সারমর্ম

সারমর্মঃ সন্ধ্যা যদি নামে পথে, চন্দ্র যদি পূর্বাচল কোণে না হয় উদয়

3.5/5 - (2 votes)

 সন্ধ্যা যদি নামে পথে, চন্দ্র যদি পূর্বাচল কোণে
 না হয় উদয়,
তারকার পুঞ্জ যদি নিভে যায় প্রবল জলদে 
না করিব ভয়।
হিংস্র ঊর্মি ফণা তুলি, বিভীষিকা মূর্তি ধরি যদি 
গ্রাসিবারে আসে, 
সে মৃত্যু লঙ্ঘিয়া যাব সিন্ধু পারে নবজীবনের 
নবীন আশ্বাসে।

সারমর্মঃ জীবন চলার পথ বন্ধুর।এ কারণে প্রত্যেককেই নানামুখী বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়।এসব বাধাবিপত্তির ভয়ে থেমে থাকলে তো চলবে না।বরং যাবতীয় বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।আর যারা তা না পারে তারা ব্যর্থ হয় এবং যারা পারে তারাই সফলতার মুখ দেখে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

ভাবসম্প্রসারণ

ভাবসম্প্রসারণ: সবুরে মেওয়া ফলে

Rate this post

ভাবসম্প্রসারণ: সবুরে মেওয়া ফলে


সবুরে মেওয়া ফলে

মূলভাব : জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ও সহনশীলতা নিয়ে এগিয়ে চললে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী। ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়েই মানুষের জীবন কুসুমাস্তীর্ণ হয়ে উঠে।

সম্প্রসারিত ভাব : হঠাৎ করে বা অনায়াসেই কারাে জীবনে সাফল্য আসে না। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, বাধা-বিপত্তি আর দুঃখ-কষ্ট পেরিয়ে মানুষ সাফল্যের স্বর্ণশিখরে সমাসীন হয়। দীর্ঘদিন ধরে অসীম ধৈর্য আর তিলে তিলে গড়া কর্মফলের প্রতিদানই সাফল্য। জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রধান অস্ত্র হলাে ধৈর্য। ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়েই মানুষকে কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হয়। জীবনে চলার পথে বাধা বিপত্তি আসবে এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই জীবনের ধর্ম। কিন্তু তাই বলে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। হাত গুটিয়ে বসে থেকে শুধু যন্ত্রণাকে মেনে নেওয়ার মধ্যে কোনাে কৃতিত্ব নেই। ঘাতপ্রতিঘাত আর যন্ত্রণার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে দাঁড়ানাের মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। প্রতিটি মহামানবের জীবন পর্যালােচনা করলে দেখা যায়, তারা কোনাে বাধা-বিপত্তিতেই ভেঙ্গে পড়েননি বরং অসীম ধৈর্য আর সাহসিকতা নিয়ে অপেক্ষা করেছেন। সুতরাং সবুর করা অর্থাৎ ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়ে মানুষ ধীরে ধীরে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতে সক্ষম হয়।

মন্তব্য : ধৈর্যধারণ অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। কিন্তু নিষ্ঠার সাথে এ মহান মানবিক গুণকে আয়ত্ত করতে পারলে একদিকে জীবনে যেমন সাফল্য আসে, অন্যদিকে তার দ্বারা দেশ ও জাতি অনেক উপকৃত হয়।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

বাণী চিরন্তনরুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জনপ্রিয় বাণী উক্তি (পর্ব ৬)

Rate this post
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জনপ্রিয় বাণী উক্তি (পর্ব ৬)

 রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ  (Rudra Mohammad Shahidullah) একজন কবি ও গীতিকার ১৯৫৬ সালে ১৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি নাম খ্যাত ছিলেন। তিনি আশির দশকের যেকজন বিখ্যাত কবি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। 

বর্তমান তরুন সমাজের কাছে উনার রেখে যাওয়া উক্তিগুলো বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তেমন কিছু উক্তি নিয়ে আজ আমাদের পর্ব ৬

