Uncategorized

পত্র লিখন: নকলের কুফল উল্লেখ পূর্বক লেখাপড়ায় উৎসাহ দিয়ে একটি পত্র

Rate this post

তােমার ছােট ভাইকে নকলের কুফল উল্লেখ পূর্বক লেখাপড়ায় উৎসাহ দিয়ে একটি পত্র লেখ। অথবা, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করা উচিত নয়, এ কথা জানিয়ে ছােট বােনকে একটি চিঠি লেখ।

১৪ জানুয়ারি, ২০২০
মৌচাক, ঢাকা।

প্রিয় আলম।

আমার ভালােবাসা নিস। গতকাল তাের চিঠি হাতে পেলাম। এভাবে মাঝে মাঝে চিঠি পাঠাস। আব্বা-আম্মাসহ বাড়ির সবাইকে নিয়ে ভালাে আছিস এবং বাড়ির সব বিষয়ে জানতে পেরে খুব ভালাে লাগছে। ভাই আমার, পড়াশােনা ঠিকমতাে করছিস জেনে খুব স্বস্তি পেলাম। তাের ভালাে ফলাফল নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। একদিন তুই অনেক বড় হবি এবং ভালাে কিছু করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবি এই আমার প্রত্যাশা। 

পত্র লিখন নকলের কুফল উল্লেখ পূর্বক লেখাপড়ায় উৎসাহ দিয়ে একটি পত্র

আগামী মাস থেকে তাের জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ে তাের মধ্যে যেন কোনাে আতঙ্ক বা ভয় কাজ না করে সেদিকে খেয়াল রাখবি। আর পরীক্ষা সম্পর্কে তােকে কিছু পরামর্শ দিচ্ছি। কথাগুলাে মনে রাখবি। আর তা হলাে পরীক্ষায় নকল করা তথা অসদুপায় অবলম্বন সম্পর্কে। আজকাল পরীক্ষায় যে হারে নকল হয় তাতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। শঙ্কিত হতে হয়। তাের আশেপাশে অনেকেই নকল তথা অসদুপায় অবলম্বন করতে দেখা যাবে। সেগুলােতে মােটেও মনােযােগ দিতে যাবে না কিন্তু। আসলে জ্ঞান আহরণ নয় আমরা সবাই সার্টিফিকেট অর্জন করতে চাই। বর্তমানে লেখাপড়ার অর্থই হচ্ছে একটি ভালাে চাকরি পাওয়া। কিন্তু নকল করে পাশ করে একটা নিম্নমানের চাকরিও পাওয়া যায়। চাকরির প্রতিযােগিতায় পিছিয়ে থাকতে হয়। সারাজীবন বেকারই থাকতে হয়। এজন্য জীবনে সফলতা লাভ করতে হলে লেখাপড়া করে জ্ঞানার্জন করতে হয়, যার জন্য মনােযােগ সহকারে নিয়মিত লেখাপড়া করা অত্যাবশ্যক। নকল প্রবণতা জ্ঞানার্জনের অন্তরায়। নকল শুধু ব্যক্তিজীবনের জন্যই ক্ষতিকর নয়; এর ফলে গােটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরীক্ষার হলে নকল করতে গিয়ে বহিষ্কৃত হয়ে অনেক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায়। আবার নকল করে পাশ করা শিক্ষার্থীরা কোনাে প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষায় টিকতে না পেরে কর্মসংস্থানের কোনাে সুযােগ পায় না। ফলে তারা। হতাশাগ্রস্ত জীবনযাপন করে। এ অবস্থায় থেকে পরিত্রাণের উপায় হলাে বিষয়ভিত্তিক গভীর জ্ঞানার্জন। যা কেবল গভীর মনােযােগ দিয়ে লেখাপড়ার মাধ্যমেই সম্ভব। তুই ভুলেও কখনাে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কথা ভাবিস না। এখন থেকেই মনােযােগ দিয়ে লেখাপড়া করবি।। মানুষের মতাে মানুষ হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করবি। আজ এ পর্যন্তই। ভালাে থাকিস। 

ইতি,
তাের বড় ভাই জিসান।

[প্রেরক ও প্রাপকের নাম ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে।]

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

সবচেয়ে বড় পিরামিডের নাম কী?

