তােমাদের বিদ্যালয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কীভাবে পালন করা হয়েছিল তার একটি পর্যায়ক্রমিক বর্ণনা দাও।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ অমর একুশের ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের একটি মহান স্বীকতি আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। সেই ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত এ সুদীর্ঘপথে লাখাে লাখাে শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে এদেশের মাটি। ভাষা শহিদদের সম্মান জানাতে আমাদের স্কুলে (এখানে তোমাদের স্কুলের নাম লিখবে) প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় । নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি সকাল ভোরে আমরা স্কুল প্রাঙ্গনে সমবেত হয়। এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অন্যান শিক্ষকগণ, স্কুলের প্রতিষ্ঠানবৃন্দ, এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে স্কুল প্রাঙ্গনের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। এরপর সকলের কণ্ঠে বেজে উঠে
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,
আমি কি ভুলিতে পারি।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্কুল প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে প্রায় ৩০০ মিটার পর্যন্ত সকলের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাট্য র্যালি বের করা হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমাদের স্কুলের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের শিক্ষক (এখানে শিক্ষকের নাম লিখবে) অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। প্রথমে পবিত্র কুরআন থেকে কিছু আয়াত পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এবং এক এক করে তাদের বক্তৃতা উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ করা হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কেউ একুশের কবিতা পাঠ করেছিল, কেউ একুশের চেতনা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠ করেছিল, আবার কেউ ভাষা আন্দোলনের উপর একটি নাটিকা উপস্থাপন করেছিল। আমি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ এর লিখা “মাগো ওরা বলে সবার কথা কেড়ে নেবে তােমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবে না। বলল মা, তাই কি হয়?” একুশের একটি কবিতা আবৃতি করেছিলাম। সবশেষে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।

thanks for assignment