(১)

তবু তুমি বলছো না – সে তোমার কেউ নয়, প্রজাপতি,
অথবা পাখি সে, দুদন্ড জড়িয়ে গেছে জীবনের ডালে।
তোমার শাখায় বসে দেখেছে সে অন্য ফুল, উজ্জ্বল অধিক,
প্রজাপতি উড়ে যাবে বিচিত্র বিভিন্ন ফুলে সে তো স্বাভাবিক।

(২)

ভুল ভেঙ্গে গেলে ডাক দিও,
আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন
ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয়নাম
ভালোবাসা।

(৩)

জানি না কখন এইসব স্মৃতি, এসব দৃশ্য
ছায়ার মতোন বেঁধেছি শরীরে বকুলের লাশ!
জেগে দেখি চাঁদ ক্লান্ত দুচোখে মাখে রাত্রির গোপন কাজল
কুয়াশার জল।

(৪)

কোথাও সুস্থতা নেই।
এ সময়ে শোষণের সুশোভন নামই সুস্থতা –
তুমি সেই সুস্থতার নির্বোধ প্রতিক।

(৫)

আমি যার শিয়রে রোদ্দুর এনে দেবো বলে কথা দিয়েছিলাম
সে আঁধার ভালোবেসে রাত্রি হয়েছে ।
এখন তার কৃষ্ণ পক্ষে ইচ্ছের মেঘ
জোনাকির আলোতে স্নান করে,
অথচ আমি তাকে তাজা রোদ্দুর দিতে চেয়েছিলাম ।

(৬)

কিছু দীর্ঘশ্বাস জমা হয়ে থাকবে বুকে
কিছু অশ্রু থেমে থাকবে চোখের নিকটে
ঝরাবে না শিশির।

(৭)

রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই
শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই
হৃদয় বলবে আছে।

(৮)

কিছুই অসাধ্য নয় আজ
আমি সবকিছুই দিতে পারি
বলো কী কী নেবে তুমি?

(৯)

তুমি প্রেমের কলিংবেল টিপে এসে দাঁড়ালে
সংশয় সন্দিহান
আমি দরোজা খুলেই সরাসরি
তোমাকে এনে বসিয়েছি হৃদয়ে।
বুকের একান্ত বেডরুমে।

(১০)

আত্মগত আমি আবার
নিজের কাছে প্রশ্ন করি
নিঃশব্দের এমন রাতে বুকের মাঝে
শব্দ কেন?

(১১)

দুচোখ বেয়ে রাত্রি ঝরে, পাংশুটে রাত,
রক্তমাখা চাঁদের দেহে জোস্না উধাও,
উল্টে পড়ে রোদের বাটি,
আমার এখন আকাশ জুড়ে দুঃস্বপ্নের দালানকোঠা।

(১২)

ইচ্ছে ছিলো বিরহের সাথে একরাত কাটাবো নিদ্রায়,
যার কাছে ঋনী হয়ে শিখেছি নির্ঘুম রাতের সুখ
তার সাথেই একরাত পাশাপাশি কাটাবো গভীর ঘুমে।

(১৩)

কথা ছিলো, শিশু হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সম্পদের নাম।
নদীর চুলের রেখা ধ’রে হেঁটে হেঁটে যাবে এক মগ্ন ভগীরথ,
কথা ছিলো, কথা ছিলো আঙুর ছোঁবো না কোনোদিন।

(১৪)

ওর হাতে ফুলগুলো তুলে দিয়ে বললাম
‘তুমিও কি ফুল হয়ে ঝ’রে যাবে?’

(১৫)

বাইরে এবং বুকের মধ্যে
হিয়ার ভেতর…হিয়ার মধ্যে
হারানো এক হলদে পাখি উড়ছে বসছে
দুলছে, যেন শৈশবে সেই দোলনা খেলা…
হায়রে আমার বয়স হয় না!

