বৃক্ষ রােপণের প্রয়ােজনীয়তা অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি। বৃক্ষরােপণ অভিযানকে সফল করার জন্যে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। বৃক্ষরােপণে
বৃক্ষ রােপণের প্রয়ােজনীয়তা অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি
বৃক্ষ রােপণের প্রয়ােজনীয়তা
অফুরন্ত সৌন্দর্যের এক মধুর নিকুঞ্জ আমাদের এ পৃথিবী। আর এ পৃথিবীকে সবুজে-শ্যামলে ভরে দিয়েছে প্রাণপ্রদায়ী বৃক্ষরাজি। এ বিশ্বকে সুশীতল ও বাসযােগ্য করে রাখার ক্ষেত্রে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। আবার মানুষের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্যে যেসব মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার অধিকাংশই পূরণ করে বৃক্ষ। তাই মানবজীবনে বৃক্ষের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম। বৃক্ষ না থাকলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ত। তাই বৃক্ষ মানুষের পরম উপকারী বন্ধু। সে আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের যেমন উপকার করে তেমনি তার সৌন্দর্যে হৃদয়-মন হয়ে ওঠে আপ্লুত। বৃক্ষ আমাদের নীরব বন্ধ আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে বৃক্ষই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বৃক্ষের উপকারী দিকগুলাে বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। বৃক্ষ আমাদের নীরব বন্ধু। অকৃপণ তার দান।
পৃথিবী থেকে বিষাক্ত কার্বনডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে এবং অক্সিজেন দিয়ে এই বৃক্ষই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। বৃক্ষ থেকেই আমরা নানারকম ভেষজ ওষুধ, মােম, মধু, রবার, রজন, কুইনাইন ইত্যাদি পেয়ে থাকি। গাছপালা দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। এমনকি এই গাছপালাই মূল ভূ-ভাগ ও নতুন সৃষ্ট চরাঞ্চলকে নদীর ভাঙন, বৃষ্টিপাত ও পানি-স্ফীতির হাত থেকে রক্ষা করে। সর্বোপরি বৃক্ষ ঝড়-ঝঞা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাসগৃহকে রক্ষা করে। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় যে, বৃক্ষের এতসব উপকারী দিক থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞতার কারণে এবং সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশের মানুষ নির্দ্বিধায় গাছপালা কেটে সম্পূর্ণ বন উজাড় করে ফেলছে। বলা বাহুল্য যে, একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যে মােট ভূমির শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়ােজন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আমাদের দেশে মােট ভূমির মাত্র ১৬ ভাগ বনভূমি রয়েছে যা দেশের প্রয়ােজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তাই ইতােমধ্যেই বাংলাদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের ফলে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বপরিবেশে দেখা দিয়েছে গ্রীনহাউস প্রতিক্রিয়া। বিশ্বপরিবেশ আজ বিপর্যস্ত ও হুমকির সম্মুখীন। নানা কারণে আমাদের বৃক্ষ আজ বিলুপ্তির পথে। সরকারি বনায়নে পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাব, বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদানুসারে জমি আবাদ, আবাসস্থল নির্মাণ ও ঘরবাড়ির সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, চোরাই পথে অবৈধ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বৃক্ষ কর্তন প্রভৃতি কারণে বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই এসব ধ্বংসের হাত থেকে বৃক্ষকে রক্ষার জন্যে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়ােজন। বৃক্ষ রক্ষা মানে নিজেদের জীবনকে রক্ষা করা। তাই বৃক্ষরােপণ অভিযানকে সফল করার জন্যে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। বৃক্ষরােপণে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্যে রেডিও টেলিভিশন, মিনিপর্দা, পােস্টার বিলি, সভা-সমিতি প্রভৃতি কার্যক্রমকে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে।
পৃথিবী থেকে বিষাক্ত কার্বনডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে এবং অক্সিজেন দিয়ে এই বৃক্ষই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। বৃক্ষ থেকেই আমরা নানারকম ভেষজ ওষুধ, মােম, মধু, রবার, রজন, কুইনাইন ইত্যাদি পেয়ে থাকি। গাছপালা দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। এমনকি এই গাছপালাই মূল ভূ-ভাগ ও নতুন সৃষ্ট চরাঞ্চলকে নদীর ভাঙন, বৃষ্টিপাত ও পানি-স্ফীতির হাত থেকে রক্ষা করে। সর্বোপরি বৃক্ষ ঝড়-ঝঞা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাসগৃহকে রক্ষা করে। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় যে, বৃক্ষের এতসব উপকারী দিক থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞতার কারণে এবং সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশের মানুষ নির্দ্বিধায় গাছপালা কেটে সম্পূর্ণ বন উজাড় করে ফেলছে। বলা বাহুল্য যে, একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যে মােট ভূমির শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়ােজন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আমাদের দেশে মােট ভূমির মাত্র ১৬ ভাগ বনভূমি রয়েছে যা দেশের প্রয়ােজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তাই ইতােমধ্যেই বাংলাদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নির্বিচারে বৃক্ষনিধনের ফলে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বপরিবেশে দেখা দিয়েছে গ্রীনহাউস প্রতিক্রিয়া। বিশ্বপরিবেশ আজ বিপর্যস্ত ও হুমকির সম্মুখীন। নানা কারণে আমাদের বৃক্ষ আজ বিলুপ্তির পথে। সরকারি বনায়নে পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাব, বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদানুসারে জমি আবাদ, আবাসস্থল নির্মাণ ও ঘরবাড়ির সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, চোরাই পথে অবৈধ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বৃক্ষ কর্তন প্রভৃতি কারণে বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই এসব ধ্বংসের হাত থেকে বৃক্ষকে রক্ষার জন্যে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়ােজন। বৃক্ষ রক্ষা মানে নিজেদের জীবনকে রক্ষা করা। তাই বৃক্ষরােপণ অভিযানকে সফল করার জন্যে সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। বৃক্ষরােপণে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্যে রেডিও টেলিভিশন, মিনিপর্দা, পােস্টার বিলি, সভা-সমিতি প্রভৃতি কার্যক্রমকে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে।
মন্তব্যগুলো দেখান