ব্যক্তিত্বের সাথে পোশাকের ডিজাইনের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? ব্যাখ্যা কর।

ব্যক্তিত্বের সাথে পোশাকের একটি সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। রুচিশীল পোশাক ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। রুচিশীল পোশাক একদিকে যেমন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় অন্যদিকে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলে। তাই ব্যক্তিত্বের সাথে মিল রেখেই পোশাকের ডিজাইন করা উচিত। যেমন বেক্তির বয়স, গায়ের রং, উচ্চতা, ওজন, দেহের গঠন, মুখের আকৃতি ইত্যাদির উপর নির্ভর করে পোশাকের ডিজাইন বা নির্বাচন করা উচিত।
শুধু দৌহিক দিক বিবেচনা করে পোশাক নির্বাচন করা যেমন জরুরি ঠিক তেমনি যে পোশাকটি নির্বাচন করা হচ্ছে তা কতোটা মানানসই তাও লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন
পোশাকের আকার: পোশাকের আকার ব্যক্তির দেহাকৃতির উপর নির্ভর করে। পাতলা গড়নের ব্যক্তির জন্য ঢিলেঢালা, ফুলহাতা পোশাক মানানসই। অন্যদিকে স্থূলাকার ব্যক্তির জন্য ছোট হাতার আঁটসাঁট পোশাক মানানসই।
পোশাকের রং: পোশাক নির্বাচনে রং এর দিকটির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পোশাকের জন্য উপযুক্ত রং দেহের সোন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে দেয়। পোশাকের রং নির্বাচনের জন্য ত্বক, চুল, চোখের রং ইত্যাদি বিবেচনা করা উচিত।
পোশাকের পরিচ্ছনতা: ব্যক্তিত্ব বিকাশে রুচিশীল পোশাকের পাশাপাশি পোশাকের পরিচ্ছনতা দিকটিও খেয়াল রাখতে হবে। পোশাকের দাম নয় রং পরিচ্ছনতাই ব্যক্তিত্বকে বাড়িয়ে তোলে।
সমাজের রীতিনীতি: ব্যক্তিত্ব বিকাশে রুচিশীল পোশাকটি যেন সমাজের রীতিনীতির বহির্ভুত না হয় সেদিকে নজর দেওয়া আবশ্যক। সমাজে গ্রহনযোগ্য নয় এমন পোশাক এড়িয়ে চলাই ভালো।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