Rate this post

সবচেয়ে বড় পিরামিডের নাম কী?
উত্তরঃ সবচেয়ে বড় পিরামিডের নাম গিজা’র পিরামিড

গিজার গোরস্তানের তিনটি পিরামিডের মধ্যে সবচাইতে পুরাতন এবং বড়। এটি বর্তমান মিসরের এল গিজা নামক স্থানের কাছে অবস্থিত। ১৪০ মিটার (৪৬০ ফুট) উঁচু পিরামিডে তিনটি প্রধান প্রকোষ্ঠ রয়েছে। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

বিসিএস প্রস্তূতিসাধারণ জ্ঞান

বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশ রাশিয়া সম্পর্কে জানুন

Rate this post
বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশ রাশিয়া সম্পর্কে জানুন

প্রশ্নঃ আয়তনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশ কোনটি?
উত্তরঃ রাশিয়া। 

প্রশ্নঃ ভৌগোলিকভাবে রাশিয়া কোন কোন মহাদেশ জুড়ে অবস্থিত? 
উত্তরঃ এশিয়া ও ইউরোপ। 
প্রশ্নঃ রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ কয়টি? 
উত্তরঃ ১৪টি ( আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওশেটিয়াসহ ১৬টি )। 
প্রশ্নঃ বলশেভিক ও মনশেভিক দ্বিধাবিভক্ত হয় কবে? 
উত্তরঃ ১৭ নভেম্বর ১৯০৩। 
প্রশ্নঃ বলকান যুদ্ধের অবসান হয় কখন? 
উত্তরঃ ৩০ মে ১৯১৩। 
প্রশ্নঃ লেলিন ‘ এপ্রিল থিসিস ‘ পেশ করে কবে? 
উত্তরঃ ১৭ এপ্রিল ১৯১৭।
প্রশ্নঃ রাশিয়া প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় কবে? 
উত্তরঃ ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯১৭। 
প্রশ্নঃ লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক দল ক্ষমতা দখল করে কবে? 
উত্তরঃ ৭ নভেম্বর ১৯১৭। 
প্রশ্নঃ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব বা রুশ বিপ্লব সংঘটিত হয় কবে? 
উত্তরঃ ১৯১৭ সালে। 
প্রশ্নঃ রুশ বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন কে? 
উত্তরঃ লেনিন। 
প্রশ্নঃ সাড়া জাগানো রুশ বিপ্লবের মেয়াদকাল কত দিন ছিল? 
উত্তরঃ ১০ দিন। 
প্রশ্নঃ লেনিন মৃত্যুবরণ করেন কবে? 
উত্তরঃ ২২ জানুয়ারি ১৯২৪। 
প্রশ্নঃ পেট্রোগ্রাদকে লেনিনগ্রাদে নামকরণ করা হয় কবে ? 
উত্তরঃ ২৬ জানুয়ারি ১৯২৫। 
প্রশ্নঃ সোভিয়েত ইউনিয়নে কম্যুনিস্ট পার্টিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয় কবে? 
উত্তরঃ ২১ আগস্ট ১৯৯১। 
প্রশ্নঃ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ পদত্যাগ করেন? 
উত্তরঃ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯১। 
প্রশ্নঃ রাশিয়ার সর্বশেষ রাজা দ্বিতীয় নিকোলাস জারের রাজবংশ কোনটি? 
উত্তরঃ রোমানভ। 
প্রশ্নঃ USSR নামটি গৃহীত হয় কবে? 
উত্তরঃ ৩০ ডিসেম্বর ১৯২২। 
প্রশ্নঃ USSR -এর পূর্ণরুপ কি? 
উত্তরঃ Union of Soviet Socialist Republics. 
প্রশ্নঃ USSR বিলুপ্ত হয় কবে? 
উত্তরঃ ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯১। 
প্রশ্নঃ চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আণবিক দুর্ঘটনা ঘটে কবে? 
উত্তরঃ ২৯ এপ্রিল ১৯৮৬। 
প্রশ্নঃ উন্নয়নে ‘পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার’ প্রবর্তক দেশ কোনটি? 
উত্তরঃ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ( বর্তমান রাশিয়া )। 
