Uncategorized
সপ্তম শ্রেণি পঞ্চম সপ্তাহ কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা Assignment 2021 Question & Solution
সপ্তম শ্রেণি পঞ্চম সপ্তাহ কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা Assignment 2021 Question & Solution | Class Seven 5th week Kormo o Jibonmukhi Sikkha Assignment 2021 Solution
প্রিয় সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, তোমরা ইতোমধ্যেই পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পেয়েছো। তোমাদের পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ ৩০ মে ২০২১ তারিখে প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সপ্তম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট .২০২১ কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয় এর নির্ধারিত কাজ এবং নমুনা উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি। সর্বপ্রথমে চলো দেখে নেয়া যাক কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা পঞ্চম চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টএ কি কি থাকছে। তোমাদের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা পাঠ্য বইয়ের ” কর্ম ও মানবিকতা” থেকে নির্ধারিত কাজ দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত কাজ
সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।
নির্দেশনাঃ ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধ রচনা লিখতে হবে। নিবন্ধন রচনার ক্ষেত্রে সপ্তম শ্রেণীর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকের প্রথম অধ্যায় কর্ম ও মানবিকতা সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তুর তথ্য ও তত্ত্ব ব্যবহার করতে হবে।
নমুনা উত্তর
“সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ”
মানবজীবনের এক অলৌকিক বিষয় হলাে শ্রম । এ শ্রমের শক্তিতেই মানুষ যুগযুগ ধরে গড়ে তুলেছে মানবসভ্যতা। আদিম যুগে পাথরের নুড়ি দিয়ে শ্রমের সাহায্যে মানুষ তৈরি করেছিল প্রথম হাতিয়ার। তারপর সুদীর্ঘকাল ধরে মানুষ তিল তিল শ্রমে গড়ে তুলেছে সভ্যতার বিরাট সৌধ। শ্রমের কল্যাণেই মানুষ পশুজগৎ থেকে নিজেকে করেছে পৃথক। মানুষ যে আধুনিক যন্ত্র চালায়, সূক্ষ্ম ছবি আঁকে, কিংবা অপরূপ সুরের ঝংকার তােলে তার মূলে রয়েছে শ্রমের অবদান। বিশ্বসভ্যতার প্রতিটি সৃষ্টির মূলে রয়েছে শ্রম মানুষের অক্লান্ত শ্রম। সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রমের উভয়ই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দৈহিক বা কায়িক শ্রম বলতে বুঝায় যে কাজ শারীরিক শক্তির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। মহান আল্লাহ আমাদের হাত পা দিয়েছেন শারীরিক শ্রমের জন্যে। মানবসভ্যতার ইতিহাসে দেখা যায়, সেই আদিকাল থেকে মানুষ কায়িক শ্রম করে তাদের সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়েছেন। আমাদের চারপাশে তাকালে দেখা মেলে কায়িক শ্রমের নানা ধরণ। যেমনঃ মজুর-চাষি-কুলি ইত্যাদি। মানসিক শ্ৰম বলতে বুঝায় নিজের মস্তিস্ক খাটিয়ে বা চিন্তা-চেতনা দিয়ে যে কাজ করা হয়। বর্তমান যে আধুনিক সভ্যতার উৎকর্ষ দেখা যায় তার মূল সূত্রপাত হলো এই মানসিক শ্রম। প্রকৃতপক্ষে মানসিক শ্রমে দৈহিক শক্তির দরকার না পড়লেও তা সম্পাদনে দৈহিক শ্রমের প্রয়োজন পরে। কাজেই কায়িক শ্রমের মূল শক্তি হল মেধা বা মানসিক শ্রম। কোন কাজ সম্পাদনের পূর্বে প্রয়োজন সে কাজটি সম্পর্কে জানা এবং তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ছক তৈরি করা। আর পরিকল্পিত ছকের জন্য প্রয়োজন মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো । আজকের বর্তমান সভ্যতার বিকাশ একদিনে হয়নি। যুগের পর যুগ মানুষে তাঁর মেধা শক্তি ও কায়িক শ্রম দিয়ে সভ্যতার বিকাশ সাধন করেছে। আগেরকালে মানুষ আগুন জ্বালাতে পাথরে পাথরে ঘষা দিত কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আগুল জ্বালানোর জন্য বিকল্প পন্থা আবিষ্কার করেছে। প্রাচীন যুগের মানুষেরা গুহায় বাস করত কারণ তারা ঘড় বানানো জানতো না। কিন্তু এখন তৈরি হচ্ছে বড় বড় অট্টালিকা। এইসবই সম্ভব হয়েছে মানুষের মেধা ও কায়িক শ্রমের মাধ্যমে। শিল্প, বিজ্ঞান, শিক্ষা-সাহিত্য, অর্থনৈতিক, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিটি ক্ষেতে উৎকর্ষ সাধনরে মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে মেধা ও কায়িক শ্রম।
বিঃদ্রঃ এখানে ৩০৩ শব্দ আছে।
মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।