Uncategorized

৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে হবে জানিয়ে সরকারকে আল্টি মেটাম

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সময় বেঁধে দিয়ে জুলাইয়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছেশনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শিক্ষক-কর্মচারী-অবিভাবক ফোরামের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে কয়েক দফা চালুর পরিকল্পনা করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়াতে হয়েছে। মানববন্ধনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আর সময় দেওয়া যাবে না, এক সপ্তাহই যথেষ্ঠ। আমরা শাহবাগের মোড় থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উদ্দেশে পদযাত্রা করব। “হাঁট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত সব কিছু খোলা, শুধু বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকে পরীক্ষা নিচ্ছেন না, অটো পাশ দিচ্ছেন, এটা জঘন্য ভুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করে দিচ্ছে।” আবাসিক হল না খুলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা পরীক্ষা নেবেন, কিন্তু হল খুলবেন না। এর চেয়ে বড় ভুল কি কিছু হতে পারে? “ছাত্ররা কি মাঠে থাকবে নাকি রাস্তায় থাকবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রাম থেকে আসা। হল না খুললে, তারা শহরে এসে কোথায় থাকবে?” শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে তার উপরে নাকি চাপ নাই, কেউ চাচ্ছে না এগুলো খোলা হোক। “অথচ তিনি দেখছেন না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে কিন্ডার গার্টেনের একজন প্রিন্সিপাল নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে পাওনা শোধ করেছেন, তারপর গ্রামে গিয়ে বাজারে চা বিক্রি করছেন।” অনলাইন ক্লাসের নামে ইন্টারনেটে ঢুকে কিশোর বয়সীরা ‘অশ্লীলতার’ মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমরা কী প্রজন্ম তৈরি করছি?… শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছেন, ছাত্রদের ধ্বংস করে ফেলছেন।” ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, “এমন একটি পরিস্থিতির প্রতিকার দরকার। এই সমাবেশই শেষ নয়, আমরা পুরো ঢাকা শহরের হাঁটব আর দাবি করব, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই। “ছাত্রদের বাঁচাতে চাই, দেশ বাঁচাতে চাই। আর দেশ যারা ধ্বংস করছে, তাদের ধ্বংস চাই। 
বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের নিয়ে আমরা রাজপথে নামব।” অনলাইন ক্লাস শহর ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্য তৈরি করছে দাবি করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “অনলাইনে ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। “তাদের অনেকের স্মার্টফোন বা ডিভাইস নেই, কারও ডিভাইস থাকলেও সেখানে ইন্টারনেটের অবস্থা অত্যন্ত করুণ।
 এই বৈষম্য দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ছেলে-মেয়েরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।” ছাত্র আন্দোলনের ভয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে না দাবি করে মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক-কর্মচারী-অভিভাবক ফোরামের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “আমরা সরকারকে আল্টিমেটাম দিচ্ছি, ৩০ জুনের মধ্যে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা না দেওয়া হয়, তাহলে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে আমরা বাধ্য হব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিতে।” মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বক্তব্য দেন।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

Google News

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button