এসএমএস অনুচ্ছেদ। মানুষ মুঠোফোনের খুদে বার্তা বা এসএমএস অর্থাৎ শর্ট মেসেজ সার্ভিস বিভাগে গিয়ে মুহূর্তেই নিজের মনের কথা লিখে পাঠিয়ে যাবতীয় দায়িত্ব, কর্তব্য ও আকাঙ্ক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটায়। বর্তমানে মােবাইল ব্যবহারকারী প্রায় সব মানুষেরই এসএমএস সম্পর্কে ধারণা আছে।
what's hot
এসএমএস
বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
শ্রেণীঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ JSC PSC SSC HSC
আজকের দুনিয়ায় তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। নানান ধরনের প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে বর্তমানে যােগাযােগ খুব সহজ হয়ে পড়েছে। এমন একটি সময় ছিল যখন রাজকীয় ফরমান ঢাক-ঢােল পিটিয়ে সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হতাে। রাজ্যান্তরে বার্তা পাঠানাের দরকার হলে অশ্বারােহী কাসেদ ছুটে যেত রাজ্য থেকে রাজ্যান্তরে। বিকাশমান সভ্যতার এক পর্যায়ে শুরু হলাে চিঠির প্রচলন। চিঠি আদান প্রদানে নিযুক্ত হলাে ডাকহরকরা। এরা এক হাতে লণ্ঠন, অন্য হাতে বর্শা আর পিঠে চিঠির ঝুলি নিয়ে ছুটে যেতাে ডাকঘর থেকে ডাকঘরে।
মােটরগাড়ি আবিষ্কার হলে ডাকহরকরার প্রয়ােজনীয়তা কমে যায়, কিন্তু চিঠিপত্র আদান-প্রদানের প্রয়ােজনীয়তা ফুরায়নি। মানুষে মানুষে সুসম্পর্ক রক্ষার্থে এবং খবরাখবর জানতে দিনদিন চিঠির চাহিদা বাড়তেই থাকে। সে সময় মানুষের চিন্তা-ভাবনা এমন ছিল যে, চিঠিপত্রের প্রয়ােজনীয়তা কমে যাবে এমন কল্পনা তারা মাথায় আনতাে না। অথচ সেই চিঠিপত্রের জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায়। যার স্থান পুরােপুরি দখল করে নিয়েছে এসএমএস। এক্ষেত্রে মানুষ মুঠোফোনের খুদে বার্তা বা এসএমএস অর্থাৎ শর্ট মেসেজ সার্ভিস বিভাগে গিয়ে মুহূর্তেই নিজের মনের কথা লিখে পাঠিয়ে যাবতীয় দায়িত্ব, কর্তব্য ও আকাঙ্ক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটায়। বর্তমানে মােবাইল ব্যবহারকারী প্রায় সব মানুষেরই এসএমএস সম্পর্কে ধারণা আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনাে বার্তা পাঠানাে, পণ্যের বিজ্ঞাপন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি ক্ষেত্রে এসএমএস ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। চিঠিপত্র লিখতে যেমন ব্যাকরণ সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক, তেমনি মুঠোফোনে এসএমএস পাঠাতেও ব্যাবহারিক নিয়মকানুন জানতে হয়। মুঠোফোনে এসএমএস পাঠাতে এর গ্রাহক সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এসএমএস-এর বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। যখন-তখন এমনকি অপ্রয়ােজনে এসএমএস পাঠানাে থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
মােটরগাড়ি আবিষ্কার হলে ডাকহরকরার প্রয়ােজনীয়তা কমে যায়, কিন্তু চিঠিপত্র আদান-প্রদানের প্রয়ােজনীয়তা ফুরায়নি। মানুষে মানুষে সুসম্পর্ক রক্ষার্থে এবং খবরাখবর জানতে দিনদিন চিঠির চাহিদা বাড়তেই থাকে। সে সময় মানুষের চিন্তা-ভাবনা এমন ছিল যে, চিঠিপত্রের প্রয়ােজনীয়তা কমে যাবে এমন কল্পনা তারা মাথায় আনতাে না। অথচ সেই চিঠিপত্রের জনপ্রিয়তা আজ শূন্যের কোঠায়। যার স্থান পুরােপুরি দখল করে নিয়েছে এসএমএস। এক্ষেত্রে মানুষ মুঠোফোনের খুদে বার্তা বা এসএমএস অর্থাৎ শর্ট মেসেজ সার্ভিস বিভাগে গিয়ে মুহূর্তেই নিজের মনের কথা লিখে পাঠিয়ে যাবতীয় দায়িত্ব, কর্তব্য ও আকাঙ্ক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটায়। বর্তমানে মােবাইল ব্যবহারকারী প্রায় সব মানুষেরই এসএমএস সম্পর্কে ধারণা আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনাে বার্তা পাঠানাে, পণ্যের বিজ্ঞাপন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি ক্ষেত্রে এসএমএস ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। চিঠিপত্র লিখতে যেমন ব্যাকরণ সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক, তেমনি মুঠোফোনে এসএমএস পাঠাতেও ব্যাবহারিক নিয়মকানুন জানতে হয়। মুঠোফোনে এসএমএস পাঠাতে এর গ্রাহক সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। এসএমএস-এর বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। যখন-তখন এমনকি অপ্রয়ােজনে এসএমএস পাঠানাে থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
মন্তব্যগুলো দেখান