অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

Rate this post
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ শ্রেণি

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

বিখ্যাত বিজ্ঞান-গবেষক কলিন রােনান বলেছেন, মানবমনে বিজ্ঞান চেতনার দীপশিখা প্রথম জ্বলে ওঠেছিল আজ থেকে প্রায় দশ হাজার বছর আগে, মধ্যপ্রাচ্যে। সেই সময় মানুষ কেবল প্রাত্যহিক জীবনের প্রয়ােজনে নয়, নিছক জানা বা বােঝার আগ্রহেই নানা বিষয় সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান আহরণ করতে শুরু করে। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে পূর্ণাঙ্গরূপে কাজে লাগিয়েছে ইউরােপে শিল্পবিপ্লব ঘটে যাওয়ার পর থেকে, উনিশ শতকে। ঐ সময়ই মানুষ বাষ্পের শক্তিকে নানা কাজে ব্যবহার করতে শেখে। তারপরে আমরা ক্রমে ক্রমে বিদ্যুৎ শক্তিকে কাজে লাগাতে শিখলাম। বিশ শতকে আমরা জ্বালানি কয়লা ছাড়াও পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস এমনকি পারমাণবিক শক্তিকে মানুষের কল্যাণে নিয়ােজিত করতে সক্ষম হয়েছি। আধুনিককালে এগুলাের সাহায্য ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না। আর ঐ দিন-ঘণ্টা-মিনিটের হিসাব করার জন্যে প্রয়ােজন হয় ছােটবড় ঘড়ির, যার বেশিরভাগই ইলেকট্রনিক। বাস্পশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের রান্নাঘরে প্রেসারকুকার গৃহিণীর কাজকে সহজ করে দেয়। তার সঙ্গে থাকে বৈদ্যুতিক বা গ্যাসের চুলা। বায়ােগ্যাসে আজকাল কোনাে কোনাে গ্রামের ঘরে ঘরে আলাে জ্বলে, তাতে রান্নার কাজ সহজ হয়। পরিবহন ব্যবস্থায় বিজ্ঞান তাে রীতিমতাে যুগান্তর এনেছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে রােগ নিরাময়েও এর ভূমিকাও কম নয়। আমােদ-প্রমােদের ক্ষেত্রে রেডিও, টেলিভিশন, ভিসিআর, ভিডিও, ডিশ সংযোগ বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে গেছে। ঘরে বসে আমরা এখন দেখছি বিশ্বকাপ ফুটবল ও ক্রিকেট, অলিম্পিক গেমস ইত্যাদি। এসব দেখার সুযােগকে সহজ করে দিয়েছে বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উদ্ভাবন ডিশ এন্টেনা। সৌরশক্তি চালিত পকেট ক্যালকুলেটার করে দিচ্ছে দুরূহ হিসাবনিকাশ। গৃহস্থালির কাজে কত রকম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যে আমরা ব্যবহার করছি তার সঠিক হিসাব দেওয়া শক্ত। যেমন রান্নার জন্যে রয়েছে কুকিং রেঞ্জ, মসলা বাটা ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গুঁড়া করার মেশিন, রয়েছে বাসন ও কাপড় ধােয়ার যন্ত্র। এছাড়া ঘর সাফ করার মেশিন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, লিফট, উঁচু দালানের টাঙ্কিতে পানি তােলার মেশিন, টাইপ রাইটার থেকে শুরু করে ছােটদের জন্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক খেলনা। বিজ্ঞানের অতি সাম্প্রতিক এক বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার মানবজীবনকে করেছে গতিশীল। ই-মেইল-ইন্টারনেট যােগাযােগ ব্যবস্থায় মানুষকে এনে দিয়েছে অভূতপূর্ব সাফল্য। এক কথায় যন্ত্র-বর্জিত জীবনযাত্রা আজ আর কল্পনা করা যায় না। অর্থাৎ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে এক হয়ে গেছে বিজ্ঞান।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

Google News

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button