(১৬)

কথা ছিলো, ভাষার কসম খেয়ে আমরা দাঁড়াবো ঘিরে
আমাদের মাতৃভূমি, জল, অরন্য, জমিন, আমাদের
পাহাড় ও সমুদ্রের আদিগন্ত উপকূল-
আজন্ম এ জলাভূমি খুঁজে পাবে প্রকৃত সীমানা তার।

(১৭)

দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা
বুঝতে কেন পাছো না ছাই
মানুষ আমি, যন্ত্র না!

(১৮)

তুমিই শুধু ভালোবাসা রাখতে গিয়ে
ছড়িয়ে ফেললে চতুর্দিকে অসাবধানে
ভালোবাসা ছড়িয়ে ফেললে চতুর্দিকে…

(১৯)

থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক
একলা থাকার খুব দুপুরে
একটি ঘুঘু ডাকুক

(২০)

তুমি রেশমী হাতে বুলোতে পরশ
রাত্রি নিশ্চুপ হেঁটে যেতো শরীর বেয়ে।

(২১)

আমার কিছু কথা ছিলো কিছু দুঃখ ছিলো
আমার কিছু তুমি ছিলো তোমার কাছে ।

(২২)

একটা ঠিকানা চাই।

যেই ঠিকানায় সপ্তাহ শেষে একটি করে চিঠি দিব…….
প্রেম-প্রেম, আবেগে ঠাসা, ভালোবাসায় টইটুম্বুর!
হবে একটা ঠিকানা?
কারনে অকারনে চিঠি দিব…

(২৩)

তোমাকে প্রতিদিন লেখার মতো
অনেক রকম খবর আছে।

(২৪)

তবু পৃথিবীতে রাত নামে নিবিড় তুষারের মতো,
তুমি শুধু উড়ে চলো ক্লান্তিহীন, তন্দ্রাহীন
অন্য এক সকালের দিকে।

(২৫)

এতোটা নিশব্দে জেগে থাকা যায় না, তবু জেগে আছি….
আরো কতো শব্দহীন হাঁটবে তুমি, আরো কতো নিভৃত চরনে
আমি কি কিছুই শুনবো না- আমি কি কিছুই জানবো না!

(২৬)

যে রাত ‘পাশাপশি বসিবার বনলতা সেন’
সে রাত আমার নয়, সে রাত অন্য কারো।

(২৭)

আমি কবি নই – শব্দ শ্রমিক।
শব্দের লাল হাতুড়ি পেটাই ভুল বোধে ভুল চেতনায়,
হৃদয়ের কালো বেদনায়।

(২৮)

যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেই মাঠে আজ বসে নেশার হাট।

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ উক্তি – বাণী
পর্ব ১। পর্ব ২ । পর্ব ৩ | পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

Rate this post

কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর


কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

নির্ধারিত কাজঃ

কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

তােমার পরিবারের কায়িকশ্রম ও মেধাশ্রমের একটি তালিকা প্রস্তুত কর। এর মধ্যে কোন ধরণের শ্রমকে তুমি অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করাে? কেন?

কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

 কায়িক শ্রম হলাে মূলত শারীরিক পরিশ্রম। অর্থাৎ মানুষ তার দৈহিক শক্তি ব্যবহার করে কোনাে কার্য সম্পাদনে যে শ্রম প্রয়ােগ করে থাকে, তাকে শারীরিক বা কায়িক শ্রম বলে। যেমনঃ  রাজমিস্ত্রী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে হাজারাে দালানকোঠা নির্মাণ করছে, ফেরিওয়ালা নানান রকমের দ্রব্য সামগ্রী মাথায় বহন করে বাড়িতে বাড়িতে বিক্রয় করে, এছাড়াও কৃষক, জেলে, মজুর, কুলি প্রভৃতি সকলেই এরূপ কায়িক শ্রম করে থাকেন। আবার মেধাশ্রম হলাে মানসিক পরিশ্রম। মানুষ তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে যে সকল কর্ম সম্পাদন করে থাকে, তাই হলাে মানসিক বা মেধাশ্রম। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়ঃ ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক প্রভৃতি সকলেই মেধাশ্রম প্রয়ােগ করে থাকেন। 