প্রশ্নঃ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নীতির প্রবর্তক কে? 
উত্তরঃ জোসেফ স্ট্যালিন। 
প্রশ্নঃ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে কয়টি রাষ্ট্র গঠিত হয়? 
উত্তরঃ ১৫ টি। 
প্রশ্নঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন? 
উত্তরঃ স্ট্যালিন। 
প্রশ্নঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল কত? 
উত্তরঃ ছয় বছর ( পূর্বে ছিল ৪ বছর )। 
প্রশ্নঃ রাশিয়ার রাষ্ট্রধর্ম কয়টি? 
উত্তরঃ ৪টি ( ইসলাম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও ইহুদি )। 
প্রশ্নঃ রাশিয়া ফেডারেশনের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট কে? 
উত্তরঃ বরিস ইয়েলৎসিন ( ১০ জুলাই ১৯৯১-৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ )। 
প্রশ্নঃ রাশিয়া সকল ধর্মকে সংসদে স্বীকৃতি দেয় কবে? 
উত্তরঃ ১৯৯৭ সালে। 
প্রশ্নঃ অখণ্ড ইউরোপের প্রবক্তা কে? 
উত্তরঃ মিখাইল গর্বাচেভ। 
প্রশ্নঃ ১৯৩৯ সালে ‘মলোটভ রিবেন থ্রোপ’ নামক চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেন কে? 
উত্তরঃ স্ট্যালিন ও মুসোলিনি। 
প্রশ্নঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পিতৃভূমি বলা হয় কোন দেশকে? 
উত্তরঃ রাশিয়াকে। 
প্রশ্নঃ দাঁড়ির ওপর কর বসানো রাশিয়ান শাসক কে? 
উত্তরঃ পিটার দি গ্রেট। 
প্রশ্নঃ রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে স্থানান্তর করে কে, কবে? 
উত্তরঃ সম্রাট পিটার দি গ্রেট ; ১৭১০ সালে। 
প্রশ্নঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের নাম কি? 
উত্তরঃ ক্রেমলিন। 
প্রশ্নঃ ‘গ্লাসনস্ত’ কি? 
উত্তরঃ খোলামেলা আলোচনা। 
প্রশ্নঃ ‘গ্লাসনস্ত’ ও ‘পেরেস্ত্রইকা’ নীতির প্রবর্তক কে? 
উত্তরঃ মিখাইল গর্বাচেভ। 
প্রশ্নঃ ‘পেরেস্ত্রইকা’ কি? 
উত্তরঃ সংস্কারমূলক বা উন্নয়নমূলক আলোচনা। 
প্রশ্নঃ ‘গ্লাসনস্ত’ ও ‘পেরেস্ত্রইকা’ নীতি ঘোষণা করা হয় কবে? 
উত্তরঃ যথাক্রমে ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে।
রাশিয়া ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টবৃন্দ
নামসময়কাল
বরিস ইয়েলৎসিন২০ ডিসেম্বর ১৯৯১ – ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯
ভ্লাদিমির পুতিন৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ – ৭ মে ২০০৮
দিমিত্রি মেদভেদেভ৭ মে ২০০৮ – ৭ মে ২০১২
ভ্লাদিমির পুতিন৭ মে ২০১২ – বর্তমান

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

“পৌরনীতি ও নাগরিকতা” এসএসসি ২০২১ অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

Rate this post
"পৌরনীতি ও নাগরিকতা" এসএসসি ২০২১ অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট
পৌরনীতি ও নাগরিকতা এসএসসি ২০২১ অষ্টম সপ্তাহ

 ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের “পৌরনীতি ও নাগরিকতা” অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর। 

অ্যাসাইনমেন্ট নম্বরঃ ৫
অধ্যায়ঃ  ষষ্ঠ
অধ্যায়ের শিরোনামঃ বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা


নিধারিত কাজঃ

"পৌরনীতি ও নাগরিকতা" এসএসসি ২০২১ অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

