Uncategorized

অষ্টম ৮ম শ্রেণি (কৃষি শিক্ষা) ৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

Rate this post

 

অষ্টম ৮ম শ্রেণি (কৃষি শিক্ষা) ৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

১. ধান, পাট, গম, আখ, চাষযোগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কাদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে?

২. কোন কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন?

৩. ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান(BRRI) থেকে ধানের কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন?

৪. কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য কি কি জাত উদ্ভাবন করেছেন যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?

৫. এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের কোন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে?

প্রশ্ন ১ এর উত্তরঃ

কৃষিতে বিজ্ঞানীদের অবদান অনেক। বিজ্ঞানীদের দীর্ঘকালের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের বর্তমান ফসল হচ্ছে আজকের এই আধুনিকায়ন কৃষি। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবস্থার যতই উন্নতি সাধিত হচ্ছে ততই নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের নিরলস গবেষণার ফলে কৃষি বিষয়ক নানান তথ্য আবিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে। ধান, পাট, গম, আখ, চাষযোগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদের অবদান রয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা পরিবেশ-জলবায়ু, মাটির ধরণ, পানি, উৎপাদন পদ্ধতি এসব বিষয় বিবেচনায় এনে উচ্চতর গবেষণা করেছেন।

প্রশ্ন ২ এর উত্তরঃ

অন্যান দেশের মত বাংলাদেশেও ব্যাপক হরে কৃষি গবেষণা হচ্ছে। কৃষি গবেষণাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বাংলাদেশে ৪টি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। প্রায় সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞান পড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষকগণ গবেষণা করে থাকেন। তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত উন্নত জাত ও উৎপাদন সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করা হয়। 

প্রশ্ন ৩ এর উত্তরঃ 

বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার একটি প্রধান অঙ্গ হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা দেশের প্রধান খাদ্য ধান উৎপাদন ও জাত উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১০৬টি (৯৯টি ইনব্রিড ও ৭টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান(BRRI) থেকে ধানের কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন তার নাম উল্লেখ করা হলঃ