আমাদের সকলের পরিবারেই কম বেশি কায়িক ও মেধাশ্রম উভয়ের উপস্থিতি লক্ষ্য করা। যায়। নিম্নে যুক্তি সহকারে কায়িকশ্রম ও মেধাশ্রম সমূহের তালিকা তুলে ধরা হলােঃ

এছাড়াও আরাে কিছু কর্মকান্ড সচরাচর না ঘটলেও প্রতিটি কাজ কায়িক বা মেধাশ্রম কোনাে না কোনাে এক রকম নিশ্চয়ই হবে। তাই বলা যায়, আমার পরিবারের প্রতিটি কাজই কায়িক বা মেধাশ্রম।

আমার পরিবারের সকল কাজগুলাের মধ্যে আমি মেধাশ্রম সমূহকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। যদিও আমাদের পরিবার তথা পুরাে সমাজে কায়িক শ্রম ও মেধাশ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, তবে উভয় শ্রম বাস্তবায়নের পূর্বে পরিকল্পনা প্রনয়ণের কাজটি সম্পাদন করে মেধাশ্রম। ফলশ্রুতিতে আমি মেধাশ্রমকে অধিক গুরুত্ব দিব। আমাদের পরিবারে দুপুরে কি কি খাবার তৈরি হবে তা চিন্তা না করলে খাবার তৈরি অসম্ভব। প্রথমে চিন্তা করে তারপর খাবার তৈরি করা হয়। একইভাবে, ডাক্তার সরাসরি রােগের নাম শুনেই ঔষধ দেন না, চিন্তা করে দেখেন কি কি ঔষধ দেওয়া উচিত। আবার বড় বড় ভবন নির্মাণে মিস্ত্রি শুধু কার্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে থাকে কিন্তু পরিকল্পনা তৈরি করে প্রকৌশলী, যা মেধাশ্রমের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ প্রতিটি কায়িক শ্রমের পেছনেও মেধাশ্রম অবদান রেখেই চলেছে। তাই সকল দিক বিবেচনায়, আমি আমার পরিবারের মেধাশ্রম সমূহকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার অবদান ও আর্থসামাজিক অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন

Rate this post

বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার অবদান ও আর্থসামাজিক অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন


বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার অবদান ও আর্থসামাজিক অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন

আদিম যুগের মানুষ কৃষিকাজ জানো না। বনের ফলমূল খেয়ে তারা জীবন ধারণ করতো। পরবর্তীতে কৃষিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুরনো পাথরের যুগ শেষ হয়ে মানুষের যাযাবর জীবন অবসান ঘটে। বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতির পিছনে মানুষ যুগ যুগ ধরে পরিশ্রম করে গেছে। বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতি সাধনের পিছনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার অবদান অনেক। 

মিশরীয় সভ্যতার অবদানঃ মিশরীয় সভ্যতা উত্তর আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের একটি প্রাচীন সভ্যতা। প্রাচীন দেশ মিশরে  খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৩২০০ অব্দ পর্যন্ত নীল নদের নিম্নভূমি অঞ্চলে এই সভ্যতা গড়ে ওঠে। মিশর প্রাচীন সভ্যতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে মিশরীয় সভ্যতা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল। প্রাচীন বিশ্বসভ্যতায় মিশরীয়দের মত ভাস্কর্যশিল্পে অসাধারণ প্রতিভার ছাড়া আর কেউ রাখতে সক্ষম হয়নি। মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল লিপি বা অক্ষর আবিষ্কার। নগর সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মিশরীয় লিখন পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে। 