“পৌরনীতি ও নাগরিকতা” এসএসসি ২০২১ অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট

ক) বিচার বিভাগের গঠনঃ

বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রুটিনমাফিক বিচার কাজ ছাড়াও সংবিধানকে ব্যাখ্যা করা, নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, অপরাধীর শাস্তির বিধান, সংবিধান বহির্ভূত বিধানকে অবৈধ ঘােষণা করা এবং দুর্বলকে সবলের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। বিচার বিভাগ আইনের অনুশাসন ও দেশের সংবিধানকে অক্ষুন্ন রাখে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট, অধস্তন আদালত এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিয়ে গঠিত। 

সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত। সুপ্রিম কোর্টে একজন প্রধান বিচারপতি রয়েছেন, যাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বলা হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত হন। প্রত্যেক বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়ােজন ততজন বিচারককে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত। প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ােগ দেন। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিগণ বিচারকার্য পরিচালনা করেন। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে কমপক্ষে ১০ বছর এডভােকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে কর্মরত থাকতে পারেন।

খ) বিচার বিভাগের ক্ষমতাঃ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের পৃথক কার্যের এখতিয়ার আছে। এ দুটি কোর্টের ক্ষমতা ও কাজ নিয়েই সুপ্রিম কোর্ট। মূলত সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বলতে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে বুঝায়। নিচে এ সম্পর্কে উপস্থাপন করা হলাে  
আপিল বিভাগের ক্ষমতা ও কাজঃ 
১) আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে শুনানির ব্যবস্থা করতে পারে।
২) রাষ্ট্রপতি আইনের কোনাে ব্যাখ্যা চাইলে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। 
৩) ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোনাে ব্যক্তিকে আদালতের সামনে হাজির হতে ও দলিলপত্র পেশ করার আদেশ জারি করতে পারে। 
৪) আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘােষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য অবশ্যই পালনীয়।
এভাবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা, ন্যায়বিচার সংরক্ষণ ও পরামর্শ দান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা ও কাজঃ
১) নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
২) কোনাে ব্যক্তিকে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী কোনাে কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে অথবা এ ধরনের কোনাে কাজ করাকে বেআইনি ঘােষণা করতে পারে। 
৩) অধস্তন কোনাে আদালতের মামলায় সংবিধানের ব্যাখ্যাজনিত জটিলতা দেখা দিলে উক্ত মামলা হাইকোর্টে স্থানান্তর করে মীমাংসা করতে পারে। 
৪)অধস্তন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে। 
৫) সকল অধস্তন আদালতের কার্যবিধি প্রণয়ন ও পরিচালনা করে।
গ) বিচার বিভাগের কার্যাবলীঃ

আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ মিলে সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে দেশের সংবিধান ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

অধস্তন আদালতঃ সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বিচার বিভাগের অধস্তন আদালত আছে। অধস্তন আদালতগুলাে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করে। 

জেলা জজের আদালতঃ জেলা আদালতের প্রধান জেলা জজ তার কাজে সহায়তার জন্য আছে অতিরিক্ত জেলা জজ ও সাব-জজ। এই আদালত জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি (জমিজমাসংক্রান্ত, ঋণচুক্তি ইত্যাদি) ও ফৌজদারি (সংঘাত, সংঘর্ষ সংক্রান্ত মামলা পরিচালনা করে। 

সাব জজ আদালত ও সহকারী জজ আদালতঃ জেলা জজের আদালতের অধীনে প্রত্যেক জেলায় সাব জজ ও সহকারী জজ আদালত আছে। এগুলাে জেলা জজ আদালতকে মামলা পরিচালনায় সহায়তা করে। এছাড়া বিভিন্ন মামলাও পরিচালনা করে থাকে। 

গ্রাম আদালতঃ বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন আদালত হলাে গ্রাম আদালত। এটি ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থিত। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিবাদমান দুই গ্রুপের দুজন করে মােট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত। যেসব মামলা স্থানীয় পর্যায়ে বিচার করা সম্ভব, মূলত সেগুলাের বিচার এখানে করা হয়। ছােটখাটো ফৌজদারি মামলার বিচার এ আদালতে করা হয়ে থাকে।

