস্থাপককে তারল্য এবং মুনাফা নীতি অবলন্বন করতে হবে। নগদ অর্থ ও মুনাফার পুরোটাই বিনিয়োগ না করে কিছু নগদ অর্থ হাতে রাখা উচিত। এতে করে উক্ত কোম্পানিটি তার দৈনন্দিন খরচ মিটানোর পাশাপাশি  পাওনাদারদের দাবী মেটাতেও সক্ষম হবে। এবং কোম্পানিটি ভবিষ্যতে তারল্য সংকটে পড়বে না। 

Y লিমিটেড এর আয়ের তুলনায় মূলধন খরচ অধিক। ফলে কোম্পানিটির পক্ষে মুনাফা অর্জন করা অনেকটাই কঠিন। আয়ের তুলনায় খরচ অধিক হলে কোম্পানিটির পক্ষে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকা অসম্ভব। উক্ত কোম্পানিটি অর্থায়নের উপযুক্ততার নীতি অবলম্বন না করার ফলে মূলধন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। উক্ত সমস্যা সমাধানে আর্থিক ব্যবস্থাপককে চলতি মূলধন ও দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে। চলতি মূলধন স্বল্পমেয়াদি উৎস হতে সংগ্রহ করতে হবে। বিক্রয়লব্ধ অর্থ থেকে চলতি মূলধন ব্যবস্থা করা উচিত।  এবং দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উৎস (যেমন : ব্যাংক ঋণ, ডিভেঞ্চারহোল্ডার, বিনিয়োগ ব্যাংক) নির্বাচন করতে হবে। 

Z  লিমিটেড অন্যান বছর মুনাফা অর্জন করলেও কোভিড – ১৯ পরিস্থিতে বন্ধ হওয়ার পথে। তার কারণ হল উক্ত কোম্পানি বৈচিত্রায়ন ও ঝুঁকি বন্টন নীতি অনুসরণ করেনি। উক্ত সমস্যা সমাধানে আর্থিক ব্যবস্থাপককে বৈচিত্রায়ন ও ঝুঁকি বন্টন নীতি অনুসরণ করতে হবে। কারণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রভৃতি কারণে ব্যবসায় ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। ভোক্তার চাহিদা মোতাবেক পণ্যের বৈচিত্রায়ন আনয়ন করতে হবে। কোভিড – ১৯ পরিস্থিতে মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস, জীবানুনাশক স্প্রে প্রভৃতি পণ্যের বিক্রয় দিয়ে হ্রাসকৃত বিক্রয় পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। 

অর্থায়ন ব্যবসায়ের প্রাণস্বরূপ। ব্যবসায় পরিচালনার মূল চালিকা শক্তি হল মূলধন। আর এই মূলধনকে মুনাফায় রূপান্তর করাই হল ব্যবসায়ের প্রধান লক্ষ্য। লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রত্যেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে অর্থায়নের নীতি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। তাই আর্থিক ব্যবস্থাপককে অর্থায়নের তিনটি মূলনীতি অনুসরণ করে  ব্যবসায়ের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, মূলধন বৃদ্ধি এবং মুনাফা অর্জন করতে হবে। 

প্রতিবেদকের নাম : ফাছিহ্‌ আহমেদ রিমন
প্রতিবেদনের ধরন : প্রাতিষ্ঠানিক
প্রতিবেদনের শিরোনাম : কেস স্টাডি:  অর্থায়ন, অর্থায়নের নীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলি।
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : হালিশহর, চট্রগ্রাম।
তারিখ : ০৮.০৬.২০২১ খ্রিঃ

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

2 Comments

মন্তব্য করুন

Back to top button