মিশরীয় সভ্যতার অবদান

মিশরীয় সভ্যতার অবদান

মিশরের আর্থসামাজিক অবস্থাঃ মিশরের অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষি নির্ভর। উৎপাদিত ফসলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গম, যব,  তুলা, পেঁয়াজ পিচফল। ব্যবসা-বাণিজ্যে মিশর ছিল অগ্রগামী। মিশরে উৎপাদিত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি হতো। বিভিন্ন দেশ থেকে মিশরীয় স্বর্ণ-রৌপ্য  ইত্যাদি আমদানি করত। মিশর নীলনদের দান। নীলনদ না থাকলে মিশর মরুভূমিতে পরিণত হতো। নীলনদে জমে থাকা পলিমাটিতে জন্মাতো নানা ধরনের ফসল। তারা পিরামিড তৈরিতে পটু ছিল। 

সিন্ধু সভ্যতার অবদানঃ সিন্ধু নদের অববাহিকায় অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল বলে এই সভ্যতার নাম সিন্ধু সভ্যতা। পন্ডিতের মতে খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ পর্যন্ত সিন্ধু সভ্যতার উত্থান পতনের কাল। সভ্যতার ইতিহাসে সিন্ধু সভ্যতার একটি পরিকল্পিত নগরী ধারণা দিয়েছে। সিন্ধু সভ্যতার যুগে মানুষ সমাজবদ্ধ পরিবেশে বাস করত।  সিন্ধু সভ্যতার অদিবাসীরা উন্নত ধরনের নাগরিক সভ্যতায় অভ্যস্ত ছিল। রাস্তাঘাট পাকা আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হতো। বাড়ির সামনে বিশাল খালি জায়গা রাখা হত। নিরাপত্তার জন্য শহরে সৈন্য মোতায়েন থাকত। সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা দ্রব্যের ওজন ও পরিমাপ পদ্ধতির উদ্ভাবক ছিল। তারা দাগ কাটা স্কেল দিয়ে দৈর্ঘ্য মাপার পদ্ধতিও জানতো। ভাস্কর্য শিল্পে সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের দক্ষতা ছিল। তারা ধর্মীয় ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রয়োজনে সিল ব্যবহার করত।

সিন্ধু সভ্যতার অবদান


সিন্ধু সভ্যতার আর্থসামাজিক অবস্থাঃ সিন্ধু সভ্যতার অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষি নির্ভর। তাছাড়া অর্থনীতির আর একটি বড় দিক ছিল পশুপালন ও বাণিজ্য। কৃষি ও পশুপালনের পাশাপাশি মৃৎপাত্র নির্মাণ, ধাতুশিল্প, বয়নশিল্প, অলংকার নির্মাণ, পাথরের কাজ ইত্যাদিতেও তারা যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছিল। এই উন্নতমানের শিল্প পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সিন্ধু সভ্যতার বণিকরা বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক যােগাযােগ রক্ষা করে চলত। বণিকদের সাথে আফগানিস্তান, বেলুচিস্তান, মধ্য এশিয়া, পারস্য, মেসােপটেমিয়া, দক্ষিণ ভারত, রাজপুতনা, গুজরাট প্রভৃতি অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক যােগাযােগ ছিল।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের মধ্যে পার্থক্য কী?

Rate this post
রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের মধ্যে পার্থক্য কী?



রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের মধ্যে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে পার্থক্য গুলো বর্ণনা করা হলোঃ

রবি মৌসুমখরিপ মৌসুম
আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়কে রবি মৌসুম বলে।চৈত্র থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সময়কে খরিপ মৌসুম বলে।
রবি মৌসুমের প্রথম দিকে কিছু বৃষ্টিপাত হয় তবে তা কম।খরিপ মৌসুমে বিশেষ করে আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসে পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আদ্রতা কম থাকে।খরিপ মৌসুমে তাপমাত্রা ও বায়ুর আদ্রতা বেশি থাকে

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

One Comment

  1. স্যার আপনাদের পাশেই আছি।আমাদের পড়াশোনায় হেল্প করতে থাকেন।আর ৩০ দিনের যেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেওয়া হয়েছে,সেখান থেকে সকল গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলো পড়ান।আর পারলে ক্লাসও করান।