ঘ) আইনের শাসন ও বিচার বিভাগঃ

বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যম, অগ্রপথিক ও কর্ণধার। আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়েছে। আর এসকল বিষয়ের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব বিচার বিভাগের হাতে। বিচার বিভাগ মৌলিক অধিকারের সাথে সামঞ্জস্যহীন আইনকে বাতিল বলে গণ্য করতে পারে। সংবিধান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ যেকোন বিধি-বিধানকে অবৈধ ও বিধি বহির্ভূত ঘােষণা করতে পারে। বিচার বিভাগ হলাে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

অনুচ্ছেদ

পথশিশু অনুচ্ছেদ

Rate this post

পথশিশু 

অনুচ্ছেদ

সাধারণত যেসব শিশু পথেঘাটে অবস্থান করে তাদের পথশিশু বলে। এসব শিশুর অনেকেই মা-বাবা হারা। কারো মা থাকলেও বাবা নাই। আবার মা মরা শিশুরাও বাবার অবহেলায় পথশিশুতে পরিণিত হয়। এই পথশিশুরা ‘টোকাই’ নামে পরিচিত। এরা অবহেলিত ,অধিকারবঞ্চিত। সমাজের বিত্তবানরা এদের প্রতি উদাসীন। আবার সরকারও এদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করার ক্ষেত্রে তেমন উদ্যোগী না হওয়ায় এসব শিশু লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হয়। কেউ কেউ অপুষ্টিতে ভুগে বিকলাঙ্গ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে। এদের কেউ কেউ রাস্তায় কাগজ কুড়িয়ে ,ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে। ফুটপাত ,দোকানের পাশে বা স্টেশনের প্ল্যাটফরমে এরা রাত কাটায়। ডাস্টবিনের অখাদ্য -কুখাদ্য খেয়ে এরা বেড়ে ওঠে। পথশিশুরা আমাদের দেশেরই সন্তান। এরা উপযুক্ত পরিচর্যা ও শিক্ষা পেলে দেশের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারে। এদের প্রতি বিত্তবান ও সরকারের সুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। না হলে এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশু বড় হয়ে সন্ত্রাস ,চুরি -ডাকাতি ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

সারমর্ম

সারমর্ম : বসুমতী, কেন তুমি এতই কৃপণা? কত খোঁড়াখুঁড়ি করি পাই শস্যকণা।

Rate this post
সারমর্ম : বসুমতী, কেন তুমি এতই কৃপণা? কত খোঁড়াখুঁড়ি করি পাই শস্যকণা।

 বসুমতী, কেন তুমি এতই কৃপণা?

কত খোঁড়াখুঁড়ি করি পাই শস্যকণা। 

দিতে যদি হয় দে মা, প্রসন্ন সহাস 

কেন এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস?

শুনিয়া ঈষৎ হাসি কন বসুমতী,

আমার গৌরব তাতে সামান্যই বাড়ে 

তােমার গৌরব তাহে একেবারেই ছাড়ে।

সারমর্ম : ধরণিতে শস্যসম্পদ ফলাতেও অনেক পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। পরিশ্রমলব্ধ সম্পদ মানুষের মনে আত্মতৃপ্তি এনে দেয়। তাই মানুষের শক্তি, সামর্থ্য ও শ্রমের এত মূল্য। অন্যের করুণা-নির্ভরতা মানুষকে অমর্যাদা এনে দেয়। পরিশ্রমই মানুষের অস্তিত্বের অবলম্বন এবং মর্যাদা কষ্টিপাথর।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

মিনারা বেগম পুকুরে কি পরিমাণ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করছিলেন? নির্ণয় কর

Rate this post
মিনারা বেগম পুকুরে কি পরিমাণ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করছিলেন? নির্ণয় কর

মিনারা বেগম পুকুরে কি পরিমাণ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করছিলেন? নির্ণয় কর



