![]() |
ষষ্ঠ শ্রেণি ৬ষ্ঠ সপ্তাহ কৃষি শিক্ষা |
Class Six 6th Week | Agricultural Science | কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
প্রিয় ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, তোমরা ইতোমধ্যেই ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পেয়েছো। আজ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর কৃষি শিক্ষা এর নির্ধারিত কাজ এবং নমুনা উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি। সর্বপ্রথমে চলো দেখে নেয়া যাক কৃষি শিক্ষা ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টএ কি কি থাকছে।
তোমাদের কৃষি শিক্ষা পাঠ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায় – আমাদের জীবনে কৃষি থেকে নির্ধারিত কাজ দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত কাজ

নমুনা উত্তর
১. রীনা বেগম কৃষি মেলায় কী কী কৃষিজাত পণ্য দেখতে পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ কৃষি বিষয়ক তথ্য পেতে কৃষি মেলার বিকল্প নেই। রীনা বেগম কৃষি মেলায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতি, উপকরণ, উৎপাদিত কৃষিপণ্য, চারা, বীজ, সার, কৃষিবিষয়ক পুস্তিকা, বুলেটিন, লিফলেট ইত্যাদি কৃষিজাত পণ্য দেখতে পেয়েছিলেন।
২. তাঁর কৃষিকার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কাদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা পেতে পারে।
উত্তরঃ রীনা বেগম তাঁর কৃষিকার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক তথ্য ও সেবা নিতে পারেন। তাছাড়া তিনি অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকেও পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। অভিজ্ঞ কৃষক একজন স্থানীয় নেতা এবং একজন পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন। কৃষি মেলা থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা নিতে পারেন কারণ কৃষি মেলায় কৃষি কাজে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকেন।
৩. কৃষি বিষয় শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করতে কোন কোন প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখতে পারে?
উত্তরঃ কৃষি বিষয় শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করতে নিন্মলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখতে পারেঃ
- কৃষিশিক্ষাঃ কৃষি শিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় কৃষিশিক্ষা যুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ১৬টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। তাছাড়া কারিগরি বোর্ডের একাডেমিক অধীনে থেকে ইনস্টিটিউটগুলোর চার বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমা প্রদান করে থাকে। উচ্চতর কৃষি শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ ৫টি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং সেইসাথে দুটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি অনুদান চালু রয়েছে।
- কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানঃ বাংলাদেশের অনেকগুলো কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বেশিরভাগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট ফসলের উপর গবেষণা করে থাকে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ধানের উন্নত জাত ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা করে। পাট উন্নয়ন এর জন্য রয়েছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট। আখ উন্নয়নের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট। কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলো বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসলের বীজ নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি কীটপতঙ্গের প্রতিকারসহ কৃষির নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সক্ষম হয়েছে।
- কৃষি বিজ্ঞানীঃ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যিনি গবেষণা করে নতুন নতুন জাত প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন তিনি কৃষি বিজ্ঞানী। একজন কৃষি বিজ্ঞানীর নিকট কৃষি বিষয়ক নানা প্রকার তথ্য মজুদ থাকে। তারা নতুন ফসল ও প্রাণীর উন্নতজাত উৎপাদন ও সংরক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে দেশের কল্যাণ সাধন করছেন।
উত্তরঃ অভিজ্ঞ কৃষক একজন স্থানীয় নেতা এবং একজন পরামর্শদাতা। অভিজ্ঞ কৃষকেরা কৃষি জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করেন। একজন অভিজ্ঞ কৃষক স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন ও নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন। রিনা বেগম অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কৃষি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তথ্য প্রযুক্তি যেমনঃ মোবাইল, ফেসবুক, ই-মেইল ব্যবহার করে অভিজ্ঞ কৃষকের কাছ থেকে কৃষি ফসল নিয়ে নানা সমসার সমাধান এবং ফসলের রোগ, নতুন নতুন বীজ সম্পর্কে জানতে পারেন।
উত্তরঃ কৃষক একজন ব্যক্তিবিশেষ যিনি কৃষিকার্য পেশায় নিয়োজিত থেকে ফসল উৎপাদন করেন। পাশাপাশি তিনি খাবারের উপযোগী করে গৃহপালিত প্রাণী লালন-পালন করেন। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে এ পেশার মাধ্যমে কৃষক মানুষের জন্যে খাদ্য সরবরাহ করে জীবনকে চলমান রেখেছেন। কৃষক কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