মন্তব্য করুন

অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ “কম্পিউটার বা কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব”

Rate this post

 কম্পিউটার বা কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি

কম্পিউটার বা কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব

কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। কম্পিউটার উদ্ভাবনের জনক হিসেবে খ্যাতির অধিকারী হলেন ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage)। তাঁর লাতিন শব্দ ‘কম্পিউটর’ থেকে ‘কম্পিউটার’ কথার উৎপত্তি। আভিধানিক অর্থে কম্পিউটার হল এক ধরনের গণকযন্ত্র। কিন্তু আজকাল কম্পিউটারকে কেবল গণনাকারী বলা চলে না। এখন তা এক ইলেকট্রনিক যন্ত্রের ধারণা দেয় যা অগণিত তথ্য বা উপাত্ত গ্রহণ করে অত্যন্ত দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ, গণনা, বিশ্লেষণ ইত্যাদি করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করতে পারে। আধুনিক কম্পিউটারের সূত্রপাত হয়েছে ১৮৩৩ সালে। কম্পিউটারের থাকে তিনটি সুস্পষ্ট অংশ- এক : সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট, দুই : ইনপুট, তিন : আউটপুট। যে কোনাে সমস্যা সংক্রান্ত সবরকম তথ্য নিয়ে কাজ করে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট। ইনপুট তথ্য সংবলিত নির্দেশ প্রদান করে আর আউটপুট প্রকাশ করে গণনা সংবলিত ফল। যে যাবতীয় তথ্য নিয়ে কম্পিউটার কাজ করে, তাকে বলে প্রােগ্রাম। কমিপউটারে তথ্য ও নির্দেশ প্রদানের জন্যে যে বিশেষ ভাষা ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে ‘প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ’। আর এসব কিছুকে এক সঙ্গে অভিহিত করা হয় কম্পিউটার সফটওয়্যার বলে।

এছাড়া কম্পিউটারের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণকারী একটা কাঠামাে থাকে, তাকে বলে হার্ডওয়্যার। অত্যন্ত দ্রুত গণনা, নির্ভুল তথ্য বিশ্লেষণ, বিপুল পরিমাণ উপাত্তকে সুসংবদ্ধভাবে যন্ত্র মগজে ধরে রাখার ক্ষমতা, ‘ডাটা’ ও ‘প্রােগ্রাম অনুসারে কাজ করার অসাধারণ ক্ষমতার কারণেই কম্পিউটার মানুষের নিত্যসঙ্গী। কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কম্পিউটার আধুনিক যুগে মানুষের পরম নির্ভরশীল বন্ধু। কোটি কোটি সংখ্যার অঙ্ক মিলিয়ে হিসাবরক্ষকের হাতে অতি অল্প সময়ে তুলে দিয়ে তাকে নিশ্চিত নির্ভাবনায় ঘরমুখাে করিয়ে দিতে পারে। কম্পিউটার এখন বড় বড় কল-কারখানায় বসে উৎপাদনের পরিকল্পনা আর তা নিয়ন্ত্রণের খবরদারি করছে, লাভ-ক্ষতির হিসাব-নিকাশ। করছে। রেলওয়ে, এয়ারলাইন্স, ব্যাঙ্ক রিসার্চ সেন্টার, ইনসিওরেন্স প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারের একচ্ছত্র আধিপত্য। পরীক্ষার ফল প্রকাশ, অপরাধীকে খুঁজে বের করা, পুরােনাে মামলার নথিপত্র খুঁজে তথ্য সংগ্রহ করে দেয়া, বিজ্ঞাপন প্রচার করা, যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা— এ সমস্তই এখন করছে মানুষের সৃষ্ট ওই যন্ত্র-মগজ।