মাছ চাষের জন্য পুকুর উপযুক্ত করা প্রয়োজন। কারণ পোনা ছাড়ার পূর্বে যদি পুকুর যথাযথভাবে প্রস্তুত করা না যায় তাহলে মাছ চাষ থেকে ভাল মুনাফা বা কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন সম্ভব নয়। আলোচ্য উদ্দীপকে মিনারা বেগম ৫ শতক জমির পুকুরে রুই, কাতলা, সিভার কার্প ও কার্পও জাতের মাছ চাষের উদ্যোগ নেয়। অর্থাৎ এক কথায় পুকুরে মিশ্র মাছ চাষের উদ্যোগ নেয়। পুকুর প্রস্তুতকরণে সার ও চুন প্রয়োগ সঠিক মাত্রায় দিতে হয়। 
পুকুরে ইউরিয়া সার প্রয়োগের নিয়ম হল প্রতি শতকে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। যেহেতু মিনারা বেগনের ৫ শতক জমির পুকুর সে হিসেবে পুকুরে ইউরিয়া সার প্রয়োগের পরিমাণ হবে ৫০০ থেকে ৭৫০ গ্রাম। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

8 Comments

মন্তব্য করুন

ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণ : যে জাতি জীবনহারা অচল অসাড়

Rate this post

যে জাতি জীবনহারা অচল অসাড় পদে পদে বাধে তারে জীর্ণ লােকাচার ভাবসম্প্রসারণ

যে জাতি জীবনহারা অচল অসাড় ,
পদে পদে বাধে তারে জীর্ণ লােকাচার।

ভাবসম্প্রসারণ for class 6, 7, 8, 9, 10, 11 JSC SSC HSC

মূলভাব

যেকোনাে জাতির উন্নতির পিছনে রয়েছে এর নিজস্ব চেতনা ও আদর্শ।আদর্শচ্যুত জাতি কখনাে লক্ষ্যে পৌছতে পারে না, বরং পদে পদে নানা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।

সম্প্রসারিত ভাব

মানবজীবন প্রবহমান নদীর মতােই গতিশীল। যখন বিভিন্ন রকম সংস্কার, আচার, রীতিনীতি তাকে ঘিরে ধরে। তখন জীবন প্রবাহ ও সমাজ সভ্যতা মুখ থুবড়ে পড়ে। জীবন চলার পথে পিছনে ফিরে তাকানাের অবকাশ নেই। পিছনে ফিরে তাকালেই নানারকম সংস্কাররূপ বাধা জীবনে গতিকে রুদ্ধ করে দিতে পারে। একজন সচেতন নাগরিক বা ব্যক্তিকে এসব জীর্ণ বাধাকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। মানুষের জীবনের মতাে জাতিও গতিশীল। সময়ের পরিবর্তনের সাথে জাতীয় জীবনের বিকাশ ঘটে। কোনাে কারণে যদি কোনাে জাতি চলার ছন্দ হারিয়ে ফেলে, তাহলে সে জাতি তার স্বাভাবিক বিকাশ হারিয়ে পিছনেই পড়ে থাকে।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নশীল দেশগুলােতে অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি সবচেয়ে বেশি। এজন্য উন্নয়নশীল দেশগুলাে আধুনিক সভ্যতার আলাে থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। বাংলাদেশে জনসংখ্যা সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা। জন্মনিয়ন্ত্রণই এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। কিন্তু অধিকাংশ নারী-পুরুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করাকে পাপ বলে মনে করে। তারা মনে করে সৃষ্টি করেছেন যিনি রিজিক বা আহারও দিবেন তিনি। তাই তারা জন্মনিয়ন্ত্রণের আদৌ তােয়াক্কা না করে অধিকসংখ্যক সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে। এতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। মা ও সন্তান উভয়ের স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। সাথে সাথে পরিবারের সবাই মৌলিক সামাজিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয় এবং এরা এক সময় জাতির জন্য বােঝা হয়ে দাঁড়ায়। যা হােক, জন্মনিয়ন্ত্রণ না করার মতাে বিভিন্ন লােকাচার বা জীর্ণতা জাতীয় জীবনের গতিকে অসার ও অচল করে তােলে। তখন জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগ নেমে আসে। জাতির হাতে-পায়ে পড়ে নানারকম বিধিনিষেধের – বেড়ি। নিষ্ঠুরভাবে পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হতে হয় জাতিকে। তখন এ শিকল মুক্ত করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

