Uncategorized

নবম শ্রেণি পদার্থ বিজ্ঞান (Physics) | 9th week Assignment 2021

Rate this post

নবম শ্রেণি পদার্থ বিজ্ঞান (Physics) | 9th week Assignment 2021 । অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১

পদার্থ বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ কীভাবে ঘটেছে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

নবম শ্রেণি পদার্থ বিজ্ঞান (Physics) | 9th week Assignment 2021 । অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১



নির্ধারিত কাজ

পদার্থ বিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ কীভাবে ঘটেছে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

নমুনা উত্তর

বিজ্ঞানের প্রচীনতম শাখা হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞান। শুধু তাই নয়, পদার্থবিজ্ঞান হল বিজ্ঞানের সবচেয়ে মৌলিক একটি শাখা। এর ওপর ভিত্তি করে রসায়ন দাঁড়িয়েছে, রসায়নের ওপর ভিত্তি করে জীববিজ্ঞান দাঁড়িয়েছে, আবার জীববিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে অন্য অনেক বিষয় দাঁড়িয়ে আছে। বিজ্ঞানের যে শাখা পদার্থ ও শক্তি এবং এ দুইয়ের মধ্যে যে আন্তঃক্রিয়া তাকে বোঝার চেষ্টা করে সেটা হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞান। 

যেহেতু, বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাগুলো পদার্থবিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, সেহেতু এর পরিসর অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। পৃথিবীতে যত ধরণের প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে তার মূলে রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান। 

পদার্থবিজ্ঞানের ক্রমবিকাশ

আধুনিক সভ্যতা হচ্ছে বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞানের এই অগ্রগতি একদিনে হয়নি। শত শত বছর ধরে বিজ্ঞানী- গবেষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে পদার্থবিজ্ঞান আজকের অবস্থায় পৌঁছেছে। পদার্থবিজ্ঞানেকে দুইটি মূল অংশে ভাগ করা যায়।

ক) ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞান
খ) আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান

ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানঃ ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে বলবিজ্ঞান, শব্দবিজ্ঞান, তপ ও তাপগতি বিজ্ঞান, বিদ্যুৎ ও চুম্বকবিজ্ঞান, আলোকবিজ্ঞান, তরঙ্গবিজ্ঞান ইত্যাদি।

আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানঃ কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান এবং আপেক্ষিক তত্ব ব্যবহার করে যে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান গড়ে উঠেছে, সেগুলো হচ্ছে আণবিক ও পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান, পার্টিকেল ফিজিকস এবং নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান।

আদিপর্বঃ

আজকের যে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান দেখছি প্রাচীনকালে সেটি শুরু হয়েছিল জ্যোতির্বিদ্যা, আলকবিজ্ঞান,     গতিবিদ্যা এবং গনিতের জামিতির সমন্বয়ে। তবে প্রাচীন এই পদার্থবিজ্ঞান অনেকের কাছেই তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। গ্রিক বিজ্ঞানী থেলিস যুক্তি ছাড়া শুধু ধর্ম ও পৌরণিক কাহিনীনির্ভর ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করতে পারেননি। তবে সেই সময়কার বড় দার্শনিক  এরিস্টটলের মাটি, পানি, বাতাস ও আগুন দিয়ে সবকিছু তৈরি  হওয়ার মতবাদটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়।  

বিজ্ঞানের উত্থানপর্বঃ

ইউরোপের রেনেসাঁর যুগে অর্থাৎ ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতাব্দীতে পদার্থবিজ্ঞানের বিস্ময়কর বিপ্লবের সূচনা হয়। ১৫৪৩ সালে কোপানির্কাসের লিখা বইয়ে সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের ব্যাখ্যা দেন। তবে কোপানির্কাসের তত্ত্বটির কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ না থাকায় তত্ত্বটি আড়ালেই ছিল। পরবর্তীতে গ্যালিলিও গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে কোপানির্কাসের তত্ত্বটির প্রমান করার মধ্য দিয়ে আধুনিক বৈজ্ঞানের সূচনা করেন। তাই গ্যালিলিওকে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী নিউটনের মহাকর্ষ বলের সূত্রের মধ্যদিয়ে গতিবিদ্যার ভিত্তি তৈরি হয়। 

আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ঃ

ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রচলিত পর্দাথবিজ্ঞান নিয়ে কিছু সংশয় দেখা দেয়। ১৮০৩ সালে ডাল্টন পারমাণবিক তত্ত্ব দিয়েছিলেন, ১৮৯৭ সালে থমসন সেই পরমাণুর ভিতর ইলেকট্রন আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে ইলেকট্রন থেকে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করা হয়। এরপর বিজ্ঞানী মাইল কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯০৫ সালে আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে আলোর বেগ স্থির কিংবা গতিশীল সব মাধ্যমে সমান এ বিষয়টির ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকেই সর্বকালের সবচেয়ে চমকপ্রদ সূত্র E=mc2 বের হয়ে আসে । এবং বস্তুর ভরকে শক্তিতে রুপান্তর করার সম্ভব তা প্রমাণ হয় । এরপর ১৯৩১ সালে এই থিওরি ব্যবহার করে ডিরাক পদার্থের অস্তিত্ব ঘোষণা করেন। ১৮৯৫ সালে এক্সরে  আবিষ্কৃত হল। ১৮৯৬ সালে পরমাণুর কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ মেলে। ১৮৯৯ সালে রেডিয়াম আবিষ্কারের মধ্যদিয়ে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন অবিনশ্বর নয়, তাই এগুলো ভেঙে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হয়। 

যুগ যুগ ধরে অসংখ্য বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফসল হচ্ছে আজকের এই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

9 Comments

মন্তব্য করুন

Back to top button