চিকিৎসাক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও কম্পিউটার নিয়েছে শিক্ষকের ভূমিকা। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা সবই শেখাচ্ছে নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে। দাবা, ক্রিকেট, ফুটবলসহ নানারকম ভিডিও গেম খেলছে কম্পিউটার। এসব খেলায় কম্পিউটার মানুষের সঙ্গে প্রতিযােগিতায় অংশ নিচ্ছে। মুদ্রণজগতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে কম্পিউটার । ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসে মুহুর্তেই বিশ্বের যে কোন জায়গায় যে-কোন-তথ্য আদান-প্রদান করা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও কম্পিউটারের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদেশে এখন মূলত মুদ্রণ শিল্প, ব্যাংক-অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে কম্পিউটারের দ্রুত ও ব্যাপক প্রসার ঘটছে। আধুনিক জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে কম্পিউটারের অবদান অনস্বীকার্য।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

ইসলাম ও জীবনহাদিস

আজান চলাকালীন সময় কথাবার্তা বলা যাবে কিনা বা কথা বললে গুনাহ হবে কিনা?

Rate this post

আজান চলাকালীন সময় কথাবার্তা বলা যাবে কিনা বা কথা বললে গুনাহ হবে কিনা? আজান চলাকালীন সময় কথাবার্তা বলা যাবে কিনা বা কথা বললে গুনাহ হবে কিনা?
এই প্রশ্নটি অনেকেরই। যখন মুয়াজ্জিন আজান দেন তখন ওই আজানের আওয়াজ আমাদের কানে ভেসে আসবে তখন আমরা নিজের মধ্যে কথাবার্তা বা কোনো কাজ করতে পারবো কিনা। নাকি সবকিছু স্টপ করে দিতে হবে।
এই প্রশ্নের উত্তর হলো, যখন মুয়াজ্জিন আজান দিবেন তখন মুসলিমের দায়িত্ব হলো আজানের জওয়াব দেওয়া মুখে । হাতে অন্যান কাজ থাকতে পারে কিন্তু আজানের জওয়াব দেওয়া এটা সুন্নত, মুস্তাহাব। সহীহ বুখারীর একটি হাদীসে বলা হয়েছে নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সঃ ) বলেছেনঃ
“মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরা তা বলো”
আজানের জওয়াব কিভাবে দিতে হবে তা জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আজানের সময় যদি কেউ কথা বলে তাহলে কোনো গুনাহ হবে না। আমরা অনেকে আজানের সময় কথা বললে মহা পাপ মনে করি।

শরীয়ত যেটাকে যতটুকু গুরুত্ব দিয়েছে তাকে ততটুকুই গুরুত্ব দিতে হবে। এর ব্যতিক্রম করলে তা বারাবারি হয়ে যাবে। ইসলামের ভিতর মনগড়া কিছু করা যাবে না। মুয়াজ্জিনের আজানের সাথে তার জওয়াব দিলে তার ফজিলত অনেক বেশি। জওয়াব দিলে মুয়াজ্জিনের সাথে সাথে ব্যাকগুলো বললেন ওই আজান শুনে যতগুলো লোক নামাজে আসবে তাদের সবার সমপরিমাণ সওয়াব ওই জবাবদিহিতাকে দেওয়া হবে (সুবাহানাল্লাহ). এটা বিশাল বড় ফজিলতের একটা আমল। অতএব, আজানের সময় তার জওয়াব দেওয়া উত্তম। কিন্তু কেউ যদি কথা বলে গুনাহ হবে না। কারণ নফল আলম তরক করলে এতে গুনাহ হবে না। দরকার হলে কথা বলতে পারবে কিন্তু উত্তম হলো আজানের জওয়াব দেওয়া।
বাসা বাড়িতে দেখা যায় আজান শুরু হলে মহিলারা মাথায় কাপড় দেন। এমনটা করার কোন নিয়ম নেই বরং মহিলাদের সর্বাবস্থায় মাথায় কাপড় দেওয়া উচিত।

বি: দ্রঃ উক্ত কথাগুলো শায়েখ আহমাদুল্লাহ মাদানি ভিডিও থেকে নেওয়া হয়েছে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button