মন্তব্য

দেশের নাগরিকের মধ্যে প্রকৃত দেশপ্রেম থাকলে কোনাে ধরনের জড়তা বা কুসংস্কার তাদেরকে গ্রাস করতে পারে না। প্রাণপণ প্রচেষ্টা ও স্বকীয়তার অনুশীলনের মধ্য দিয়ে সেই জাতি অনায়াসেই পৌঁছে যেতে পারে উন্নতির শীর্ষে।


বিকল্প আরও একটি দেওয়া হল

যে জাতি জীবন হারা অচল অসাড় এ পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লােকাচার


মূলভাব

কোনাে জাতির উন্নতির মূল সােপান হচ্ছে তার চেতনা ও আদর্শ। আদর্শচ্যুত জাতি কখনাে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না, বরং নানা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়।

সম্প্রসারিত ভাব
গতিই জীবন আর জীবনহীনতা বা স্থিতিতে মৃত্যু। এ বিশ্বজগতে যতদিন গতি আছে, ততদিন জীবন আছে। যেদিন এ গতি স্তব্ধ হয়ে যাবে সেই দিনই আসবে ধ্বংস। নদী তার আপন ধারায় প্রতিনিয়ত বয়ে চলে। সে কোনাে বাধা মানে না, কোনাে বিপত্তি এসে তার পথ রােধ করতে পারে না। কিন্তু যদি প্রাকৃতিক কোনাে কারণে ওই নদীর অবিরত জলধারা বন্ধ হয়ে যায় তবে নদীর বুকে জমে ওঠে অজস্র জঞ্জাল তূপ। তার গতি তাে রুদ্ধ হয়ই, তার শ্রী সৌন্দর্যও নষ্ট হয়ে যায়। মানবসমাজও তদ্রুপ নদীর মতাে আপন গতিবেগে উৎস থেকে মােহনার দিকে অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে চলে। কোথাও তার বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই। তার গতি চিরচল।

যে জাতি গতির সাধনা করে সে জাতির যাত্রা হয় পূর্ণতার দিকে, সে জাতি বিরামহীন বিকাশের পথেই যাত্রা করে। কিন্তু কোনাে জাতি যদি তাদের আদর্শের পথ হারিয়ে ফেলে, অজ্ঞানের অন্ধকারে আবদ্ধ থেকে অন্ধ অনুকরণ বা পুরাতন সংস্কারকে আঁকড়ে ধরে, সে জাতি প্রগতির ধারা থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে। চারদিকের নানা বিপদ ও বিপর্যয় এসে তাদের আঘাত করে। রুদ্ধ হয়ে যায় তার উন্নতির সকল পথ। তখন সে জাতির একরূপ মৃত্যুই হয় বলা যেতে পারে। তখন এ জাতি প্রকৃত উন্নতির পথ ত্যাগ করে শুষ্ক ও জীর্ণ লােকাচারের প্রতি আসক্ত হয়। জাতির চলার পথ শেষ পর্যন্ত একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কুসংস্কারের প্রকোপে, লােকাচারের প্রাচুর্যে এবং দেশাচারের যুক্তিহীন | প্রয়োগ। অর্থহীন গোঁড়ামি প্রতি পদে তার উন্নতির অন্তরায় হয়ে ওঠে এবং জাতির অগ্রগতি চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, জাতি তখন  বিকৃত ও শাস্ত্রবাণীসর্বস্ব এক জড় পদার্থে পরিণত হয়। প্রাণপণ চেষ্টা ও স্বকীয়তার অনুশীলনের মাধ্যমেই জাতি অনায়াসে পৌছে যতে পারে উন্নতির শীর্ষে, হতে পারে অনুকরণীয় আদর্শ।

মন্তব্য
কোনাে দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রকৃত দেশপ্রেম থাকলে  কোনোরূপ  জড়তা বা কুসংস্কার তাদের গ্রাস করতে পারে না।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button