  • বিআর১ (চান্দিনা)
  • বিআর২ (মালা)
  • বিআর৩ (বিপ্লব)
  • বিআর৪ (ব্রিশাইল)
  • বিআর৫ (দুলাভোগ)
  • বিআর৬
  • বিআর৭(ব্রি বালাম)
  • বিআর৮ (আশা)
  • বিআর৯ (সুফলা)
  • বিআর১০ (প্রগতি)
  • বিআর১১ (মুক্তা)
  • বিআর১২ (ময়না)
  • বিআর১৪ (গাজী)
  • বিআর১৫ (মোহিনী)
  • বিআর১৬ (শাহীবালাম)
  • বিআর১৭ (হাসি)
  • বিআর১৮ (শাহজালাল)
  • বিআর১৯ (মঙ্গল)
  • বিআর২০ (নিজামী)
  • বিআর২১ (নিয়ামত)
  • বিআর২২ (কিরণ)
  • বিআর২৩ (দিশারী)
  • বিআর২৪ (রহমত)
  • বিআর২৫ (নয়াপাজাম)
  • বিআর২৬ (শ্রাবণী)
  • ব্রি ধান২৭
  • ব্রি ধান২৮
  • ব্রি ধান২৯
  • ব্রি ধান৩০
  • ব্রি ধান৩১
  • ব্রি ধান৩২
  • ব্রি ধান৩৩
  • ব্রি ধান৩৪
  • ব্রি ধান৩৫
  • ব্রি ধান৩৬
  • ব্রি ধান৩৭
  • ব্রি ধান৩৮
  • ব্রি ধান ৩৯
  • ব্রি ধান৪০
  • ব্রি ধান৪১
  • ব্রি ধান৪২
  • ব্রি ধান৪৩
  • ব্রি ধান৪৪
  • ব্রি ধান৪৫
  • ব্রি ধান৪৬
  • ব্রি ধান৪৭
  • ব্রি ধান৪৮
  • ব্রি ধান৪৯
  • ব্রি ধান৫০
  • ব্রি ধান৫১
  • ব্রি ধান৫২
  • ব্রি ধান৫৩
  • ব্রি ধান৫৪
  • ব্রি ধান৫৫
  • ব্রি ধান৫৬
  • ব্রি ধান৫৭
  • ব্রি ধান৫৮
  • ব্রি ধান৫৯
  • ব্রি ধান৬০
  • ব্রি ধান৬১
  • ব্রি ধান৬২
  • ব্রি ধান৬৩
  • ব্রি ধান৬৪
  • ব্রি ধান৬৫
  • ব্রি ধান৬৬
  • ব্রি ধান৬৭
  • ব্রি ধান৬৮
  • ব্রি ধান৬৯
  • ব্রি ধান৭০
  • ব্রি ধান৭১
  • ব্রি ধান৭২
  • ব্রি ধান৭৩
  • ব্রি ধান৭৪
  • ব্রি ধান৭৫
  • ব্রি ধান৭৬
  • ব্রি ধান৭৭
  • ব্রি ধান৭৮
  • ব্রি ধান৭৯
  • ব্রি ধান৮০
  • ব্রি ধান৮১
  • ব্রি ধান৮২
  • ব্রি ধান৮৩
  • ব্রি ধান৮৪
  • ব্রি ধান৮৫
  • ব্রি ধান৮৬
  • ব্রি ধান৮৭
  • ব্রি ধান৮৮
  • ব্রি ধান৮৯
  • ব্রি ধান৯০
  • ব্রি ধান৯১
  • ব্রি ধান৯২
  • ব্রি ধান৯৩
  • ব্রি ধান৯৪
  • ব্রি ধান৯৫
  • ব্রি হাইব্রিড ধান১
  • ব্রি হাইব্রিড ধান২
  • ব্রি হাইব্রিড ধান৩
  • ব্রি হাইব্রিড ধান৪
  • ব্রি হাইব্রিড ধান৫
  • ব্রি হাইব্রিড ধান৬
  • ব্রি হাইব্রিড ধান৭
  • ব্রি ধান৯৬
  • ব্রি ধান৯৭
  • ব্রি ধান৯৮
  • ব্রি ধান৯৯
  • ব্রি ধান১০০
  • সুত্রঃ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট

    প্রশ্ন ৪ এর উত্তরঃ

    কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও নানা ধরনের ফুল, ফল, শাকসবজি , মুরগি, গরু, মাছ ও বৃক্ষ বিদেশ থেকে এনে এদেশের কৃষিতে সংযােজন করেছেন। এগুলাের সাথে সংকরায়ণ করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করছেন, যেগুলাে এ দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষি উৎপাদনের এই অগ্রগতি গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে। কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। উৎপাদন বৈচিত্র্য বাড়ছে। সেই সাথে প্রতিযােগিতাও বাড়ছে। একই সাথে বাড়ছে পুঁজির ব্যবহার । মাছ, মুরগি ও ডিম উৎপাদন প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌছে গেছে। শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের চাহিদা গ্রামীণ জনজীবনে দ্রুতই বেড়ে চলেছে।

    প্রশ্ন ৫ এর উত্তরঃ

    বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি আমাদের প্রাচীন পেশা। কৃষি নির্ভর এই দেশে দিন দিন বাড়ছে কৃষির চাহিদা। কৃষি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। বেকার সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। প্রাচীনকাল থেকে কৃষিকাজ মানুষের প্রধান পেশা। বর্তমানেও এটি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের প্রধান উপজীবিকা।সুতরাং প্রাচীন পেশা হিসেবে এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।কৃষিকাজ মানুষের প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড (Primary economic activity)।অধ্যাপক জিমারম্যানের (১৯৫১), মতে কৃষিকাজ মানুষের এক বিশেষ ধরনের অর্থনৈতিক প্রচেষ্টা ও একটি উৎপাদনমুখী কাজ।তাই বলা যায়, এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে বেকার মানুষের কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

    Rimon

    This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

    5 Comments

    মন্তব্য করুন

    Back to top button